৩৭০ ধারা ইস্যুতে মন্তব্যের জের? ফারুক আবদুল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডি-র
নিজস্ব প্রতিবেদন: জম্মু কাশ্মীরে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ। শ্রীনগরের সাংসদ ফারুক আবদুল্লাকে ( Farooq Abdullah) জিজ্ঞাসাবাদ ইডি-র। সোমবার সকালেই তাঁকে জেরা করেন ইডি আধিকারিকরা। জম্মু-কাশ্মীরের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশানে আর্থিক দুর্নীতি মামলার প্রেক্ষাপট ২০০২ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশানের আর্থিক তছরূপের অভিযোগ ওঠে। সেইসময় ৪৩ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা দুর্নীতি হয় বলে অভিযোগ। […]
নিজস্ব প্রতিবেদন: জম্মু কাশ্মীরে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ। শ্রীনগরের সাংসদ ফারুক আবদুল্লাকে ( Farooq Abdullah) জিজ্ঞাসাবাদ ইডি-র। সোমবার সকালেই তাঁকে জেরা করেন ইডি আধিকারিকরা।
জম্মু-কাশ্মীরের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশানে আর্থিক দুর্নীতি মামলার প্রেক্ষাপট
২০০২ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশানের আর্থিক তছরূপের অভিযোগ ওঠে। সেইসময় ৪৩ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা দুর্নীতি হয় বলে অভিযোগ। তদন্ত শুরু করে সিবিআই। দুর্নীতির অভিযোগে ফারুক আবদুল্লাহ-সহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিটও ফাইল করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
ভয় দেখাত ইডি-কে ব্যবহার করছে কেন্দ্র, পাল্টা তোপ ন্যাশনাল কনফারেন্সের
তবে দলের নেতাা কর্মীদের অভিযোগ, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ফেরানোর জন্য যে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন ফারুখ, এটা তারই বদলা। অর্থাত্ তাঁর আন্দোলনকে প্রশমিত করতেই কেন্দ্র সরকার ইডিকে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ। দলের বক্তব্য, “আমরা জানি এমনটা হতেই চলেছে। সেটা আগে থেকেই আন্দাজ করা গিয়েছিল। রাজনৈতিকভাবে লড়াই না করে এটা অন্য পথে হেঁটে বদলা নেওয়া হচ্ছে।”
আপাত ভাবলেশহীনভাবে ফারুক আবদুল্লার বক্তব্য, “এটা নোংরা রাজনীতি ছাড়া আর কিছুই নয়।” এদিন ফারুক আবদুল্লার কাছে ইডি সমন যাওয়ার পরই মেহবুবা মুফতির টুইট, “ইডি-র এই সমন কেন্দ্রের দুর্বলতাকে আরও বেশি করে প্রকট করে দিল। জম্মু কাশ্মীরের স্বার্থের জন্য আমরা যে লড়াইয়ের পথে হাঁটছি, তার বিরোধিতা রাজনৈতিকভাবে করতে পারল না কেন্দ্র। ফারুক সাহেব এই লড়াইয়ের অন্যতম প্রধান মুখ। তাঁকে প্রতিহত করতেই এই পদক্ষেপ কেন্দ্রের।”
৩৭০ ধারা ইস্যুতে সেদিন ফারুক আবদুল্লার বক্তব্য
২০১৯-এর ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ – দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে দেওয়ার আইন পাশ হয় সংসদে। রাজ্য়বাসীর সুরক্ষার স্বার্থ দেখিয়ে ফারুক আবদুল্লা আন্দোলনের পথে হাঁটেন। তিনি অভিযোগ করেন, জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের জেরেই লাদাখ সীমান্তের এই পরিস্থিতি। তাঁর বিস্ফোরক বক্তব্য, “আমি আশা করি, চিনের সহযোগিতায় আবার জম্মু কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা লাগু করা হবে।” এরপরই বিজেপি নেতাদের রোষের মুখে পড়েন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান বিজেপি নেতারা।