১১ টি আসনে মার্জিন ১,০০০-এর কম, হিলসায় ব্যবধান ১২ ভোটের, বিহার নির্বাচন যেন ‘হিচককের থ্রিলার’
'টাফ ফাইট!' একেবারে শেষ পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা। বিহারের বিধানসভা নির্বাচন যে কোনও থ্রিলার সিনেমাকে হার মানায়।
TV9 বাংলা ডিজিটাল: ‘টাফ ফাইট!’ একেবারে শেষ পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা। বিহারের বিধানসভা নির্বাচন ( Bihar Assembly Elections 2020) যে কোনও থ্রিলার সিনেমাকে হার মানায়। ২৪৩ আসনের মধ্যে ১১ টি আসনে জয়ের ব্য়বধান ১ হাজারেরও কম ভোট। ৭ আসনে তো ৫০০-রও কম। আর একটি আসনে জয়ী নির্বাচিত হয়েছেন মাত্র ১২ ভোটের ব্যবধানে।
একাধিক বুথ ফেরত সমীক্ষা বলেছিল, ক্ষমতায় আসছে মহাগঠবন্ধন। লণ্ঠন হাতে মসনদে বসবেন লালুপুত্র তেজস্বী যাদব। কিন্তু নির্বাচনে উলটে গেল সব সমীক্ষার ফল। প্রত্যেক আসনেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। পেন্ডুলামের মতো একবার ভোট প্রবণতা আসছিল এনডিএর দিকে তো একবার মহাগঠবন্ধনের দিকে। অবশেষে ১২৫ টি আসনে জয়ী হয়ে সরকার গড়তে চলেছে এনডিএ। বিজেপির হাত ধরে নীতীশ কুমারই হবেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে দারুণ ফল আরজেডি ও বামেদের। মহাগঠবন্ধন পেয়েছে ১১০ টি আসন।
बिहार ने दुनिया को लोकतंत्र का पहला पाठ पढ़ाया है। आज बिहार ने दुनिया को फिर बताया है कि लोकतंत्र को मजबूत कैसे किया जाता है। रिकॉर्ड संख्या में बिहार के गरीब, वंचित और महिलाओं ने वोट भी किया और आज विकास के लिए अपना निर्णायक फैसला भी सुनाया है।
— Narendra Modi (@narendramodi) November 10, 2020
হিলসা আসনে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জনতা দলের প্রার্থী প্রেম মুখিয়া পেয়েছেন ৬১ হাজার ৮৪৮ টি ভোট। আর সেই আসনেই আরজেডির আরতি মুনি অরূপে শক্তি সিং যাদব পেয়েছেন ৬১ হাজার ৮৩৬ ভোট। অর্থাৎ জেডিইউ প্রার্থী জিতেছেন মাত্র ১২ ভোটের ব্যবধানে। গত ২০১৫ নির্বাচনে এই আসনে শক্তি সিং যাদব জিতেছিলেন ২৬ হাজার ৭৬ ভোটে। সেই মার্জিন এখন ১২। যেখান থেকে স্পষ্ট আন্দাজ করা যায়, লড়াই কতটা জব্বর ছিল।
बिहार के हर वर्ग ने फिर एक बार खोखलेवादे, जातिवाद और तुष्टिकरण की राजनीति को सिरे से नकार कर NDA के विकासवाद का परचम लहराया है।
यह हर बिहारवासी की आशाओं और आकांक्षाओं की जीत है…@narendramodi जी और @nitishkumar जी के डबल इंजन विकास की जीत है।@BJP4Bihar के कार्यकर्ताओं को बधाई।
— Amit Shah (@AmitShah) November 10, 2020
বারবিঘা আসনে জেডিইউ প্রার্থী সুদর্শন কুমার কংগ্রেসের গজানন শাহীকে হারিয়েছেন মাত্র ১১৩ ভোটে। ভোরে কেন্দ্রে জেডিইউ প্রার্থী সুশীল কুমার জিতেছেন মাত্র ৪৬২ ভোটে। দেহরি আসনে আরজেডি প্রার্থী ফতেবাহাদুর বিজেপির সত্য নারায়ণকে হারিয়েছেন ৪৬৪ ভোটে। মতিহানিতে চিরাগ পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি জেডিইউ প্রার্থী নরেন্দ্র কুমারকে হারিয়েছেন ৩৩৩ ভোটে। রামগড়ে আরজেডির সুধাকর সিং বহুজন সমাজ পার্টির অম্বিকা সিংকে হারিয়েছেন মাত্র ১৮৯ ভোটে। বচওয়ারা কেন্দ্রেও ভোট ব্যবধান ৫০০-র কম। বিজেপির সুরেন্দ্র মেহতা এই আসনে কমিউনিস্ট পার্টির অবধেস রাইকে হারিয়েছেন মাত্র ৪৮৪ ভোটে। এছাড়াও বখরি, কুরহানি, চাকাই ও পরবত্তা কেন্দ্রে ভোটের মার্জিন ১০০০- এর কম।
ইতিমধ্যেই তেজস্বী যাদবের আরজেডির ভোট গণনায় প্রশ্ন তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন। বিবৃতি দিয়ে আরজেডি জানিয়েছে হিলসা কেন্দ্রে শক্তি সিংকে ৫৪৭ ভোটে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল। তারপর মুখ্যমন্ত্রী থেকে ফোন আসার পরে ঘোষণা করা হয়, পোস্টাল ব্যালট বাতিল হওয়ায় ১৩ ভোটে হেরেছেন আরজেডি প্রার্থী। এমনই অভিযোগ তেজস্বী শিবিরের।