AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Booster Dose: দুটি ডোজ়ের পরও নেই অ্যান্টিবডি! বুস্টার ডোজ়ে অনুমোদন দিতে পারে আইসিএমআর

Booster dose of Covid 19: যাদের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবডি কম থাকবে, তাদের জন্যই দেওয়া হতে পারে বুস্টার ডোজ। অনেকের শরীরে অ্যান্টিবডির পরিমাণ ৫০-এর নীচে বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

Booster Dose: দুটি ডোজ়ের পরও নেই অ্যান্টিবডি! বুস্টার ডোজ়ে অনুমোদন দিতে পারে আইসিএমআর
টিকাকরণে গতি রয়েছে, তবুই তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা থেকে রেহাই নেই (ফাইল ছবি)
| Edited By: | Updated on: Sep 12, 2021 | 1:48 PM
Share

ভুবনেশ্বর: ভারতের বাইরে অনেক দেশেই ‘বুস্টার ডোজ’ (Booster Dose) দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে ভারতে এখনও তেমন কোনও বার্তা দেননি বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, অনেকের ক্ষেত্রে দুটি ডোজ় নেওয়ার পরও তৈরি হয়নি কোনও অ্যান্টিবডি। তাই এ বার বুস্টার ডোজ় দেওয়ার ক্ষেত্রে অনুমোদন দিতে পারে আইসিএমআর। ট্রায়ালও চলছে সেই অতিরিক্ত ডোজ় নিয়ে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে দুটি ডোজ় নেওয়ার পরও ২০ শতাংশের শরীরে কোনও আ্যান্টিবডি (Antibody) তৈরি হয়নি।

ভুবনেশ্বের একটি গবেষণার টিমের সদস্যদের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে তাদের মধ্যে ২৩ শতাংশের শরীরে কোনও আ্যান্টিবডি নেই। অর্থাৎ অ্যান্টিবডি রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ এসেছে। এদের প্রত্যেকেরই ভ্যাকসিনের দুটি করে ডোজ নেওয়া হয়ে গিয়েছে। ভুবনেশ্বরের ‘ইনস্টিটিউট অব লাইফ সায়েন্সেস’-এর ডিরেক্টর ড. অজয় পারিদা বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর অনেকের শরীরে কোভিড অ্যান্টিবডির মাত্রা ৩০ থেকে ৪০ হাজার হয়ে যায়। আবার অনেকের ক্ষেত্রে তা ৫০-এর নীচে থাকতে দেখা গিয়েছে। যদি কারও শরীরে অ্যান্টিবডির পরিমান ৬০ থেকে ১০০-র মধ্যে থাকে, তাহলেই তাঁর ক্ষেত্রে অ্যান্টিবডি রিপোর্ট পজিটিভ বলে ধরা হয়।’ দেশ জুড়ে যে ২৮টি গবেষণাগারে জেনোম সিকোয়েন্সিং চলছে, অর্থাৎ করোনার বিভিন্ন রূপ নির্ণয় করার প্রক্রিয়া চলছে তার মধ্যে অন্যতম ভুবনেশ্বরের এই ‘ইনস্টিটিউট অব লাইফ সায়েন্সেস’।

ড. অজয় পরিদা জানান, সাধারণ যাদের শরীরে অ্যান্টিবডি কম রয়েছে, তাদেরই বুস্টার দেওয়ার প্রয়োজন হবে। তিনি আরও জানান যে, বুস্টার ডোজ দেওয়ার ট্রায়াল একেবারে শেষ পর্যায়ে রয়েছে। চিকিৎসক ব্যাখ্যা দিয়ে জানান, ভারতে করোনার যে দুটি ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, অর্থাৎ কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ। তাই ২০ থেকে ৩০ শতাংশ টিকাপ্রাপ্তের শরীরে আ্যান্টিবডি তৈরি নাও হতে পারে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের রিপোর্ট সামনে এলে তবেই আইসিএমআর বুস্টার ডোজের ক্ষেত্রে অনুমোদন দিতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। গবেষকের দাবি, কোভিশিল্ড নেওয়া থাকলে কোন ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে, স্পুটনিক ভি নেওয়া থাকলে কোভিশিল্ড বা কোভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেওয়া যাবে কি না, তা নিয়েই চলছে গবেষণা।

সম্প্রতি আমেরিকার ফুড অ্য়ান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (Food and Drug Administration) বুস্টার ডোজের ক্ষেত্রে অনুমোদন দিয়েছে। এফডিএ (FDA)-র এই ঘোষণায় অনেকটাই স্বস্তি পেয়েছেন লক্ষাধিক মার্কিনবাসী। যাদের অঙ্গ প্রতিস্থাপন হয়েছে বা ক্যানসার আক্রান্ত কিংবা জটিল কোনও রোগে আক্রান্ত, তাদের করোনা সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। টিকার পাশাপাশি তাদের অতিরিক্ত সুরক্ষা দেবে এই বুস্টার ভ্যাকসিন। ইতিমধ্যেই ফ্রান্স ও ইজরায়েলেও কম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাযুক্ত ব্যক্তিদের বুস্টার ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম বা কোনও কড়া ওষুধ চলছে, তাদের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের একটি বা দুটির জোজ়ের মাধ্যমে সুস্থ ব্যক্তির সমান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা অসম্ভব। সেক্ষেত্রেই এই বুস্টার ভ্যাকসিন কিছুটা সাহায্য করবে।

আরও পড়ুন: হাতে তালিবানি পতাকা, হিজাবে শরীর ঢেকেই সরকারের সমর্থনে মিছিল আফগান মহিলাদের!