CBI Raid in Lalu Prasad Yadav’s House: নিয়োগ দুর্নীতিতেও নাম জড়াল লালুর, ১৫ জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই

CBI Raid in Lalu Prasad Yadav's House: সূত্রের খবর, চাকরির নিয়োগে দুর্নীতির তদন্তেই এদিন সকালে সিবিআই অভিযান চালায়। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন বেআইনিভাবে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে লালু প্রসাদ ও তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবীর বিরুদ্ধে।

CBI Raid in Lalu Prasad Yadav’s House:  নিয়োগ দুর্নীতিতেও নাম জড়াল লালুর, ১৫ জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই
লালু প্রসাদের বাড়ির সামনে মোতায়েন পুলিশ। ছবি:ANI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 20, 2022 | 2:39 PM

পটনা: সিবিআই(CBI)-র নজরে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন সকালেই বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব(Lalu Prasad Yadav)-র বাড়ি-সহ মোট ১৫টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই আধিকারিকেরা। সূত্রের খবর, চাকরির নিয়োগে দুর্নীতির তদন্তেই এদিন সকালে সিবিআই অভিযান চালায়। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন বেআইনিভাবে রেলে কর্মী নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে লালু প্রসাদ ও তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবীর বিরুদ্ধে।

কয়েক সপ্তাহ আগেই পশুখাদ্য় দুর্নীতিতে জামিন পেয়েছিলেন লালু প্রসাদ যাদব। এবার নতুন করে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, বিহারের মুখ্য়মন্ত্রী থাকাকালীন তিনি বেআইনিভাবে একাধিক ব্যক্তিকে রেলে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন। লালু প্রসাদ ছাড়াও তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবী-সহ পরিবারের একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে জড়িয়ে থাকার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার তদন্তেই এদিন সকালে সিবিআই পটনা, দিল্লি সহ মোট ১৫টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

 সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতার বাসভবন সহ মোট ১৫ টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চলছে। তাঁর বাড়ির বাইরে বিশাল পুলিশি পাহারা বসানো হয়েছে। এদিকে,  সিবিআই অভিযানের খবর পাওয়ার পরই আরজেডি নেতা অলোক মেহতা বলেন, “শক্তিশালী কন্ঠস্বরকে অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে। সিবিআইয়ের কাজ ও তদন্ত সম্পূর্ণরূপে পক্ষপাতদুষ্ট।”

উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিক দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছিল লালু প্রসাদ যাদবের। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত পাঁচটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন লালু। মোট ৯৫০ কোটি টাকার দুর্নীতির অবিযোগ রয়েছে লালু প্রসাদের বিরুদ্ধে। চাইবাসা ট্রেজারি থেকে ৩৭.৭ কোটি ও ৩৩.১৩ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ, দেওঘর ট্রেজারি থেকে ৮৯.২৭ কোটি টাকা ও দুমকা ট্রেজারি থেকে ৩.৭৬ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। ফেব্রুয়ারি মাসেই সিবিআই বিশেষ আদালতের তরফে তাঁকে ৫ বছরের কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করা হয় এবং ৬০ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়।  গতমাসেই তিনি জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

এখনও পর্যন্ত মোট ১৪ বছরের কারাদণ্ডের সাজা পেয়েছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তবে মোট শাস্তি মাত্র সাড়ে তিন বছর জেলে কাটিয়েছেন তিনি। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে তাঁকে জেলে পাঠানো হলেও শারীরিক অসুস্থতার জেরে কারাবাসের বেশিরভাগ সময়টাই তিনি কাটিয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সে। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরই ফের একবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠল লালু প্রসাদের বিরুদ্ধে।