সহকর্মীদের বাঁচানোর পরও কেন আগুনে ঝাঁপ দিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন অংশুমান? জানলে চোখে জল আসবে

Capt Angshuman Singh: সিয়াচেন হিমবাহের কাছে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে মেডিক্যাল অফিসার হিসাবে মোতায়েন ছিলেন ক্যাপ্টেন অংশুমান সিং। ২০২৩ সালের ১৯ জুলাই ওই সেনা ক্যাম্পে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে। ভিতরে আটকে পড়েন কয়েকজন। তাঁদের বাঁচাতেই ঝাঁপিয়ে পড়েন ক্যাপ্টেন অংশুমান সিং।

সহকর্মীদের বাঁচানোর পরও কেন আগুনে ঝাঁপ দিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন অংশুমান? জানলে চোখে জল আসবে
শহিদ ক্যাপ্টেন অংশুমান সিং।Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: Jul 12, 2024 | 2:01 PM

নয়া দিল্লি: দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বীরত্ব সম্মান হল কীর্তি চক্র। সম্প্রতিই এই সম্মানে সম্মানিত করা হয়েছে শহিদ ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংকে। তাঁর হয়ে এই সম্মান গ্রহণ করেছিলেন বিধবা স্ত্রী স্মৃতি সিং ও মা মঞ্জু সিং। কিন্তু কেন তাঁকে এই সম্মানে সম্মানিত করা হল, জানেন?

সিয়াচেন হিমবাহের কাছে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে মেডিক্যাল অফিসার হিসাবে মোতায়েন ছিলেন ক্যাপ্টেন অংশুমান সিং।  ২৬ পঞ্জাব রেজিমেন্টের সদস্য ছিলেন তিনি। ২০২৩ সালের ১৯ জুলাই ওই সেনা ক্যাম্পে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে। ভিতরে আটকে পড়েন কয়েকজন। তাঁদের বাঁচাতেই ঝাঁপিয়ে পড়েন ক্যাপ্টেন অংশুমান সিং। ক্যাম্পের ভিতর থেকে পাঁচজন সেনাকর্মীকে উদ্ধার করেন ক্যাপ্টেন অংশুমান।

ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে এলেও, তিনি লক্ষ্য করেন মেডিক্যাল রুমে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। ওই রুমে রাখা ছিল জীবনদায়ী ওষুধ। দুর্গম ওই এলাকায় এক একটা ওষুধের মূল্য কত, তা অনুভব করেই ফের আগুনের মধ্যে প্রবেশ করেন ক্যাপ্টেন অংশুমান সিং। কিন্তু এবার আর তিনি বেরিয়ে আসতে পারেননি। অগ্নিদ্বগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।

সহকর্মীদের প্রাণ বাঁচাতে ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংয়ের এই আত্মত্যাগকেই সম্মান জানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে তাঁকে কীর্তি চক্রে সম্মানিত করা হয়।