প্রজাতন্ত্র দিবসে বিশেষ অতিথি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী! দিল্লির আমন্ত্রণ পেলেন বরিস জনসন

বরিস জনসন যে ভারতে আসার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন, সেটা আগেই জানিয়েছিলেন ভারতে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার জন থমসন। ব্রিটিশ বিদেশ সচিব ডমিনিক রাবও দিনকয়েকের মধ্যেই ভারতে আসতে পারেন।

প্রজাতন্ত্র দিবসে বিশেষ অতিথি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী! দিল্লির আমন্ত্রণ পেলেন বরিস জনসন
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Dec 02, 2020 | 9:17 PM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: বর্তমান পরিস্থিতির খুব একটা হেরফের না হলে আগামী ২৬ জানুয়ারি লালকেল্লার সামনে দেখা যেতে পারে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীকে (British Prime Minister)। সূত্রের খবর, প্রধান অতিথি হিসাবে বরিস জনসনকে (Boris Johnson) আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ভারতের পক্ষ থেকে। গত ২৭ নভেম্বর ভারতের তরফে এই আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে।

প্রতি বছরই প্রজাতন্ত্র দিবসে কোনও না কোনও বিশেষ অতিথিকে আমন্ত্রণ জানিয়ে থাকে ভারত সরকার। সেই তালিকায় থাকে বিভিন্ন দেশের প্রধানমন্ত্রী ও সরকারি উচ্চস্তরীয় প্রতিনিধিদের নাম। গত বছর এসেছিলেন ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি জ্যার বোলসোনারো। তার আগের বছর দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধানমন্ত্রী সাইরিল রামাফোসাও সাড়া দিয়েছিলেন ভারতের আমন্ত্রণে। ফলে ভারতে কোভিড পরিস্থিতির খুব একটা অদল-বদল না হলে আগামী ২৬ জানুয়ারি যে বরিস জনসন উপস্থিত থাকবেন, তা বলাই যায়।

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে সিলমোহর দিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকও। এই সফরের মাধ্যমে যাতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, বৈজ্ঞানিক গবেষণার আরও উন্নতি হয় সেদিকে নজর থাকবে। বরিস জনসন যে ভারতে আসার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন, সেটা আগেই জানিয়েছিলেন ভারতে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার জন থমসন। পাশাপাশি ব্রিটিশ বিদেশ সচিব ডমিনিক রাবও দিনকয়েকের মধ্যেই ভারতে আসতে পারেন, এমন সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। যদিও ব্রিটিশ হাই কমিশন বরিস জনসনের ভারত সফরের বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু জানায়নি। ফলে যতক্ষণ না ব্রিটেন হাই কমিশন সিলমোহর দিচ্ছে, ততক্ষণ ২৬ জানুয়ারির অনুষ্ঠানে তাঁর উপস্থিতি নিশ্চিত হচ্ছে না।

আরও পড়ুন: একগুঁয়ে সরকার, অনড় অন্নদাতারাও! ক্ষেতের লড়াই কীভাবে রাজধানীতে আছড়ে পড়ল?

তবে বরিস জনসন নিজে যে ভারত নিয়ে যথেষ্ট উচ্ছ্বসিত তা ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার নিজেই নানাভাবে ব্যক্ত করেছেন। বিশেষ করে কোভিড পরবর্তী সময়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) যেভাবে অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে সমন্বয় রেখেছেন, এবং ভ্যাকসিনের বৃহত্তম দেশ হিসাবে নিরন্তর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা আন্তর্জাতিক মহলের প্রসংশা কুড়িয়েছে। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীও ভারতের এই ভূমিকা অত্যন্ত ইতিবাচক বলে জানিয়েছেন। এমনকী, দিনকয়েক আগেও কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রসঙ্গ টেনে তিনি রাম-সীতার কথা উল্লেখ করেন এবং দীপাবলির শুভেচ্ছা জানান। সেখানেই কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায় ভারতের প্রতি তাঁর টান। তাই ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আগামী ২৬ জানুয়ারি বরিস জনসনকে প্রধান অতিথির চেয়ারে দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

আরও পড়ুন: ফিরে দেখা: ‘জয়হিন্দ’ নামে পুনর্জন্ম, কাল থেকে শুরু মাঝেরহাট সেতুর নয়া ইনিংস