Murder Case: একই প্যাটার্ন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পরপর খুন ২ দলের নেতা, ক্ষোভের আগুনে ফুঁসছে জনতা

Murder Case: জানা গিয়েছে, বিজেপি নেতা নিজের ইটভাটা থেকে ফিরছিলেন। মাঝরাস্তায় একদল অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতী তাঁর বাইক ঘিরে ধরে এবং এলোপাথাড়ি কোপ মারতে শুরু করে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতী।

Murder Case: একই প্যাটার্ন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পরপর খুন ২ দলের নেতা, ক্ষোভের আগুনে ফুঁসছে জনতা
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিজেপি ও এআইএডিএমকে নেতা খুন।Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: Jul 29, 2024 | 6:35 AM

চেন্নাই: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুন দুই রাজনৈতিক দলের কর্মী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় তামিলনাড়ু। একদিকে শিবগঙ্গা জেলায় বিজেপি কর্মীকে রাস্তায় খুন করা হয়েছে, অন্যদিকে, কাড্ডালোরে বিরোধী দল এআইএডিএমকে-র এক কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়। এরপরই শোরগোল পড়ে যায়। রাজ্যের শাসক দল ডিএমকে-র বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থাকে নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।

শনিবার শিবগঙ্গার বিজেপি জেলা সভাপতি সেলভা কুমারের নিথর দেহ উদ্ধার হয় রাস্তার ধার থেকে। জানা গিয়েছে, তিনি নিজের ইটভাটা থেকে ফিরছিলেন। মাঝরাস্তায় একদল অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতী তাঁর বাইক ঘিরে ধরে এবং এলোপাথাড়ি কোপ মারতে শুরু করে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতী। বেশ কিছুক্ষণ পর এক স্থানীয় বাসিন্দা বিজেপি নেতাকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ আসার আগেই সেলভা কুমারের মৃত্যু হয়। পরে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিৎসকরাও মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এই ঘটনার রেশ কাটার আগেই,  ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুন হন রাজ্যের আরেক বিরোধী দল এআইএডিএমকে-র এক কর্মী।  পদ্মনাভন নামে এআইএডিএমকে-র ওই কর্মী কাড্ডালোর জেলার ওয়ার্ড সেক্রেটারি ছিলেন। তাঁকেও কয়েকজন অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতী মিলে খুন করেছে বলে অভিযোগ।

বিজেপি নেতার খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় শিবগঙ্গা জেলায়। বিজেপি কর্মীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারির দাবি জানান। বিজেপি নেতার দেহ গ্রহণ করতেও অস্বীকার করা হয়। বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে পরিস্থিতি সামাল দিতে।

পরপর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দুটি খুনের প্রতিবাদ জানিয়ে তামিলনাড়ুর বিজেপি প্রধান কে আন্নামালাই শাসক দল ডিএমকে-র দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। অন্যদিকে শিবগঙ্গার সাংসদ তথা পি চিদাম্বরমের পুত্র কার্তি চিদাম্বরম দাবি করেছেন যে এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।