Tripura: উত্তর-পূর্বে ‘অমিত বিক্রম’, অস্ত্র ছেড়ে সমাজে ফিরল বিদ্রোহীরা!

Peace Pact Tripura: বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর), নয়া দিল্লিতে ভারত সরকার এবং ত্রিপুরা সরকারের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করল এই দুই বিদ্রোহী গোষ্ঠী। উত্তর পূর্ব ভারতের সংঘাত নিরসনের জন্য এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

Tripura: উত্তর-পূর্বে 'অমিত বিক্রম', অস্ত্র ছেড়ে সমাজে ফিরল বিদ্রোহীরা!
অস্ত্র ছাড়ল এনএলএফটি এবং এটিটিএফ Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Sep 04, 2024 | 4:14 PM

নয়া দিল্লি: উত্তর পূর্ব ভারতে বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির হিংসা রোধে এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় সরকার। ত্রিপুরায় দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে সরকারের সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত ছিল এনএলএফটি বা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অব ত্রিপুরা এবং এটিটিএফ বা অল ত্রিপুরা টাইগার ফোর্স। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর), নয়া দিল্লিতে ভারত সরকার এবং ত্রিপুরা সরকারের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করল এই দুই বিদ্রোহী গোষ্ঠী। উত্তর পূর্ব ভারতের সংঘাত নিরসনের জন্য এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

নয়া দিল্লির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এদিন চুক্তি স্বাক্ষরের সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিকরা। এই চুক্তির ফলে একদিকে আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে এবং রাজ্যের উন্নয়নের পথ আরও সুগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে, বিদ্রোহীরাও ফের সমাজের মূলধারার ফিরে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।

চুক্তি স্বাক্ষরের পর বিদ্রোহী দুই গোষ্ঠীর নেতাদের উদ্দেশে অমিত শাহ বলেন, “৩৫ বছর ধরে সংগ্রামের পরে, আপনারা অস্ত্র ছেড়ে দিয়ে সমাজের মূল স্রোতে যোগ দিয়েছেন এবং সমগ্র ত্রিপুরার উন্নয়নের প্রতি আপনাদের প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করেছেন, এটা আমাদের সকলের জন্য আনন্দের বিষয়।”

তিনি আরও বলেন, “এই চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে শান্তি ও সমৃদ্ধির দিকে আরেকটি পদক্ষেপ করল ত্রিপুরা। উত্তর-পূর্ব ভারতে এই নিয়ে দ্বাদশ চুক্তি হল, ত্রিপুরায় তৃতীয় চুক্তি হল। এই পর্যন্ত প্রায় ১০,০০০ বিদ্রোহী আত্মসমর্পণ করেছেন, অস্ত্র ছেড়ে দিয়েছেন এবং সমাজের মূলধারায় যোগ দিয়েছেন। আজ, এনএলএফটি এবং এটিটিএফ-এর আত্মসমর্পণ এবং এই চুক্তির মাধ্যমে প্রায় ৩২৮-এর বেশি সশস্ত্র ক্যাডার সমাজের মূলধারায় যোগ দেবেন।”