ব্রু শরণার্থীদের পুনর্বাসন ইস্যুতে রণক্ষেত্র ত্রিপুরা, পুলিসের গুলিতে মৃত্যু বিক্ষোভকারীর

TV বাংলা ডিজিটাল: ব্রু পুনর্বাসন (Bru Rehabilitation) ইস্যু নিয়ে দিন দিন উত্তপ্ত হচ্ছে ত্রিপুরার পরিস্থিতি। কেন্দ্রীয় সরকার চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মিজোরামের ব্রু শরণার্থীদের ত্রিপুরায় (Tripura) পুনর্বাসন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু পুনর্বাসনের কাজ শুরু হতে না হতেই স্থানীয়রা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পথে নেমে আন্দোলন শুরু করেছেন ত্রিপুরার কাঞ্চনপুর মহকুমার বাসিন্দারা। পরিস্থিতি […]

ব্রু শরণার্থীদের পুনর্বাসন ইস্যুতে রণক্ষেত্র ত্রিপুরা, পুলিসের গুলিতে মৃত্যু বিক্ষোভকারীর
Bru rehab unrest tripura
Follow Us:
| Updated on: Nov 27, 2020 | 8:21 AM

TV বাংলা ডিজিটাল: ব্রু পুনর্বাসন (Bru Rehabilitation) ইস্যু নিয়ে দিন দিন উত্তপ্ত হচ্ছে ত্রিপুরার পরিস্থিতি। কেন্দ্রীয় সরকার চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মিজোরামের ব্রু শরণার্থীদের ত্রিপুরায় (Tripura) পুনর্বাসন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু পুনর্বাসনের কাজ শুরু হতে না হতেই স্থানীয়রা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পথে নেমে আন্দোলন শুরু করেছেন ত্রিপুরার কাঞ্চনপুর মহকুমার বাসিন্দারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিস গুলি চালালে একজন স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যুও হয় বলে খবর।

উত্তর ত্রিপুরার (North Tripura) কাঞ্চনপুর (Kanchanpur) মহকুমা অন্তর্গত পশ্চিম লক্ষ্মীপুর এলাকাও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। গোটা তল্লাট জুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে বিরাট সংখ্যক সশস্ত্র বাহিনী। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গুলিতে মৃত ব্যক্তির নাম শ্রীকান্ত দাস। এছাড়াও গুরুতর আহত হয়েছেন আরও পাঁচ ব্যক্তি। এরা প্রত্যেকেই ব্রু শরণার্থীদের পুনর্বাসনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় বনধ সমর্থন করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। বিক্ষোভকারীরা পুলিসের ওপর হামলা চালানোর পরই আত্মরক্ষায় পুলিস গুলি চালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে সূত্র মারফৎ।

স্থানীয় সূত্রের দাবি, বিক্ষোভের মাঝে পড়ে এক দমকল কর্মীরও মৃত্যু হয়েছে। তবে পুলিস এখনও এই তথ্যে সিলমোহর দেয়নি। তবে গোটা কাঞ্চনপুর মহকুমায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। টহল দিচ্ছে নিরাপত্তারক্ষীরা।

আরও পড়ুন: পৈশাচিক! জামিন পেতেই ৭৫-এর বৃদ্ধাকে ধর্ষণ করল এক যুবক

১৯৯৭ সাল থেকে জাতিগত সংঘাতের কারণে মিজোরাম থেকে বাস্তুচ্যুত হওয়া ব্রু শরণার্থীরা তাঁদের বাড়িঘর ছেড়ে চলে আসে এবং কাঞ্চনপুরের বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নেয়। চলতি বছরের গোড়ার দিকে কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, তারা বাস্তুহারা প্রায় ৩০ হাজার শরণার্থীকে পুনর্বাসন দেবে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় গত ১৬ নভেম্বর থেকে ত্রিপুরায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয় ত্রিপুরার একাধিক অরাজনৈতিক সংগঠনের তরফ থেকে। পুনর্বাসনের সমর্থক ও বিরোধী গোষ্ঠী মধ্যে সংঘর্ষও লাগে দফায় দফায়। এই ঘটনায় প্রশাসন বাধ্য হয় কাঞ্চনপুর মহকুমায় ১৪৪ ধারা জারি করতে। তারপর থেকেই ক্রমাগত পরিস্থিতির অবনতি শুরু হয়।