Butter Chicken Case: বাটার চিকেন কার আবিষ্কার, রাজধানীর দুই রেস্তরাঁর মামলা গড়াল হাইকোর্টে

Delhi High Court: দিল্লির দুই রেস্তরাঁর মধ্যে এই নিয়ে তুমুল ঠোকাঠুকি শুরু হয়েছে। এমনকী আদালতে মামলা পর্যন্ত হয়েছে। বাটার চিকেন ও ডাল মাখানি আবিষ্কারের কৃতিত্ব কার, তা নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা হয়েছে। এক পক্ষ মোতি মহল। অন্য পক্ষ দায়রাগঞ্জ। দু'টিই রাজধানীর দুই নামী রেস্তরাঁ চেন। বাটার চিকেন ও ডাল মাখানি আবিষ্কারের মুকুট কে পরবে, তা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল আইনি লড়াই চলছে।

Butter Chicken Case: বাটার চিকেন কার আবিষ্কার, রাজধানীর দুই রেস্তরাঁর মামলা গড়াল হাইকোর্টে
বাটার চিকেন (প্রতীকী ছবি)Image Credit source: Pixabay
Follow Us:
| Updated on: Jan 21, 2024 | 6:30 AM

নয়া দিল্লি: বাটার চিকেন তো অনেক খেয়েছেন। কিন্তু এই রেসিপি কারা আবিষ্কার করেছিল জানেন? খাওয়ার সময় কি আর এসব মাথায় থাকে! তখন তো চেটেপুটে রসনাতৃপ্তি ছাড়া আর কিছু মাথায় আসার কথাও নয়। ভাবছেন এসব আবার কোনও ভাবাব বিষয় নাকি! তবে সম্প্রতি দিল্লির দুই রেস্তরাঁর মধ্যে এই নিয়ে তুমুল ঠোকাঠুকি শুরু হয়েছে। এমনকী আদালতে মামলা পর্যন্ত হয়েছে। বাটার চিকেন ও ডাল মাখানি আবিষ্কারের কৃতিত্ব কার, তা নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা হয়েছে। এক পক্ষ মোতি মহল। অন্য পক্ষ দায়রাগঞ্জ। দু’টিই রাজধানীর দুই নামী রেস্তরাঁ চেন। বাটার চিকেন ও ডাল মাখানি আবিষ্কারের মুকুট কে পরবে, তা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল আইনি লড়াই চলছে।

মামলাকারী পক্ষ মোতি মহল রেস্তরাঁ। দায়রাগঞ্জ রেস্তরাঁর মালিকদের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা ঠুকেছে তারা। মোতি মহলের দাবি, দায়রাগঞ্জ রেস্তঁরা তাদের সঙ্গে নিজেদের নাম জড়িয়ে জনমানসে ভুল বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে। দেখাতে চাইছে মোতি মহলের সঙ্গে দায়রাগঞ্জের কোনও যোগ রয়েছে। কিন্তু বাস্তবটা তা নয় বলেই দাবি মোতি মহলের। দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব নারুলার বেঞ্চে মামলাটি উঠেছে। এক মাসের মধ্যে দায়রাগঞ্জ রেস্তরাঁকে লিখিতভাবে তাদের বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

প্রসঙ্গত, এই মোতি মহল রেস্তরাঁর প্রথম শাখা ছিল দায়রাগঞ্জ এলাকাতেই। আর সেই জায়গার নাম দিয়ে রেস্তরাঁর নাম বানিয়ে মানুষের কাছে ভুল বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে দায়রাগঞ্জ রেস্তরাঁ, এমনই দাবি মামলাকারী পক্ষের। যদিও মোতি মহল ও দায়রাগঞ্জ দুই রেস্তরাঁই বছরের পর বছর ধরে দাবি করে আসছে, তারাই বাটার চিকেন ও ডাল মাখানি আবিষ্কার করেছে।

মোতি মহল এই রেসিপি আবিষ্কারের কৃতিত্ব দেয় তাদের প্রতিষ্ঠাতা কুন্দললাল গুজরালকে। গুজরালের জন্যই এই ডিশগুলি আজ গোটা বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছে বলে দাবি করে মোতি মহল। কীভাবে এই রেসিপি আবিষ্কার হল, তা নিয়েও একটি প্রচলিত কথা আছে মোতি মহলের প্রতিটি কর্মীর মুখে মুখে। মোতি মহল দাবি করে, একবার নাকি তাদের বিক্রি না হওয়া তন্দুরি চিকেন প্রায় শুকিয়ে যেতে বসেছিল। সেই সময়ই গুজরালের মাথায় এই আইডিয়া এসেছিল। তিনি সস মাখিয়ে তন্দুরি চিকেনগুলিকে আবার একটু ভেজা ভেজা করে নিয়েছিলেন। আর সেখান থেকেই জন্ম হয়েছিল বিখ্যাত বাটার চিকেনের।

অন্যদিকে আবার দায়রাগঞ্জ রেস্তরাঁরও নিজস্ব কাহিনি রয়েছে। এখানেও এক কুন্দললালের কাহিনি। তবে ইনি গুজরাল নন। দায়রাগঞ্জের কুন্দললাল হলেন জাগ্গি। কুন্দনলাল জাগ্গি। তাদের দাবি, কুন্দললাল জাগ্গিই নাকি এই বাটার চিকেন ও ডাল মাখানির রেসিপি আবিষ্কার করেছিলেন। মোতি মহলের মামলা পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলেও দাবি করছে দায়রাগঞ্জ।

দায়রাগঞ্জ রেস্তরাঁর আইনজীবীর দাবি, আসল মোতি মহল ছিল একটি যৌথ উদ্যোগ। বার অ্যান্ড বেঞ্চের তথ্য অনুযায়ী, দায়রাগঞ্জের আইনজীবীর দাবি, এই আসল মোতি মহল রেস্তঁরার পথ চলা শুরু হয়েছিল পাকিস্তানের পেশোয়ারে। সেখানে দায়রাগঞ্জের কুন্দললাল জাগ্গি ও মোতি মহলের কুন্দললাল গুজরাল, উভয়েই অংশীদার ছিলেন। আগামী ২৯ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে দিল্লি হাইকোর্টে। ডাল মাখানি আর বাটার চিকেন নিয়ে লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কে পরবে সম্রাটের মুকুট, তা জানতে অবশ্য অপেক্ষা করতে হবে মামলার নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত।