Pakistan embassy in Delhi: যৌনতার বিনিময়ে ভিসা দিচ্ছে পাকিস্তান? বিস্ফোরক অভিযোগ ভারতীয় অধ্য়াপিকার

Pakistan embassy in Delhi: যৌনতার বিনিময়ে ভিসা দিচ্ছে পাকিস্তান? দিল্লির পাক দূতাবাসে গিয়ে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সাক্ষী ভারতীয় অধ্যাপিকা।

Pakistan embassy in Delhi: যৌনতার বিনিময়ে ভিসা দিচ্ছে পাকিস্তান? বিস্ফোরক অভিযোগ ভারতীয় অধ্য়াপিকার
নয়াদিল্লির পাক দূতাবাস
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 12, 2023 | 8:19 PM

নয়া দিল্লি: যৌনতার বিনিময়ে ভিসা দিচ্ছে পাকিস্তান? অন্তত এক ভারতীয় মহিলা এমনই দাবি করেছেন। পেশায় অধ্যাপক ওই মহিলার অভিযোগ, নয়া দিল্লির পাকিস্তান দূতাবাসে তিনি ভিসার আবেদন করতে গিয়েছিলেন। সেখানে এক কর্তা তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছে। মহিলার দাবি, লাহোরে যাওয়ার জন্য পাক ভিসা দরকার ছিল তাঁর। ভিসার আবেদন করার জন্য অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করেছিলেন তিনি। ভিসার ইন্টারভিউয়ের সময় তাঁকে বেশ কিছু আপত্তিকর প্রশ্ন করেন পাক দূতাবাসের জনৈক কর্তা তাহির আব্বাস।

জানা গিয়েছে, ওই মহিলা এক ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিনিয়র অধ্যাপিকা। বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্বেও আছেন। তাঁর দাবি, ভিসার ইন্টারভিউয়ের সময় পাক দূতাবাসের এক কর্তা, তাঁর লাহোর সফরের উদ্দেশ্য জিজ্ঞেস করেছিলেন। অধ্যাপিকা জানিয়েছিলেন, তাঁকে লাহোরের এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি বক্তৃতা দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি লাহোরের বিভিন্ন স্মৃতিসৌধের ছবি তুলতে চান। এই পর্যন্ত ঠিকই ছিল। ইন্টারভিউ শেষ করে সেখান থেকে বের হওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন অধ্যাপিকা। তবে এরপরই ওই ঘরে প্রবেশ করেছিলেন পাক দূতাবাসের আরেক কর্তা। বদলে গিয়েছিল ঘরের পরিবেশ।

অধ্যাপিকার দাবি, তাহির আব্বাস তাঁকে একের পর এক অস্বস্তিকর প্রশ্ন করা শুরু করেছিল। তিনি বলেছেন, “তিনি আমায় জিজ্ঞেস করেছিলেন, আমি বিয়ে করিনি কেন? বিয়ে না করে আমি কীকরে জীবন কাটাই? আমার যৌন চাহিদা মেটাতে আমি কী করি?” মহিলা আরও জানিয়েছেন, এই সকল অস্বস্তিকর প্রশ্নের মধ্যে তিনি অনেকবার আলোচনার বিষয় বদলানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, পাক দূতাবাসের ওই অভিযুক্ত কর্তা বারবারই এই প্রশ্নগুলি করতে থাকে। শুধু তাই নয়, এক সময় ওই পাক কর্তা তাঁর হাতও চেপে ধরেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা।

অভিযোগকারিণী বলেছেন, “২০২১ সালের মার্চে এবং গত বছরের জুন মাসে আমি নয়া দিল্লির পাক দূতাবাসে গিয়েছিলাম। আমাকে একটা লাউঞ্জে অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল। কিছু সময় পরে আমায় বলা হয়েছিল ভিসা দেওয়া যাবে না। কারণ সেই সময় পাক সরকার টলমল করছিল। তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাস হয়েছিল। আমি অফিস থেকে বেরিয়ে আসার সময় আসিফ নামে এক ব্যক্তি এগিয়ে এসে আমায় বলেছিল, ‘আমার সঙ্গে এলে আমি আপনাকে ভিসার ব্যবস্থা করে দিতে পারি। আমাকে লাউঞ্জে ফিরে গিয়ে অপেক্ষা করতে বলেছিল।” পরে তাঁকে অন্য এক ঘরে নিয়ে গিয়ে ওই অস্বস্তিকর প্রশ্নগুলি করা শুরু করেছিল সে। এমনকি, তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাবও দিয়েছিল সে।