কিশোরীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে POCSO মামলা!
BS Yediyurappa: কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিশিষ্ট বিজেপি নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ! শিশুদের যৌন নিপীড়ন থেকে রক্ষা বা পকসো (POCSO) আইনের একটি ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করা হয়েছে। এক ১৭ বছর বয়সী কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি দায়ের করেছে বেঙ্গালুরুর সদাশিবনগর থানার পুলিশ।
বেঙ্গালুরু: কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিশিষ্ট বিজেপি নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ! শিশুদের যৌন নিপীড়ন থেকে রক্ষা বা পকসো (POCSO) আইনের একটি ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করা হয়েছে। এক ১৭ বছর বয়সী কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি দায়ের করেছে বেঙ্গালুরুর সদাশিবনগর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি এই যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি ওই কিশোরীর। তার মাকে নিয়ে এক ধর্ষণের ঘটনায় সাহায্য চাইতে ইয়েদুরাপ্পার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল মেয়েটি। প্রসঙ্গত, ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন ইয়েদুরাপ্পা। ২০১৮ সালের মে মাসে অতি অল্প সময়ের জন্য এবং ফের ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত ওই পদে আসীন হয়েছিলেন তিনি।
এফআইআর অনুসারে, কিশোরী মেয়েটিকে আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল। এরপর, সাহায্য চাইতে, তাকে সঙ্গে নিয়ে তার মা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেই সময়, বিএস ইয়েদুরাপ্পা তাদের সঙ্গে ৯ মিনিট কথা বলেন। তারপর, মেয়েটিকে অন্য এক ঘরে নিয়ে গিয়েতিলেন ইয়েদুরাপ্পা। ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ৫ মিনিট পর তারা বেরিয়ে আসে। মেয়েটির মায়ের অভিযোগ, বন্ধ ঘরের সুযোগ নিয়ে তাঁর মেয়ের গোপনাঙ্গ স্পর্শ করেছিলেন ইয়েদুরাপ্পা। সদাশিবনগর থানার পুলিশ জানিয়েছে, এই গুরুতর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
তবে, যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইয়েদুরাপ্পা। তিনি বলেছেন, “মা ও তাঁর মেয়ে এখানে বেশ কয়েকবার এসেছেন। আমরা তাদের কাছে আসতে দিইনি। প্রায় দেড় মাস আগে, আমি দেখেছিলাম মেয়েটি কাঁদছে। সেই সময় আমি তাদের সমস্যার কথা জিজ্ঞাসা করেছিলাম এবং সেই বিষয়ে কথা বলতে তাদের বাড়ির ভিতরে নিয়ে গিয়েছিলাম। তাদের সমস্যার কথা শুনে আমি বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার, বি দয়ানন্দকে ফোন করেছিলাম। তাঁকে বিষয়টি দেখার জন্য বলেছিলাম। কিন্তু, তারপরই মেয়েটি আমার সম্পর্কে যা নয় তাই বলতে শুরু করে। আমি ভেবেছিলাম তার হয়তো মাথার ঠিক নেই, তাই তার সঙ্গে কথা বলে কোন লাভ নেই। এখন, একটি এফআইআর করা হয়েছে। আইন মেনে আমি তার মোকাবিলা করব। তাকে সাহায্য করতে গিয়ে কী হল দেখুন। আমি তাকে কিছু টাকাও দিয়েছিলাম। তারপরও এটা ঘটল। আমি এটি আশা করিনি।”
লোকসভা নির্বাচনের আগে এই গুরুতর অভিযোগ ওঠায়, অনেক মহলেই আলোচনা হচ্ছে, এটা কোনও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র নয়তো? খোদ ইয়েদুরাপ্পা অবশ্য এই ঘটনার পিছনে রাজনীতি খুঁজতে নারাজ। তিনি বলেছেন, “শুধুমাত্র কয়েকজন মহিলা অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমি কেন অকারণে এটাকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলব?”