ক্যাবিনেটে নেই সর্বানন্দ, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তকে শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
অসমের নির্বাচনের আগে থেকেই মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। বারবার এ কথা বলেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
গোয়াহাটি: অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himant Biswa Sharma)। করোনা আবহে সীমিত কয়েকজনকে নিয়েই ১৩ ক্যাবিনেট মন্ত্রী-সহ শপথ গ্রহণ হল হিমন্তের। রাজ্যপাল জগদীশ মুখি শপথ বাক্য পাঠ করান ক্যাবিনেটের সদস্যদের। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও।
অসমের নির্বাচনের আগে থেকেই মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। বারবার এ কথা বলেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। অসমে বিজেপি-জোট জয়লাভ করার পর গত শনিবার দিল্লি উড়ে যান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল ও প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। সেখানে অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা ও বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষের সঙ্গে বৈঠক হয়ে দু’জনের। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তবে হিমন্তের ক্যাবিনেটে নেই সর্বানন্দ। গত বারের ৭ জন মন্ত্রী ফের এ বার মন্ত্রী হচ্ছেন অসমে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপির জোটসঙ্গী অসম গণ পরিষদের অতুল বোরা, কেশব মাহান্ত, বিজেপির পরিমল শুল্কবৈদ্য, চন্দ্রমোহন পটোয়ারি, সঞ্জয় কিশান, জোগেন মোহন ও পীযূষ হাজারিকা। হিমন্তের ক্যাবিনেটে এসেছেন অসমের বিজেপি সভাপতি রণজিৎ দাস। শপথ গ্রহণের পর টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ও তাঁর ক্য়াবিনেটকে শুভেচ্ছে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
Congratulations to @himantabiswa Ji and the other Ministers who took oath today. I am confident this team will add momentum to the development journey of Assam and fulfil aspirations of the people.
— Narendra Modi (@narendramodi) May 10, 2021
হিমন্তের রাজনৈতিক জীবন:
অল অসম স্টুডেন্ট ইউনিয়নের হাত ধরে রাজনৈতিক জীবন শুরু করলেও পরে কংগ্রেসে যোগ দেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। জালুকবাড়ি আসন থেকে ১৯৯৬ সালে প্রথমবার নির্বাচনে লড়লেও হেরে যান তিনি। কিন্তু ২০০২ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের হাত ধরেই মন্ত্রিসভায় প্রবেশ হয় হিমন্ত বিশ্ব শর্মার। এরপর আর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
সবকিছু ঠিক চললেও গোল বাঁধে ২০১৪ সালে। মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে মত বিরোধের জেরেই পরের বছর, অর্থাৎ ২০১৫ সালে বিজেপিতে যোগ দেন হিমন্ত। ২০১৬ সালেই শর্মার কেরামতি টের পায় বিজেপি। ১৫ বছরের কংগ্রেস শাসনে ইতি টেনে শুরু হয় বিজেপির ডবল ইঞ্জিন যাত্রা। দলে যোগ দেওয়ার একবছরের মধ্যেই দলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসেন হিমন্ত বিস্ব শর্মা। মুখ্যমন্ত্রী পদে সর্বানন্দ সোনওয়াল থাকলেও উত্তর-পূর্ব ভারতের সমস্ত সমস্যার সমাধান খুঁজতে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা হিমন্তের কাছেই ছুটতেন।
বিগত পাঁচ বছরে অর্থ, পুরসভা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রক একা হাতেই সামলেছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। অসমে করোনা নিয়ন্ত্রণে তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশংসা করেছেন সকলেই। হাসপাতাল সফর থেকে শুরু করে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ- জনসংযোগ ও কাজের মাধ্যমেই অসমের মানুষের মন জয় করে নেন হিমন্ত।
আরও পড়ুন: ‘হিমশৈলের চূড়ামাত্র’! পূণ্য অর্জনের ঠেলায় সুপার স্প্রেডারে পরিণত কুম্ভ ফেরত দর্শনার্থীরা