ছাইচাপা আগুনে ঘি! বাংলায় এসে ফের সিএএ-হুঙ্কার নাড্ডার
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা আবহে ছাইচাপা পড়েছিল আগুন। ফের যেন তাতেই ঘি ঢাললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (J P Nadda)। সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে এসে তিনি বললেন, ‘করোনা মিটলেই চালু হবে সিএএ।’ নাড্ডার কথায়, “সবাই একই আইনের ছাতার তলায় আসবেন এবং এটা হতে বাধ্য। আপাতত বিভিন্ন আইন তৈরি হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতিতে গতি কিছুটা শ্লথ হলেও, এই […]
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা আবহে ছাইচাপা পড়েছিল আগুন। ফের যেন তাতেই ঘি ঢাললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (J P Nadda)। সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে এসে তিনি বললেন, ‘করোনা মিটলেই চালু হবে সিএএ।’
নাড্ডার কথায়, “সবাই একই আইনের ছাতার তলায় আসবেন এবং এটা হতে বাধ্য। আপাতত বিভিন্ন আইন তৈরি হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতিতে গতি কিছুটা শ্লথ হলেও, এই আবহ কাটতেই নাগরিকত্ব আইনের সুবিধা পাবেন সকলেই।”
মূলত একুশের নির্বাচনকে মাথায় রেখে দলীয় কর্মীদের সাংগঠনিক বার্তা দিতেই নাড্ডার এই সফর। এদিন তিনি দলীয় কর্মীদের নির্বাচন জেতার পাঠ পড়ান। পাশাপাশি, তাঁদের উজ্জীবীত করতে আরও একবার চাপা পড়ে যাওয়া সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ-ইস্যুকে উস্কে দেন জে পি নাড্ডা।
বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্যাকেজে ১ লক্ষ কোটি টাকা শুধুমাত্র কৃষকদের উন্নতি এবং হিমঘরের মতো কৃষিপণ্য মজুত করার পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য রাখা হয়েছে। নাড্ডা প্রতিশ্রুতি দেন, রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে এক মাসের মধ্যে ‘প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মাননিধি’ প্রকল্প চালু করা হবে এবং ৭৬ লক্ষ কৃষক এর সুফল পাবেন। এর পরেই ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পের বিষয়ে বলতে গিয়ে নাড্ডা বলেন, ‘‘আয়ুষ্মান ভারতের কথা বললেই মমতাজি বলেন, হবে না। হবে না। হবে না। কী হবে না? হবেই। এপ্রিল মাসে হবে। হবে। হবে।’’ এদিন কার্যত বাংলাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) বিঁধলেন তিনি।
বাংলায় নির্বাচনের আগে বিজেপি যে সিএএ নিয়ে পিছু হটবে না, তা স্পষ্ট রাজনৈতিক মহলের কাছে। বরং এটাকেই যে বিজেপি তরুপের তাস করতে চায় সে বিষয়ে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।