শুধু কাকা-ভাইপো নয়, রাজনীতিতে নজির আছে বাবা-ছেলে, শ্বশুর-জামাইয়ের কাজিয়াও!

কাকা-ভাইপোর লড়াই মনে করিয়ে দিচ্ছে দেশের রাজনীতিতে ঘটে যাওয়া এমনই কিছু পারিবারিক দ্বন্দ্ব। যেগুলি অত্যন্ত ঐতিহাসিক তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেন রাজনৈতিক কারবারিরা।

শুধু কাকা-ভাইপো নয়, রাজনীতিতে নজির আছে বাবা-ছেলে, শ্বশুর-জামাইয়ের কাজিয়াও!
অলঙ্করণ: অভিজিৎ বিশ্বাস।
Follow Us:
| Updated on: Jun 21, 2021 | 5:20 PM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: নির্বাচন এলেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ বিজেপি বরাবরই আনে তা হল পরিবারতন্ত্র। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে বংশ পরম্পরায় দেশের শাসনভার সামলিয়েছে গান্ধী পরিবার। কিন্তু এই পরিবারতন্ত্র শুধু গান্ধী পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, প্রায় সব রাজনৈতিক দলেই বিত্তবান। বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার থেকে যাদব, সিন্ধিয়া থেকে স্টালিন, রাজনৈতিক আঙিনায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সে সব পরিবারের উত্তরসূরিরা। আবার ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে গিয়ে পিতা-পুত্র, কাকা-ভাইপো, ভাইয়ে-ভাইয়ে কাজিয়া প্রকাশ্যে এসে নতুন মোড় নিয়েছে পরিবারতন্ত্রের রাজনীতিতে। যেমন, সম্প্রতি মোড় নিচ্ছে পাসওয়ান পরিবারের দ্বন্দ্বের জেরে। কাকা-ভাইপোর লড়াই মনে করিয়ে দিচ্ছে দেশের রাজনীতিতে ঘটে যাওয়া এমনই কিছু পারিবারিক দ্বন্দ্ব। যেগুলি অত্যন্ত ঐতিহাসিক তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেন রাজনৈতিক কারবারিরা।

কাকা-ভাইপোর বিবাদ:

বিহার রাজনীতিতে লালু প্রসাদ, নীতীশ কুমারের মতো লোক জনশক্তি পার্টির নেতা রামবিলাস পাসোয়ানও বরাবরই নিজের পরিবারতন্ত্রে বিশ্বাস রেখেছেন। সেই কারণেই তিনি নিজের পরিবারের সদস্যদেরই সাংসদ-বিধায়ক পদে বসাতেন। ঠিক এভাবেই বলিউডে আত্মপ্রকাশেই মুখ থুবড়ে পড়ার পর বাবার হাত ধরেই রাজনীতির আঙিনায় পা রাখেন চিরাগ পাসোয়ান। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভও করেন চিরাগ। বাবা পাসোয়ানের স্বপ্ন ছিল চিরাগকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসানোর। সেই লক্ষ্যেই চিরাগের হাতেই লোক জনশক্তি পার্টির দায়িত্বভার তুলে দিয়েছিলেন।

কিন্তু চিরাগের হাতে দলের দায়িত্বভার তুলে দেওয়ায় মনে মনেই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন রামবিলাস পাসোয়ানের ছোট ভাই পশুপতি কুমার পরস। কাকা-ভাইপোর আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্কে তিক্ততা বাড়ে গতবছর বিহার নির্বাচনের ঠিক আগে রামবিলাস পাসোয়ানের মৃত্যুর পরই। বাবাকে হারানোর কয়েকদিনের মধ্যেই দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ এনে কাকা পশুপতি কুমারকে দল থেকে বহিষ্কারের হুমকি দিয়েছিলেন। সেই সময়ই পশুপতিও সাফ জানিয়েছিলেন, সেদিন থেকেই চিরাগের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছেন তিনি। চিরাগের কাছে তাঁর কাকা মৃত।

chirag Pashupati Kumar fight

অলঙ্করণ: অভিজিৎ বিশ্বাস।

নির্বাচনে ধরাশায়ী হওয়ার পর যখন দলের অন্দরে চিরাগের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছিল, সেই আগুনে ঘি ঢালেন কাকা পশুপতি। গোপনে নীতীশ কুমারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এনডিএ জোটকেই তিনি সমর্থন জানান। গত সপ্তাহেই এলজেপির পাঁচ সংসদ দল ছাড়ার হুমকি দেন। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে তাঁদের ভিন্ন দল হিসাবে গণ্য করার আবেদনও জানান। এরপরই ড্যামেজ কন্ট্রোলে কাকার বাড়িতে হাজির হয় চিরাগ পাসোয়ান। কিন্তু ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর তাঁকে জানানো হয়, বাড়ি নেই পশুপতি কুমার। ফলে খালি হাতেই ফিরতে হয় তাঁকে। পরের দিনই দলীয় সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় চিরাগকে। সূত্র অনুযায়ী, তাঁর জায়গায় দায়িত্ব পাচ্ছেন সূরজ ভান। একদিকে যেখানে এলজেপির ভিতরেই আরেকটি দল গঠনের জল্পনা শোনা যাচ্ছে, সেখানে পশুপতি কুমারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব পাওয়া নিয়ে বেফাঁস মন্তব্যে নানা বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই জল কোন দিকে গড়ায়, এখন সেটাই দেখার।

ভাইয়ে-ভাইয়ে বিবাদ:

বিহারের রাজনীতির সূত্রেই আলোচনা শুরু হওয়ায় রাজ্যের আরেক রাজনৈতিক পরিবারের উল্লেখ করতেই হয়। তা হল যাদব পরিবার। লালু প্রসাদের দুই পুত্র তেজ প্রতাপ ও তেজস্বী নিজেদের মধ্যে বিবাদের কথা অস্বীকার করলেও ২০১৯ সালেই দুই ভাইয়ের বিবাদ সকলের সামনে চলে এসেছিল। লালুর বড় ছেলে তেজ প্রতাপের সঙ্গে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দাগোরা রাইয়ের মেয়ে ঐশ্বর্যের বিয়ে বাঁচানোর শেষ চেষ্টায় যখন সরন লোকসভা আসন নিয়ে চর্চা চলছিল, তখনই তেজ প্রতাপ জানিয়েছিলেন রাই পরিবারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে তিনি লালু-রাবড়ি মোর্চা তৈরি করবেন। একইসঙ্গে নিজের ঘনিষ্ঠদের টিকিট না দেওয়ায় ভাই তেজস্বীর উপরও অসন্তুষ্ট দাদা তেজ প্রতাপ।

bIhar Yadav Brothers

অলঙ্করণ: অভিজিৎ বিশ্বাস।

অন্যদিকে, লালু প্রসাদ যাদবের বড় মেয়ে মিসা ভারতীও ২০১৮ সালে একটি জনসভায় বলেছিলেন, “আমাদের পরিবারেও দুই ভাইয়ের মধ্যে বিবাদ রয়েছে। হাতের পাঁচটা আঙুল সমান হয় না। কিন্তু আরজেডি একটা বড় পরিবার, তাই সবাই মিলেমিশেই থাকি।” পরে অবশ্য তাঁর মন্তব্যকে বিকৃত করা হচ্ছে বলে দাবি করেন ভারতী। অন্যদিকে তেজস্বী ও তেজ প্রতাপও মুখোমুখি এলে বিবাদের তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছেন বরাবর।

শ্বশুর-জামাতা বিবাদ:

অন্ধ্র প্রদেশের সব থেকে শক্তিশালী রাজনৈতিক পরিবারেও কিন্তু ফাটল ধরেছিল। তামিল অভিনেতা এনটিআর রাজ্যকে দুর্নীতিমুক্ত করতে ১৯৮২ সালে তেলেগু দেশম পার্টির সূচনা করেছিলেন। দলের সংগঠন গড়ার দায়িত্ব দিয়েছিলেন জামাতা চন্দ্রবাবু নাইডুর উপর। রাজ্যের প্রতিটি কোণায় যেভাবে এনটিআর প্রচার চালিয়েছিলেন, তার সরাসরি প্রভাব দেখা যায় ভোটব্যাঙ্কে। ২৯৪টি আসনের মধ্যে ২০২টি আসনেই জয়লাভ করে টিডিপি। এরপর আচমকাই সম্পর্কের সমীকরণ বদলে যায় ১৯৯৫ সালে। তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদে এনটিআর বসতেই তাঁর বিরুদ্ধে চলে যান অন্যতম আস্থাভাজন চন্দ্রবাবু। রাতারাতি পতন হয় এনটিআরের, দলের ২০০ জন সাংসদ-বিধায়কই চন্দ্রবাবুর হাত ধরেন। শ্বশুর-জামাতার মধ্যে বিভেদ এতটাই চরমে পৌঁছেছিল যে এনটিআরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে ছেলে বালাকৃষ্ণকে তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন চন্দ্রবাবুকে খুন করতে।

ysr ntr

অলঙ্করণ: অভিজিৎ বিশ্বাস।

দীর্ঘ ১৬ বছর এই বিষয়ে মুখ কুলুপ এঁটে থাকলেও অবশেষে ২০১১ সালে চন্দ্রবাবু নাইডু জানান, তিনি নিজেও কখনও কল্পনা করেননি যে এনটিআরের বিরোধিতা করবেন তিনি। কারণ তাঁর কাছে এনটিআর কেবল শ্বশুর নয়, বরং ঈশ্বর সমান ছিলেন। কিন্তু তিনি দুষ্ট শক্তির পাল্লায় পড়ে নিজের সম্মান খোয়াচ্ছিলেন। চন্দ্রবাবুর দাবি ছিল, এনটিআর তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী লক্ষ্মী পার্বতীর কথায় পরিচালিত হচ্ছিলেন এবং তাঁর প্রভাবই রাজনীতি ও সরকার পরিচালনে পড়ছিল।

পিতা-পুত্রের বিবাদ:

২০১৬ সালে উত্তর প্রদেশের শাসক দলেও ভাঙন ধরে রাজনীতিকে কেন্দ্র করে। তৎকালানী শাসক দল সমাজবাদী পার্টিতে মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব ও দলের প্রধান তথা অখিলেশের বাবা মুলায়ম সিং যাদব সম্মুখ সমরে নামেন একে অপরের আস্থাভাজন দুই নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করে। অখিলেশ যাদব মন্ত্রিসভা থেকে কাকা শিবপাল যাদব-সহ আরও তিন মন্ত্রীকে বের করে দেন। এ দিকে, বহিষ্কারের খবর শুনেই শিবপাল সমাজবাদী পার্টির প্রধান মুলায়ম সিং যাদবের বাড়িতে হাজির হন। ছেলের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ মুলায়ম সিংও অখিলেশ ঘনিষ্ট রামগেপাল যাদবকে দল থেকে ছয় বছরের জন্য বহিষ্কার করেন। শিবপাল যাদব সংবাদ মাধ্যমে জানান, রামগোপাল যাদব তলে তলে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল সিবিআই তদন্ত থেকে নিজের ছেলেকে বাঁচাতে।

অলঙ্করণ: অভিজিৎ বিশ্বাস।

পরবর্তী সময়ে অখিলেশ যাদব ২০১৭ সালে দলের দায়িত্ব নেওয়ার পরই রামগোপাল যাদবকে সমাজবাদী পার্টি সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়। অন্যদিকে, দলে যোগ্য সম্মান মিলছে না, এই অভিযোগে শিবপাল যাদব ২০১৮ সালে সমাজবাদী সেকুলার মোর্চা গঠন করেন।

সিন্ধিয়া বিবাদ:

রাজস্থানে সিন্ধিয়া পরিবারে পারিবারিক বিবাদ পৌঁছেছিল রাজনীতির ময়দানে। গ্বালিয়র রাজ পরিবারের রাজমাতা বিজয়রাজে সিন্ধিয়ার মেয়ে বসুন্ধরা রাজে এবং ছেলে মাধব রাও সিন্ধিয়া। ১৯৭০ সালে বিজয়রাজে বিজেপিকেই সমর্থন জানাতেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে মা-ছেলের মধ্যে বিবাদ এতটাই চরমে পৌঁছয় যে দুই জন দুই ভিন্ন রাজনৈতিক দলকে বেছে নেন। মাধব রাও সিন্ধিয়া যোগ দেন কংগ্রেসে, বিজেপিতেই থেকে যান মা বিজয়রাজে সিন্ধিয়া। মা-ছেলেকে রাজনীতির ময়দানে মুখোমুখি দাঁড় করানোর প্রচেষ্টা করা হলেও তাঁরা কখনওই একে অপরের বিরুদ্ধে লড়েননি।

অলঙ্করণ: অভিজিৎ বিশ্বাস।

মাত্র ২০ বছর বয়সেই মাধব রাওয়ের পুত্র জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া নিজের দুই পিসি বসুন্ধরা রাজে ও যশোধরা রাজের নামে আদালতে মামলা করেন এবং নিজেকে গোটা সম্পত্তির একমাত্র উত্তরাধীকারী হিসাবে দাবি করেন। এরফলে বিবাদ আরও চরমে ওঠে। বাবার পথ ধরেই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া মধ্য প্রদেশের কংগ্রেসের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। অন্যদিকে পিসি বসুন্ধরা রাজে রাজস্থানে বিজেপির দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। তবে ২০১৮ সাল থেকেই পিসি-ভাইপোর দূরত্ব ধীরে ধীরে কমতে থাকে এবং গত বছর মার্চ মাসে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।

ঠাকরে বনাম ঠাকরে:

মুম্বই তথা গোটা মহারাষ্ট্রে রাজ করতেন শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরে। তবে দলের দায়িত্বপাট পরবর্তী প্রজন্মের হাতে এসে পড়তেই পারিবারিক সম্পর্কে ফাটল দেখা দেয়। রাজনীতিতে প্রবেশের ইচ্ছা না থাকলেও কেবল বাবাকে সঙ্গ দিতে আসা উদ্ধব ঠাকরের হাতে শিবসেনার দায়িত্ব তুলে দিতেই ক্ষুব্ধ হন বাল ঠাকরের ভাই শ্রীকান্ত ঠাকরের ছেলে রাজ ঠাকরে। উদ্ধবের আগে রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ করলেও শিবসেনার দায়িত্বভার না পাওয়ায় ২০০৬ সালে শিবসেনা ছেড়ে তিনি নিজের দল মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা গঠন করেন। ২০১২ সালে বাল ঠাকরের মৃত্যুর সময় কিছু সময়ের জন্য দুই ভাই একে অপরের পাশে দাঁড়ালেও বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ফের তাঁরা আক্রমণাত্বক ভঙ্গিতেই ফিরে যান।

অলঙ্করণ: অভিজিৎ বিশ্বাস।

একদিকে যেমন উদ্ধব ঠাকরে দাবি করেন যে, তিনি কোনওদিনই রাজ ঠাকরেকে দল ছেড়ে যেতে বলেননি। অন্যদিকে রাজ দাবি করেন, বিপদের সময় তিনি উদ্ধবের পাশে দাঁড়ালেও প্রতিদানে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে তাঁকে। বর্তমানে সেই বিবাদ পরবর্তী প্রজন্মেও এসে পড়েছে। উদ্ধব পুত্র আদিত্য বনাম রাজ ঠাকরের পুত্র অমিতও রাজনীতির ময়দানে একে অপরের মুখোমুখি হতে ইচ্ছুক বলেই জানিয়েছেন। যদিও নবনির্মাণ সেনার তরফে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে দুই ভাইয়ের বিভেদের জল্পনাকে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

চৌটলা পরিবারে চিড়:

বাকি দলের মতোই কংগ্রেস ভেঙে ৭০-র দশকে ভারতীয় লোক দল, যা পরবর্তী সময়ে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দল হিসাবে পরিচিত হয়। তৈরি করেছিলেন দেবী লাল চৌটলা। পরে সেই দলের দায়িত্বভার নেন ওম প্রকাশ চৌটলা, যিনি পাঁচবার হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর ছিলেন। তবে দুনীর্তি কাণ্ডে ওম প্রকাশ ও তাঁর বড় ছেলে অজয় চৌটলা ১০ বছরের জন্য জেলে যাওয়ার পরই পরিবারে ফাটল ধরে। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দল ভেঙে জননয়াক জনতা পার্টি তৈরি করেন অজয় চৌটলার ছেলে দুশ্যন্ত চৌটলা। লোকদলের দায়িত্বভার এসে পড়ে অজয়ের ভাই অর্জুন চৌটলার ছেলে অভয় চৌটলার উপর। জাট ভোটের উপর নির্ভরশীল দুটি দলই বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি।

অলঙ্করণ: অভিজিৎ বিশ্বাস।

২০২০ সালে কৃষি আইন কেন্দ্র করেও বিপাকে পড়ে জননায়ক জনতা পার্টি। কৃষক আন্দোলনের সমাধান না হলে এবং ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি গ্যারান্টি না দিতে পারলে সরকার ভেঙে বেরিয়ে যাবেন বলেও হুমকি দিয়েছিলেন হরিয়ানার উপমুখ্যমন্ত্রী দুশ্যন্ত চৌটলা। যদিও পরে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর জোটে থাকার আশ্বাসই দেন তিনি। অন্যদিকে কৃষক আন্দোলনের চাপেই ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দলের প্রধান অভয় সিং চৌটলা ট্রাক্টর চালিয়ে এসে হরিয়ানা বিধানসভায় নিজের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন।

আরও পড়ুন: নিত্যনতুন ভ্যারিয়েন্টে বিশ্বজুড়ে দাপট দেখাচ্ছে করোনা, সত্যিই কি প্রয়োজন কোভিড বুস্টারের?