Rahul Gandhi: ক্ষমা না চাইলে রাহুলকে সংসদে বলতেই দেবে না বিজেপি: সূত্র
BJP on Rahul Gandhi's comment: ভারতীয় গণতন্ত্র নিয়ে মন্তব্যের জন্য যতক্ষণ ক্ষমা না চাইছেন, ততক্ষণ রাহুল গান্ধীকে সংসদে বলতে দেওয়া হবে না। শুক্রবার, বিজেপি সূত্রে এমনই জানা গেল।
নয়া দিল্লি: লন্ডনে, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে ভারতীয় গণতন্ত্র নিয়ে মন্তব্যের জন্য যতক্ষণ ক্ষমা না চাইছেন, ততক্ষণ রাহুল গান্ধীকে সংসদে বলতে দেওয়া হবে না। শুক্রবার, বিজেপি সূত্রে এমনই জানা গেল। এদিন টানা দ্বিতীয় দিনের জন্য কোনও কর্মকাণ্ড ছাড়াই মুলতুবি হয়ে গিয়েছে সংসদের দুই কক্ষের কার্যক্রম। বিজেপি সাংসদরা রাহুল গান্ধীকে ক্ষমা চাইতে হবে দাবি করে স্লোগান দিতে থাকেন। উল্টো দিকে আদানি-হিন্ডেনবার্গ ইস্যুর তদন্তের জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন কংগ্রেস-সহ বিরোধী সাংসদরা। এই তুমুল হইচইয়ের মধ্যে আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত দুই কক্ষেরই অধিবেশন স্থগিত রাখা হয়।
দুই পক্ষ যখন স্লোগান দিচ্ছিল, সেই সময় সংসদের সমস্ত মাইক মিউট করে দেওয়া হয়। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই ঘটনা নিয়ে টুইটারে কটাক্ষ করা হয়েছে। হিন্দিতে করা ওই টুইটে বলা হয়েছে, “প্রথমে মাইক বন্ধ করা হত, আজ সদনের কার্যক্রমই মিউট করে দেওয়া হল। প্রধানমন্ত্রী মোদীর বন্ধুর জন্য সদন মিউট করা হল।” গত বাজেট অধিবেশের প্রথম পর্ব থেকেই কংগ্রেস দাবি করছে, সংসদে বিরোধীদের কথা যাতে না শোনা যায়, তার জন্য মাইক বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও সংসদে এসেছিলেন রাহুল গান্ধী। তাঁর মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ার পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার তিনি সংসদে এলেন। তিনি জানিয়েছেন, সংসদে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগের উত্তর দিতে চান। তবে, বিজেপির দাবি, তাঁকে প্রথমে ক্ষমা চাইতে হবে। তারপরই তিনি সংসদে বক্তব্য রাখতে পারেন।
ভারতীয় গণতন্ত্র নিয়ে মন্তব্যের জন্য রাহুল গান্ধীর সমালোচনায় গলা মিলিয়েছেন বহু বিজেপি নেতাই। শেহজাদ পুনাওয়ালা সংসদ অচল থাকার জন্য গান্ধী পরিবারের অহঙ্কারকে দায়ী করেছেন। টুইটে তিনি বলেছেন, “সংসদের মতো প্রতিষ্ঠানেরও উপরে ১ নম্বর পরিবারের ইগো? এটা দুঃখজনক। আমাদের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে রাহুল এক মারাত্মক এবং আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেছেন। বিদেশের মাটিতে বসে বিদেশি শক্তির নাক গলানোর দাবি করেছেন। সংসদকে যদি তিনি গুরুত্ব দেন, তাহলে সংসদে ফেরার আগে সংসদের বাইরে তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত। আপনি সংসদকে ছোট করে, এর কার্যক্রমে অংশ নিতে পারেন না”
তথ্যমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন, “একের পর এক মিথ্যা বলা ওঁর অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। মিথ্যা বলে আপনি নিজেকে সংসদের থেকে বড় হিসেবে দেখাতে চাইছেন, দেশের থেকে বড় করে দেখাতে চাইছেন। ওঁর নিঃস্বার্থ ক্ষমা চাওয়া উচিত।” আইনমন্ত্রী কিরণ রিজিজু বলেছেন, “রাহুল গান্ধীর গলায় ‘ভারত-বিরোধী শক্তির’ কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে।” আর বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে রাহুলের মন্তব্যের বিষয়ে তদন্তের জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন।