Bengaluru: চিড় ধরছে দেওয়ালে, রাতারাতি বেঁকে গেল ৩ বছরের পুরনো বিল্ডিং! ঘরছাড়া ৩২টি পুলিশ পরিবার

Bengaluru Building Tilt: বেঙ্গালুরুর নতুন রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাড়ি বেঁকে যাওয়া। ভিত মজবুত না হওয়ায় কিংবা বেআইনিভাবে বাড়িগুলি তৈরি করায় বিগত এক মাস ধরেই একের পর এক বাড়ি বেঁকে যাচ্ছে।

Bengaluru: চিড় ধরছে দেওয়ালে, রাতারাতি বেঁকে গেল ৩ বছরের পুরনো বিল্ডিং! ঘরছাড়া ৩২টি পুলিশ পরিবার
বেঁকে গেল ৩ বছরের পুরনো পুলিশ কোয়ার্টারের বিল্ডিংও।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 17, 2021 | 10:30 AM

বেঙ্গালুরু: মাত্র তিন বছর আগেই তৈরি হয়েছিল পুলিশ আবাসন (Police Quarter)। রাতারাতিই ফাটল ধরল নীচের তলায়, ধীরে ধীরে বেঁকতে শুরু করল আস্ত একটি সাততলা বিল্ডিং। বিপদ বুঝতে পেরেই ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন বাসিন্দারা। আপাতত বাড়ি ভেঙে পড়ার ভয়ে ঘরছাড়া ৩২টি পরিবার।

বেঙ্গালুরু(Bengaluru)-র নতুন রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাড়ি বেঁকে যাওয়া। ভিত মজবুত না হওয়ায় কিংবা বেআইনিভাবে বাড়িগুলি তৈরি করায় বিগত এক মাস ধরেই একের পর এক বাড়ি বেঁকে যাচ্ছে। গত সপ্তাহেই একটি চারতলা বাড়ি বেঁকে যায়। তার আগেও একটি তিনতলা বাড়ি একদিকে বেঁকে যায় এবং কিছু অংশ ভেঙেও পড়ে। পরে প্রশাসনের তরফে দুটি বাড়ির ভেঙে দেওয়া হয় আশেপাশের মানুষদের সুরক্ষার কথা ভেবে। এ বার পালা পুলিশ আবাসনেরও।

বেঙ্গালুরুর বিন্নি মিলস এলাকায় যে পুলিশ কোয়ার্টারটি রয়েছে, তারই একটি বিল্ডিং শনিবার আচমকাই বেঁকতে শুরু করে। নীচের তলায় ফাটলও দেখা যায়। এরপরই বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। প্রশাসনে খবর দেওয়া হলে তাদের বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসতে বলা হয়।  পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ৩২টি পুলিশ পরিবারকে আপাতত নাগারভাবী এলাকায় একটি পুলিশ কোয়ার্টারে স্থানান্তরিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বিগত কয়েকদিন ধরে যে পরিমাণে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে, তার জেরেও একাধিক বাড়ির ভিত আলগা হয়ে যেতে পারে এবং সেই কারণেই বাড়িগুলি বেঁকে যাচ্ছে। বৃহৎ বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকার কমিশনার গৌরব গুপ্তা বলেন, “আমরা প্রায় ৩০০টি বাড়িকে চিহ্নিতকরণ করেছি ভেঙে ফেলার জন্য়। বাড়ি মালিকদের কাছে এই মর্মে নোটিস পাঠানো হয়েছে এবং তাদের বলা হয়েছে, বাড়ি ভাঙা রুখতে উপযুক্ত প্রমাণ দিতে হবে যে বাড়িটি সুরক্ষিত।”

বিগত দুই বছর ধরেই বেঙ্গালুরু জুড়ে বেআইনি ও ভেঙে পড়তে পারে, এইধরনের বাড়ি চিহ্নিত করার কাজ চলছিল। গত ২৭ সেপ্টেম্বর উইলসন গার্ডেনে প্রথম বাড়িচি ভেঙে পড়ার পরই তৎপর হয়ে ওঠে প্রশাসন। ওই ঘটনার সময়ই পাশে মেট্রোরেলের কাজ করছিলেন ৫০ জন শ্রমিক। কোনওমতে প্রাণে রক্ষা পান তারা। এরপরে ডেয়ারি সার্কেলের একটি বাড়ি ভেঙে পড়ে। বিগত দুই সপ্তাহে কস্তুরি নগর ও কমলা নগরের দুটি বাড়িও বেঁকে যায়। বাসিন্দাদের সুরক্ষিতভাবে উদ্ধার করে আনার পর তা ভেঙে ফেলা হয়।