Bombay High Court: সম্পর্ক তিক্ত হলেই ধর্ষণের অভিযোগ আনা যায় না: বম্বে হাইকোর্ট
Bombay High Court: আদালতের পর্যবেক্ষণ, ওই দুজন দীর্ঘ ৮ বছর ধরে সম্পর্কে ছিলেন। তাই এটা বলা যায় না যে শুধুমাত্র বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল বলেই যুবতী সহবাসে অনুমতি দিয়েছিলেন।
মুম্বই : শুধুমাত্র সম্পর্ক তিক্ত হয়েছে বলেই একজন অপরজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনতে পারেন না। একটি মামলায় এমনটাই বলল বম্বে হাইকোর্ট। প্রাক্তন প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে এফআইআর করেছিলেন এক যুবতী। সেই মামলায় অভিযুক্তকে খালাস করল বম্বে হাইকোর্ট। নিম্ন আদালত তাঁকে খালাস করার বিপক্ষে রায় দিয়েছিল। এবার সেই রায় খারিজ হয়ে গেল হাইকোর্টে। শুধুমাত্র বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল বলেই এই দুজনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল, এমনটাও মানতে নারাজ আদালত। প্রায় ৮ বছর ধরে সম্পর্ক ছিল অভিযুক্ত ও অভিযোগকারীর। ২০১৬-তে সম্পর্ক শেষ হয়ে যাওয়ার পরই এফআইআর করেছিলেন যুবতী। বিচারপতি ভারতী ডাংরে নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করে দিয়েছেন।
২০০৮ সালে ওই যুবক-যুবতীর আলাপ হয় অরকুটের মাধ্য়মে। ২০১৩ সালে সম্পর্কের শুরু। তাঁদের পরিবারও সম্পর্কের বিষয়ে অবগত ছিল। অভিযোগ, বিয়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল বলেই শারীরিক সম্পর্কে সম্মতি দিয়েছিলেন যুবতী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিয়ে করতে রাজি হননি ওই যুবক। পরে ২০১৬ সালে ধর্ষণের অভিযোগে এফআইআর করেন যুবতী। তাঁর আইনজীবীর দাবি, জোর করে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করা হত।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, ওই দুজন দীর্ঘ ৮ বছর ধরে সম্পর্কে ছিলেন। তাই এটা বলা যায় না যে শুধুমাত্র বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল বলেই যুবতী সহবাসে অনুমতি দিয়েছিলেন। অভিযুক্তকে ভালবাসতেন বলেই সম্মতি দিয়েছিলেন। হাইকোর্ট আরও উল্লেখ করেছে, অভিযোগকারী প্রাপ্তবয়স্ক। শারীরিক ও মানসিক সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন। এটা বলা যায় না যে, প্রত্যেকবার জোর করে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করা হয়েছিল। বিচারপতি বলেন, ‘ধর্ষণের মামলার যথেষ্ট প্রমাণ আছে বলে মনে করি না।’
আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘দুজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ একটা সম্পর্ক তৈরি করেন। আর সম্পর্ক না টিকলে, যে কারণে বিয়ে না হলেই একজন, আরেকজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনতে পারেন না।’