কেউ কাউকে দেশ থেকে বের করতে পারবে না, ভোট প্রচারে সিএএ নিয়ে সরব নীতীশ
TV9 বাংলা ডিজিটাল: বিহার (Bihar)-এর শেষ দফা ভোটের প্রচারে নীতীশ কুমারের মুখে শোনা গেল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ (CAA) নিয়ে আশ্বাস বাণী। রাজ্যবাসীর উদ্দেশে নীতীশের বার্তা, কেউ কাউকে দেশ থেকে বের করবে না। এসব যারা বলছে, নিছক ‘গুজব’ রটাচ্ছে। পূর্ণিয়া, কাটিহার, আরারিয়া ও কিষাণগঞ্জ-এই চার জেলা নিয়ে বিহার (Bihar)-এর সীমানা। রাজ্যের এই অংশে সংখ্যালঘু […]
TV9 বাংলা ডিজিটাল: বিহার (Bihar)-এর শেষ দফা ভোটের প্রচারে নীতীশ কুমারের মুখে শোনা গেল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ (CAA) নিয়ে আশ্বাস বাণী। রাজ্যবাসীর উদ্দেশে নীতীশের বার্তা, কেউ কাউকে দেশ থেকে বের করবে না। এসব যারা বলছে, নিছক ‘গুজব’ রটাচ্ছে।
পূর্ণিয়া, কাটিহার, আরারিয়া ও কিষাণগঞ্জ-এই চার জেলা নিয়ে বিহার (Bihar)-এর সীমানা। রাজ্যের এই অংশে সংখ্যালঘু ভোটারের সংখ্যা প্রচুর। বিহার বিধানসভা ভোটে (Bihar Assembly Vote)-র শেষ দফার প্রচারে বুধবার এই সব অঞ্চলে যান জেডি(ইউ) নেতা নীতীশ কুমার (Nitish kumar)। বলেন, মন থেকে সিএএ নিয়ে ভয় তাড়ান। বরং ভাবুন, এই সরকারই মাদ্রাসার শিক্ষকদের বেতন বাড়িয়েছে।
কিষাণগঞ্জে নীতীশ বলেন, ”এই সরকার সৌভ্রাতৃত্ব, শান্তি, ভালবাসায় বিশ্বাসী। মানুষের মধ্যে তা ছড়িয়েও দিয়েছে। কারও শক্তি নেই একজনকেও এই দেশ থেকে সরাবে।” এরপরই সিএএ নিয়ে ‘গুজব’ ছড়ানোর অভিযোগ তুলে নীতীশ বলেন, “কে এই ভুলভাল কথাগুলো মানুষের মধ্যে ছড়াচ্ছে? কে দেশের মানুষকে দেশ থেকে তাড়াবে? আমাদের লোকজনের সঙ্গে এমন করার এমন শক্তি কারও নেই। গোটা হিন্দুস্তান এক। গোটা ভারত এক। কে কাকে বাইরে পাঠাবে।”
मदरसा, संस्कृत शिक्षकों को सम्मान देने का काम किया, हम किसी को भी तकलीफ नहीं होने देंगे, सभी के विकास के लिए काम करना हमारा लक्ष्य है। pic.twitter.com/7bRegwo45Y
— Nitish Kumar (@NitishKumar) November 4, 2020
নীতীশের দাবি,” আমাদের সরকার সবসময় ভালবাসা, সম্প্রীতি নিয়ে কাজ করে। কিছু মানুষ এই সমাজে লড়াই লাগাতে পারলে শান্তি পায়। তাই কোনও কাজ করে না। আমরা কাজ করি, এটাই আমাদের লক্ষ্য। সকলে মিলেমিশে থাকলে, শান্তিতে থাকলেই সমাজ এগোবে। মানুষ এগোবে। উন্নতি হবে।”
আরারিয়ায় প্রচারে নীতীশ বলেন, “একমাত্র এই সরকার মাদ্রাসার শিক্ষকদের নিয়ে চিন্তাভাবনা করেছে। এর আগে কোনও সরকার করেনি। সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা যে বেতন পান, মাদ্রাসার শিক্ষকরাও সেই বেতনই পান।” সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে গোটা দেশ যখন উত্তাল হয়, বিহারেও তার ঢেউ আছড়ে পড়ে।
লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডি এই আইনের প্রবল বিরোধিতা করে। হরতাল, বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয় পাটনা, দ্বারভাঙা। এই আরারিয়াতেও চলে বিক্ষোভ, আন্দোলন। কিন্তু প্রশ্ন হল, বিজেপি যখন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এতটা উৎসাহী, সেখানে এনডিএ’র শরিক দল জেডি(ইউ)-এর এই আশ্বাস শরিকি ঝামেলার উদ্রেক করবে না তো?