CBI: ১০০ কোটি টাকায় বিক্রি রাজ্যসভার আসন, হওয়া যাবে রাজ্যপালও! সিবিআই জালে প্রতারণা চক্র

CBI: ১০০ কোটি টাকার বিনিময়ে রাজ্যসভার আসন থেকে রাজ্যপাল হওয়ার সুযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে করত প্রতারণা! আন্তঃরাজ্য প্রতারক চক্রের জারিজুরি ফাঁস করল সেন্ট্রাল ইনভেস্টিগশন ব্যুরো বা সিবিআই।

CBI: ১০০ কোটি টাকায় বিক্রি রাজ্যসভার আসন, হওয়া যাবে রাজ্যপালও! সিবিআই জালে প্রতারণা চক্র
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 25, 2022 | 7:09 PM

নয়া দিল্লি: ১০০ কোটি টাকা দিলেই মিলবে রাজ্যসভার আসন! একই দামে মিলবে রাজ্যপাল হওয়ার সুযোগও! এক আন্তঃরাজ্য প্রতারক চক্রের জারিজুরি ফাঁস করল সেন্ট্রাল ইনভেস্টিগশন ব্যুরো বা সিবিআই। এনডিটিভি পোর্টালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই এই প্রতারক চক্রের উপর নজর রাখছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চক্রের বিভিন্ন সদস্যদের ফোনালাপে কান পেতেছিলেন তদন্তকারীরা। এই ভাবেই তারা অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে। তারপর, অর্থ বিনিময়ের ঠিক আগের অভিযুক্তকে ধরেছে সিবিআই।

এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ঘটনায় চারজনেরও বেশি দুষ্কৃতীকে অভিযুক্ত করেছে সিবিআই। মূল অভিযুক্তরা হল – মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা কর্মলাকার প্রেমকুমার বান্দগার, কর্ণাটকের বাসিন্দা রবীন্দ্র বিঠল নায়ক, এবং বাকি দুজন দিল্লির বাসিন্দা মহেন্দ্র পাল অরোরা এবং অভিষেক বুরা। সিবিআই-এর এক সূত্র জানিয়েছে, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল কর্মলাকার প্রেমকুমার বান্দগারের। সেই যোগাযোগকে কাজে লাগাতে তার সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেছিল অভিষেক বুরা। ওই উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ দেখিয়েই, অভিযুক্তরা রাজ্যসভার আসন, রাজ্যপাল, অথবা বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, মন্ত্রক ও বিভাগের চেয়ারপার্সন হিসেবে নিয়োগের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে প্রতারণা করার চক্র চালাচ্ছিল।

সিবিআই-এর এফআইআর-এ বলা হয়েছে, এই চক্র রাজ্যসভা আসনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে ১০০ কোটি টাকা পর্যন্ত প্রতারণা করেছিল। ওই এফআইআর অনুযায়ী কর্মলাকার প্রেমকুমার বান্দগার একজন সিনিয়র সিবিআই অফিসারের ছদ্মবেশে তাদের গ্রাহকদের সঙ্গে দেখা করত। বাকিদের কাজ ছিল গ্রাহক ধরা। গ্রাহকদের আস্থা অর্জনে কর্মলাকার প্রেমকুমার বান্দগার, মহেন্দ্র পাল অরোরা, মহম্মদ আইজাজ খান এবং রবীন্দ্র বিঠল নায়ক প্রায়শই বিভিন্ন পদস্থ সরকারি আমলা এবং রাজনৈতিক নেতাদের নাম নিতেন। এইভাবে কখনও সরাসরি কখনও বা অভিষেক বুরার মতো মধ্যস্বত্বভোগীদের মাধ্যমে গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এই প্রতারণা চক্র।

তবে, এখানেই শেষ নয়। কর্মলাকার প্রেমকুমার বান্দগার পদস্থ সিবিআই অফিসারের ছদ্মবেশে বিভিন্ন সময়ে থানায় ফোন করে পুলিশ কর্তাদের হুমকি দিতেন বলেও অভিযোগ করেছে সিবিআই। তার পরিচিত কিছু ব্যক্তির প্রতি অনুগ্রহ দেখানোর জন্য চাপ দিতেন পুলিশের উপর। বিভিন্ন মামলার তদন্তকেও না কি প্রভাবিত করতেন।