২৫ দিনেই কমপক্ষে মৃত্যু ৩৪, অসুস্থ গ্রামের ৭০ শতাংশই, করোনার সরকারি নথির সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র বিহারের গ্রামে
গ্রামবাসীদের দাবি, অধিকাংশেরই মৃত্যু হয়েছে করোনার উপসর্গে। কখনও কখনও পরীক্ষা করা হয়েছে, কখনও আবার রিপোর্ট আসার আগেই রেগীর মৃত্যু হয়েছে।
পটনা: বিহারে করোনা সংক্রমণ বাড়তেই নীতিশ কুমারের সরকার আগামী ২৫ মে অবধি লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু সরকারের তরফে আদৌই আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার সঠিক তথ্য দেওয়া হচ্ছে কিনা, তা ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রতিদিন যে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার পরিসংখ্যান দেওয়া হয়, সেখানে দেখা যাচ্ছে কাইমুর জেলা বিগত একদিনে ২৩জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হলেও কোনও মৃত্যু হয়নি। এ দিকে, বমহৌর খাস গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, বিগত ২৫ দিন ধরে গ্রামে কমপক্ষে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা সাধারণের তুলনায় অনেক বেশি। এছাড়াও গ্রামের প্রায় ৭০ শতাংশ বাসিন্দাই অসুস্থ।
গ্রামবাসীদের দাবি, অধিকাংশেরই মৃত্যু হয়েছে করোনার উপসর্গে। কখনও কখনও পরীক্ষা করা হয়েছে, কখনও আবার রিপোর্ট আসার আগেই রেগীর মৃত্যু হয়েছে। এক ব্যক্তি, যার বাবা মারা গিয়েছেন, তিনি বলেন, “করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ় নেওয়ার পরই তাঁর জ্বর আসে। হৃৎরোগী ও মধুমেহ থাকায়, তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে একটি ইঞ্জেকশন দিলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি।” তিনিই জানান, এত কম সময়ে এতজনের মৃত্যু এর আগে কখনও হয়নি। করোনা সংক্রমণের কারণেই সকলের মৃত্যু হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।
প্রশাসনিক অধিকর্তাদের এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তারা জানান, বিষয়টি নজরে এসেছে, গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে। বৃহস্পতিবার বিহার সরকারের তরফে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে ৭৭৫২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই নিয়ে রাজ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৯৬ হাজার ২৭৭।
এ দিকে, গঙ্গায় শতাধিক দেহ ভেসে যাওয়ার ঘটনায় রাজ্যের প্রকাশিত তথ্য নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি করেছে। যদিও গঙ্গায় দেহ ভাসার ঘটনার দায় উত্তর প্রদেশ সরকারের উপরই চাপিয়ে দিয়েছে বিহার সরকার। তাদের দাবি, উত্তর প্রদেশেই নদীতীরে ও গঙ্গায় দেহ ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেগুলিই ভেসে বিহারে চলে এসেছে।
আরও পড়ুন: করোনার সুনামিতে ইদের খুশিতে ভাটা, বন্ধ জামা মসজিদের রাস্তা