NEET Scam: বিহারের রিপোর্টেও NEET-এ ‘পেপার লিকের’ উল্লেখ, কীভাবে পরীক্ষার আগের রাতে বাজি মেরেছিল সলভার গ্যাং?
NEET Question Paper Leak: রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, তল্লাশিতে যে আধ পোড়া কাগজ উদ্ধার করা হয়েছিল, তা প্রশ্নপত্রেরই ফোটোকপি ছিল। জেরায় অভিযুক্তরাও এ কথা স্বীকার করে নিয়েছে। গ্রেফতার হওয়া ৪ পরীক্ষার্থী জানিয়েছে, তাঁরা রাজবংশী নগরের একটি বাড়ি থেকে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করেছিল। ওই প্রশ্ন দেখেই সমস্ত উত্তর মুখস্থ করেছিল।
নয়া দিল্লি: ফাঁসই হয়েছিল নিট পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র। আরও জোরাল হল অভিযোগ। নিট নিয়ে বিহার সরকারের রিপোর্টেও উল্লেখ করা হল ‘পেপার লিকের’ (Paper Leak) কথা। সূত্রের খবর, নিট পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল কি না, সে বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে বিহারের ইকোনমিক অফেন্স উইংয়ের (Bihar Economic Offence Wing) কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছিল। ৬ পাতার রিপোর্ট জমা দিয়েছে ইকোনমিক অফেন্স উইং। তাতেই উল্লেখ প্রশ্ন ফাঁসের। পাশাপাশি ‘সলভার গ্য়াং’ (Solver Gang) জড়িত থাকতে পারে এই প্রশ্নপত্র ফাঁসে, সেই ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছে রিপোর্টে।
নিট পরীক্ষা হয়েছিল ৫ মে, ফল প্রকাশ হয়েছিল ৪ জুন। পরীক্ষার পরেরদিনই, প্রশ্নপত্র ফাঁস ও নিট পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে বিহার থেকে ৪ পরীক্ষার্থী সহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এরপর তদন্তভার নেয় ইকোনমিক অফেন্স উইং।
নিট নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক শুরু হতেই বিহারের ইকোনমিক অফেন্স উইংয়ের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছিল কেন্দ্র। সেই রিপোর্টই জমা পড়েছে। আর তাতে তিনটি বিষয় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথম, নিট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল। দ্বিতীয়, যা প্রমাণ মিলেছে, তার ভিত্তিতে অনুমান, ‘সলভার গ্যাং’ নামে বিহারের কুখ্যাত গ্যাং এই প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত। তৃতীয়, শুধু বিহার নয়, আন্তঃরাজ্যে প্রশ্নপত্র ফাঁসের র্যাকেট চালাচ্ছিল এই গ্যাং।
সূত্রের খবর, রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, তল্লাশিতে যে আধ পোড়া কাগজ উদ্ধার করা হয়েছিল, তা প্রশ্নপত্রেরই ফোটোকপি ছিল। জেরায় অভিযুক্তরাও এ কথা স্বীকার করে নিয়েছে। গ্রেফতার হওয়া ৪ পরীক্ষার্থী জানিয়েছে, তাঁরা রাজবংশী নগরের একটি বাড়ি থেকে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করেছিল। ওই প্রশ্ন দেখেই সমস্ত উত্তর মুখস্থ করেছিল। নিট পরীক্ষায় এই ৪ অভিযুক্ত ৭২০-তে যথাক্রমে ৫৮১, ৪৮৩, ৩০০ ও ১৮৫ পেয়েছে।
রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে বিহারের সলভার গ্য়াংয়ের সঙ্গে আরও একটি গ্যাং প্রশ্নপত্র ফাঁস ও তা বিক্রির কাজ করেছিল। এই গ্যাং ঝাড়খণ্ডের। বিহারের ইকোনমিক অফেন্স উইংয়ের অনুমান, ঝাড়খণ্ড থেকেই প্রথম প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল, তা ‘মিডল ম্যান’দের মাধ্যমে বিহারে পৌঁছয়। পরীক্ষার আগের রাতে তাদের ওই প্রশ্ন দেখে সমস্ত উত্তর মুখস্থ করানো হয়েছিল।
পরীক্ষার দিনই পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে প্রশ্নপত্র ফাঁসের খবর আসে। এরপর অভিযান চালিয়ে রাজবংশী নগরের বাড়ি থেকে পরীক্ষার্থী সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় আধ পোড়া প্রশ্নপত্র।