Cyber Fraud: ১ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলে দৈনিক ৫ হাজার রিটার্ন! ৮৫৪ কোটির প্রতারণা চক্রের হদিস, গ্রেফতার ৬
Police: সাধারণ মানুষের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রামের মাধ্য়মে প্রতারকরা। প্রাথমিকভাবে তারা বলত, খুব অল্প সংখ্যক টাকা বিনিয়োগ করতে। ১ থেকে ১০ হাজার টাকা একবার বিনিয়োগ করলেই প্রতিদিন ১ থেকে ৫ হাজার টাকা রিটার্ন পাবেন। অনেকেই এই টোপ গিলতেন এবং টাকা বিনিয়োগ শুরু করতেন।
বেঙ্গালুরু: ১ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলে প্রতিদিনই রিটার্ন পাবেন ১ থেকে ৫ হাজার টাকা। এক সপ্তাহেই লাখপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন বহু মানুষ। বিশ্বাস করে টাকা বিনিয়োগও শুরু করেছিলেন। ব্যাস, রিটার্ন তো দূর, রাতারাতি খোয়ালেন লক্ষাধিক টাকা। এবার ৮৫৪ কোটি টাকার সাইবার প্রতারণা চক্রের হদিস পেল পুলিশ। শনিবার প্রতারণা চক্রের সঙ্গে জড়িত ৬ জন মূল পাণ্ডাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় জানা গিয়েছে, বিনিয়োগ প্রকল্পের নামে দেশজুড়ে প্রতারণা চক্র চালানো হত। কয়েক হাজার মানুষকে এইভাবে প্রতারণা করা হয়েছিল। মোট ৮৫৪ কোটি টাকার প্রতারণা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়েই হানা দেয় বেঙ্গালুরু পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় প্রতারণা চক্রের ৬ জন ‘মাথা’-কে। ৮৫৪ কোটি টাকার মধ্যে মাত্র ৫ কোটি টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাকি অর্থের খোঁজ চালানো হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, সাধারণ মানুষের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রামের মাধ্য়মে প্রতারকরা। প্রাথমিকভাবে তারা বলত, খুব অল্প সংখ্যক টাকা বিনিয়োগ করতে। ১ থেকে ১০ হাজার টাকা একবার বিনিয়োগ করলেই প্রতিদিন ১ থেকে ৫ হাজার টাকা রিটার্ন পাবেন। অনেকেই এই টোপ গিলতেন এবং টাকা বিনিয়োগ শুরু করতেন। প্রথম দিকে সত্যিই মোটা অঙ্কের টাকা রিটার্ন পেতেন। অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে সরাসরি ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্টে সেই টাকা জমা পড়ত।
তবে কথায় আছে, লোভে পাপ, আর পাপে…। ঠিক এইভাবেই যখন সাধারণ মানুষ লক্ষাধিক টাকা বিনিয়োগ করতেন, তখনই আসল প্রতারণা হত। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ১ থেকে ১০ লক্ষ টাকা বা তার বেশি অঙ্কের বিনিয়োগ যেই মুহূর্তে করতেন কেউ, তারপরই প্রতারকরা সবরকমের যোগাযোগ বন্ধ করে দিত। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যে টাকা পাঠাত প্রতারকরা, সেই টাকা তুলতে গেলে নিমেষে পুরো অ্যাকাউন্টই ফাঁকা হয়ে যেত। দেশ জুড়ে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ এইভাবে প্রতারিত হয়েছেন।
প্রতারকরা সকলের কাছ থেকে যে লক্ষাধিক টাকা করে সংগ্রহ করত, তা একটা মূল অ্যাকাউন্টে জমা হত। এরপরে হাওয়ালার মাধ্যমে সেই টাকা গায়েব করে দেওয়া হত। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বিটকয়েন, অনলাইন গেটওয়ে, বিভিন্ন গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে সব মিলিয়ে মোট ৮৫৪ কোটি টাকার প্রতারণা করা হয়েছে।