Bomb Threat: দিল্লি-পুনে বিমানে বোমাতঙ্ক, জারি তল্লাশি
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ স্পাইসজেট-এর দিল্লি-পুনে বিমানটি ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছাড়ার কথা ছিল। ওই বিমানে বোমা রয়েছে বলে উড়ো ফোন আসে।
নয়া দিল্লি: ফের বিমানে বোমাতঙ্ক! এবার স্পাইসজেট-এর দিল্লি-পুনে উড়ানে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্পাইসজেট-এর দিল্লি-পুনে বিমান উড়ানে বোমা রয়েছে বলে বৃহস্পতিবার বিকালে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি ফোন আসে। বিমানটি ছাড়ার প্রাক্কালে এই ফোন আসে। ফলে বিমানের যাত্রী সহ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়।
দিল্লি বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ স্পাইসজেট-এর দিল্লি-পুনে বিমানটি ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছাড়ার কথা ছিল। বিমানটি ছাড়ার কয়েক মিনিট আগেই দিল্লি বিমানবন্দরে একটি উড়ো ফোন আসে। স্পাইসজেট-এর দিল্লি-পুনে বিমানে বোমা রয়েছে বলে ফোনে জানানো হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিমানটিতে জোরকদমে তল্লাশি শুরু করে CISF। যদিও শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বিমানটির ভিতর থেকে এখনও পর্যন্ত সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। তবে বিমানবন্দরে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ বাহিনী।
দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক জানান, স্পাইসজেট-এর দিল্লি-পুনে বিমানে বোমা রয়েছে বলে দিল্লি বিমানবন্দরে একটি ফোন আসে। ততক্ষণে যাত্রীরা বিমানে উঠে গিয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের নামিয়ে বিমানটিতে তল্লাশি চালু করে দিল্লি পুলিশ ও CISF। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত বিমানটিতে সন্দেহনক কিছু পাওয়া যায়নি। কে, কেন ফোন করে বিমানে বোমা থাকার কথা জানাল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
প্রসঙ্গত, দিন দুয়েক আগে, গত ১০ জানুয়ারি মস্কো থেকে গোয়াগামী একটি বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছিল। সেদিনও ফোন করে বিমানটি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি ফোন আসে। সেই সময় বিমানটি ছিল মাঝআকাশে। কোনও ঝুঁকি না নিয়ে বিমানটি গুজরাতের জামনগরে জরুরি অবতরণ করানো হয়। বোমা দিয়ে বিমান উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি ফোনের খবর প্রকাশ্যে আসতে যাত্রীদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যদিও দীর্ঘক্ষণ ধরে তল্লাশি চালানোর পরেও বিমানটির ভিতরে কিছু পাওয়া যায়নি। তবে এই ঘটনার জেরে ওই রাতে বিমানটি আর গোয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়নি। বলা ভাল, সারারাত ধরে বিমানটিতে তল্লাশি চালানো হয়। বিমানের যাত্রীদের ব্যাগপত্রও খুঁটিয়ে চেকিং করা হয়। অন্যদিকে, বিমানের ২৩৬ জন যাত্রীর জামনগর বিমানবন্দরের লাউঞ্জে থাকার ব্যবস্থা করা হয়। তার পরদিন সকালে পুনরায় ওই যাত্রীদের নিয়ে গোয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় বিমানটি। গোটা ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে যেমন আতঙ্ক ছড়ায়, তেমনই দুর্বিপাকে পড়েন তাঁরা। তবে কে, কেন হুমকি ফোনটি করেছিল তা এখনও জানা যায়নি। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।