AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Draupadi Murmu: “দ্রৌপদী আমার আসল নাম নয়…”, দেশের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতির নাম তাহলে কী? কীভাবে ঘটল বদল?

Draupadi Murmu: দেশের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি হিসেবে ইতিবাসে দ্রৌপদী মুর্মুর নাম। তবে, তাঁর আসল নাম এটা নয়। কে দিয়েছিলেন তাঁর দ্রৌপদী নাম?

Draupadi Murmu: দ্রৌপদী আমার আসল নাম নয়…, দেশের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতির নাম তাহলে কী? কীভাবে ঘটল বদল?
শপথ গ্রহণের পর গার্ড অব অনার নিচ্ছেন দ্রৌপদী মুর্মু
| Edited By: | Updated on: Jul 25, 2022 | 6:20 PM
Share

নয়া দিল্লি: সোমবার (২৫ জুলাই) ভারতের পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিলেন দ্রৌপদী মুর্মু। দেশের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি হিসেবে ইতিহাসে উঠল তাঁর নাম। অথচ, তাঁর আসল নাম দ্রৌপদী মুর্মু নয়। ‘মহাভারত’ মহাকাব্যের অন্যতম কেন্দ্রীয় চরিত্রের নাম তাঁর সঙ্গে জুড়ে দিয়েছিলেন তাঁর এক স্কুল শিক্ষিকা। স্কুল শিক্ষিকার দেওয়া সেই নামই তিনি তারপর থেকে বহন করেছেন। তাহলে ভারতের পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতির আসল নাম কী? জানেন কীভাবে আদিবাসী সমাজে নামকরণ করা হয়?

সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি এক ওড়িয়া ভিডিও ম্যাগাজিনে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেছেন, “দ্রৌপদী আমার আসল নাম নয়। আমার সাঁওতালি নাম পুতি। দ্রৌপদী নামটি আমায় আমার এক শিক্ষিকা দিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন অন্য জেলার বাসিন্দা। তিনি আমার পৈত্রিক ময়ূরভঞ্জ জেলার বাসিন্দা ছিলেন না। আসলে ১৯৬০-এর দশকে আদিবাসী অধ্যুষিত ময়ূরভঞ্জ জেলায় শিক্ষক ছিল না। বালাসোর বা কটক থেকে শিক্ষকরা এই জেলায় পড়াতে আসতেন। ওই স্কুল শিক্ষিকাও বাইরের এক জেলা থেকে এসেছিলেন। আমার ‘পুতি’ নামটি তাঁর পছন্দ হয়নি। ভালর জন্যই তিনি সেটা বদলে দ্রৌপদী রেখেছিলেন।” প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু আরও জানিয়েছেন যে, তারপরও বেশ মুখে মুখে তাঁর নাম অনেকবার বদলেছে। দ্রৌপদী উচ্চারণের ভুলে কারোর মুখে হয়েছে ‘দুরপাদি’। কেউ তাঁকে ডাকেন ‘দর্পদি’ বলে। আরও নানাভাবে তাঁর নাম বদলেছে।

দ্রৌপদী মুর্মু নামে পরিচিত হলেও, তাঁর আদি নাম ‘পুতি’ কখনই হারিয়ে যাবে না বলে দাবি করেছেন ভারতের নয়া রাষ্ট্রপতি। তিনি জানিয়েছেন, সাঁওতালি সংস্কৃতিতে কোনও নামই হারিয়ে যায় না। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে একই নাম বহন করা হয়। দ্রৌপদী মুর্মু বলেছেন, “আদিবাসী ঘরে যখন কোনও মেয়ে জন্মায়, সে তার ঠাকুমার নাম গ্রহণ করে। আর যখন কোনও ছেলে জন্মায় সে তার নাম রাখা হয় তার দাদুর নামে।” এইভাবেই প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে আদিবাসী সমাজে টিকে থাকে নাম।

দ্রৌপদী মুর্মু আরও জানিয়েছেন তাঁর পৈত্রিক পদবি ছিল ‘টুডু’। স্কুল-কলেজে তিনি এই পদবিই ব্যবহার করতেন। ব্যাঙ্ক অফিসার শ্যাম চরণ টুডুর সঙ্গে বিবাহের পরই, তিনি ‘মুর্মু’ পদবি ব্যবহার শুরু করেছিলেন। তবে ব্যক্তিগত জীবনে কঠোর আঘাত পেয়েছিলেন দ্রৌপদী। একসময় পরপর তিন সন্তান ও তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়েছিল। প্রথমে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর বড় ছেলের। এর তিন বছর পর মৃত্যু হয় ছোট ছেলের। তার এক বছর পর মৃত্য়ু হয়েছিল তাঁর স্বামীর। তারপর মাত্র তিন বছর বয়সে ছোট মেয়ের মৃত্যু হয়েছিল। তারপর অবসাদে ডুবে গিয়েছিলেন দ্রৌপদী মুর্মু। ধ্যান করে সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন তিনি।