Assam mine: ধীরে ধীরে কমছে আশা, ৩১০ ফুট গভীর কয়লাখনি থেকে উদ্ধার আরও ৩ দেহ
Assam mine: সোমবার ৯ শ্রমিক ওই কয়লাখনিতে খননের কাজে নেমেছিলেন। আচমকা কয়লাখনিতে জল ঢুকে যায়। আটকে পড়েন ৯ শ্রমিক। বুধবার একজনের দেহ উদ্ধার হয়। এদিন সকালে তিনজনের দেহ উদ্ধার হয়। মৃতদের মধ্যে একজনের নাম লিগেন মাগার। বছর সাতাশের ওই শ্রমিকের বাড়ি দিমা হাসাও-তেই।
গুয়াহাটি: অসমের কয়লাখনিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের মধ্যে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দিমা হাসাও জেলায় ওই কয়লাখনিতে থেকে তিনজনের দেহ উদ্ধার হয়। সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৪ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। আরও পাঁচজন কয়লাখনিতে আটকে রয়েছেন। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
সোমবার ৯ শ্রমিক ওই কয়লাখনিতে খননের কাজে নেমেছিলেন। আচমকা কয়লাখনিতে জল ঢুকে যায়। আটকে পড়েন ৯ শ্রমিক। বুধবার একজনের দেহ উদ্ধার হয়। এদিন সকালে তিনজনের দেহ উদ্ধার হয়। মৃতদের মধ্যে একজনের নাম লিগেন মাগার। বছর সাতাশের ওই শ্রমিকের বাড়ি দিমা হাসাও-তেই। বাকি দুই মৃতের শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া চলছে।
শ্রমিকদের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। একইসঙ্গে তিনি জানান, বাকি শ্রমিকদের উদ্ধারের আশায় উদ্ধারকাজ চলছে।
এই খবরটিও পড়ুন
৩১০ ফুট গভীরের খননকাজ চলছিল। ফলে সেখান থেকে জল বের করা সময়সাপেক্ষ বলে মনে করা হচ্ছে। জল বের করতে ওএনজিসি ও কোল ইন্ডিয়া বিশেষ যন্ত্রপাতি এনেছে। সেনা, নৌসেনা এবং বায়ুসেনা উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে। তবে কয়লার সঙ্গে জল মিশে যাওয়ায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। ভিতরে কোনওকিছুই ভালভাবে দেখা যাচ্ছে না। কয়লাখনির মধ্যে প্রবেশের ক্ষেত্রে অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের।
গতকাল হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছিলেন, ১২ বছর ধরে কয়লাখনিটি পরিত্যক্ত। তিন বছর আগেও তা অসম মিনারেল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের অধীনে ছিল। তিনি বলেন, “এটা অবৈধ খনন নয়, পরিত্যক্ত খনি। কয়লা খননের জন্য ওইদিনই প্রথম নেমেছিলেন শ্রমিকরা।” তিনি জানান, শ্রমিকদের নিয়োগকারী নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।