WhatsApp-এ দায়িত্বজ্ঞানহীন স্ট্যাটাস আপডেটে জেল হয়ে যেতে পারে, সতর্ক করল বম্বে হাইকোর্ট

WhatsApp Status: হাইকোর্টের বক্তব্য, সীমিত সংখ্যক মানুষ ওই স্ট্যাটাস দেখতে পাওয়া মানেই ওই যুবক নিজের ঘাড় থেকে দায় ঝেড়ে ফেলতে পারে না। এই ধরনের কোনও আপত্তিকর স্ট্যাটাসের কোনও সাফাই থাকতে পারে না।

WhatsApp-এ দায়িত্বজ্ঞানহীন স্ট্যাটাস আপডেটে জেল হয়ে যেতে পারে, সতর্ক করল বম্বে হাইকোর্ট
প্রতীকী ছবিImage Credit source: Pixabay
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 25, 2023 | 3:41 PM

মুম্বই: আপনি কি ঘন ঘন হোয়াটসঅ্যাপ ঘাঁটেন? হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসে ঘন ঘন আপডেট দেন? তাহলে সাবধান হোন। আপনার কোনও স্ট্যাটাস আপডেট কারও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করছে না তো? বা কোনও বিতর্ক ছড়াচ্ছে না তো? এমন হলে কিন্তু দায় এড়াতে পারবেন না আপনি। আইনি গেঁড়োর মধ্যে পড়তে হতে পারে। সাজাও হতে পারে। সতর্কভাবে হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস আপডেট নিয়ে এবার ব্যবহারকারীদের সতর্ক করে দিল বম্বে হাইকোর্ট।

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা যেন আরও সচেতনভাবে প্লাটফর্মটিকে ব্যবহার করেন, সেই বার্তা দিল বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ। বিচারপতি বিনয় যোশী ও বিচারপতি বাল্মিকী এস এ মেনেজেসের ডিভিশন বেঞ্চে একটি মামলা উঠেছিল। লান্ডকর নামে বছর সাতাশের এক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগে এফআইআর হয়েছিল। সেই এফআইআর খারিজের আবেদন নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ওই যুবক।

লান্ডকর তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসে একটি আপডেট দিয়েছিলেন। অভিযোগ ওই স্ট্যাটাস আপডেটে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আর সেই স্ট্যাটাসের মাধ্যমে, অন্যদের ওই বিষয়টি নিয়ে গুগল সার্চে প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে। গুগল সার্চে ওই নিয়ে বেশ কিছু আপত্তিকর ও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা ডেটা ওঠে এসেছে। ওই ঘটনায় লান্ডকরের বিরুদ্ধে পুলিশ তফসিলি জাতি ও উপজাতির উপর নির্মমতা প্রতিরোধ আইন ও তথ্য প্রযুক্তি আইনের আওতায় মামলা রুজু করেছিল।

মামলায় লান্ডকরের বক্তব্য ছিল, তাঁর হিংসা ছড়ানো বা ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। কারণ, তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস সীমিত মানুষ দেখতে পান। যাঁদের কাছে তাঁর নম্বর সেভ করা রয়েছে, কেবল তাঁরাই হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস দেখতে পেয়েছেন। আর সেই স্ট্যাটাস আপডেট ২৪ ঘণ্টা পর আর ছিল না। কিন্তু লান্ডকরের এই বক্তব্য ধোপে টেকেনি বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চে।

তবে হাইকোর্টের বক্তব্য, সীমিত সংখ্যক মানুষ ওই স্ট্যাটাস দেখতে পাওয়া মানেই ওই যুবক নিজের ঘাড় থেকে দায় ঝেড়ে ফেলতে পারে না। এই ধরনের কোনও আপত্তিকর স্ট্যাটাসের কোনও সাফাই থাকতে পারে না। লান্ডকর যা শেয়ার করেছেন, তার দায় তিনি এড়াতে পারেন না।