Nitish Kumar: বিরোধী-ঐক্যে শান? মমতার সঙ্গে বৈঠক করতে আজ কলকাতায় নীতীশ কুমার
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পরই লখনউ উড়ে যাবেন নীতীশ (Nitish Kumar)। মূলত আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে 'পাখির চোখ' করে বিরোধী জোটের শান দিতেই নীতীশ কুমারের এবারের বাংলা ও লখনউ সফর বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
কলকাতা: আজ, সোমবারই কলকাতায় আসছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা JD(U) প্রধান নীতীশ কুমার। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পরই লখনউ উড়ে যাবেন নীতীশ (Nitish Kumar)। মূলত আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে ‘পাখির চোখ’ করে বিরোধী জোটের শান দিতেই নীতীশ কুমারের এবারের বাংলা ও লখনউ সফর বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এ বিষয়ে নীতীশ কুমারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি গোটা বিষয়টি এড়িয়ে যান। বলেন, “এখন কেন এই ধরনের প্রশ্ন করা হচ্ছে? যখন সবকিছু ঠিক হবে তখন আমরাই জানাব।” নীতীশ কুমারের এই মন্তব্যে জোট-জল্পনা আরও বাড়ছে বলে মনে করছে রাজনীতিকদের একাংশ।
সূত্রের খবর, এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে আসবেন নীতীশ কুমার। তবে তিনি একা নন, সঙ্গে বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা লালু-পুত্র তেজস্বী যাদবও কলকাতায় আসছেন। দুজনেই নবান্নে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন। তারপর এদিনই লখনউ উড়ে যাবেন নীতীশ-তেজস্বী। সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদবের সঙ্গে বৈঠক করতেই তাঁরা লখনউ যাবেন বলে সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে।
কিছুদিন আগেই সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব কলকাতায় এসেছিলেন। তিনি সরাসরি বিমানবন্দর থেকে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে বাড়িতে যান এবং সেখানে বেশ কিছুক্ষণ দুজনের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এজেন্সি নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় অখিলেশকে। অন্যদিকে, সম্প্রতি ওড়িশা সফরে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজু জনতা দলের নেতা নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। আবার তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম.কে স্ট্যালিনের সঙ্গেও সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা হয়েছে। এই আবহে নীতীশ কুমারের বাংলা ও লখনউ সফর বিশেষ তাৎপর্যমূলক।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বকেয়া মেটানোর দাবিতে কিছুদিন আগের ধরনায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ধরনা মঞ্চ থেকে বিরোধীদের একজোট হওয়ার বার্তা দেন তিনি। অন্যদিকে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ থেকে খারিজ করার ঘটনায় দিল্লিতে বিরোধীরা একজোট হয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। এমনকি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের নেতৃত্বে বিরোধীরা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে দু-দফায় বৈঠকেও বসেছেন। যদিও সেই বৈঠকে যোগ দেয়নি তৃণমূল। তবে আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে তৃণমূল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে যোগ রয়েছে তা সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতেই স্পষ্ট। কেন্দ্রীয় এজেন্সির তৎপরতা নিয়ে অন্যান্য বিরোধী দলের সঙ্গে তৃণমূলও স্বাক্ষর সম্বলিত চিঠি পাঠিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। সবমিলিয়ে, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে ‘পাখির চোখ’ করে বিরোধীরা জোট করার চেষ্টা শুরু করে দিয়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।