Digital Personal Data Protection Bill: ব্যক্তিগত ডিজিটাল তথ্য সুরক্ষা বিলের নতুন খসড়া প্রকাশ, মতামত জানাতে পারবেন আপনিও
Digital Personal Data Protection Bill: সংসদীয় কমিটির সংশোধনী প্রস্তাবের প্রেক্ষিতেই ব্যক্তিগত ডিজিটাল তথ্য সুরক্ষা বিলের এই খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
নয়া দিল্লি: ব্যক্তিগত ডিজিটাল তথ্য সুরক্ষা বিলের (Digital Personal Data Protection Bill) নতুন খসড়া প্রকাশ করল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। এটা ব্যক্তিগত ডিজিটাল তথ্য সুরক্ষা বিলের চতুর্থ সংশোধনী। এই বিলের মূল নীতি হল, ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতিটি সংস্থাকে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে। গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য আদায়ের ক্ষেত্রে কিছুটা সীমাবদ্ধতা আনা হয়েছে। যতটুকু প্রয়োজন, ততটাই ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের কথা বলা হয়েছে। গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য যাতে সুরক্ষিত থাকে, সেটাও সুনিশ্চিত করার বার্তা দেওয়া হয়েছে। ব্যক্তিগত ডিজিটাল তথ্য সুরক্ষা বিলের নীতি লঙ্ঘন করলে ৫০০ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে বলেও এই বিলে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ব্যক্তিগত ডিজিটাল তথ্য সুরক্ষা বিলের প্রস্তাবনায় সরকারি নীতি লঙ্ঘনের জন্য ১৫ কোটি টাকা অথবা সংস্থার বার্ষিক লেনদেনের ৪ শতাংশ জরিমানা দেওয়ার কথা উল্লেখ করা ছিল। এবার সেই জরিমানার পরিমাণ অনেকটাই বেড়েছে।
বর্তমান ব্যক্তিগত ডিজিটাল তথ্য সুরক্ষা বিলে বলা হয়েছে, শিশু এবং তার অভিভাবকেরা পরস্পরের তথ্য দেখতে পারবে। ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে ইংরেজি অথবা সাংবিধানিক যে কোনও একটি ভাষা ব্যবহার করা যাবে। এবারের ব্যক্তিগত ডিজিটাল তথ্য সুরক্ষা বিলে গ্রাহকের তথ্য সুরক্ষিত রাখার বিষয়ের উপর বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয়েছে।
সংসদীয় কমিটির সংশোধনী প্রস্তাবের প্রেক্ষিতেই ব্যক্তিগত ডিজিটাল তথ্য সুরক্ষা বিলের এই খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। যদিও প্রকাশিত হলেও এটিই চূড়ান্ত করা হচ্ছে না। এই বিল সম্পর্কে জনগণ তাদের মতামত জানাতে পারবে। ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত জনগণ এই বিল সম্পর্কে নিজেদের মতামত জানাতে পারবে। মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব টুইটারে একথা জানিয়ে লিখেছেন, জনগণের মতামত জানানোর জন্য ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত খসড়াটি খোলা থাকবে।
প্রসঙ্গত, আগেও ব্যক্তিগত ডিজিটাল তথ্য সুরক্ষা বিলের খসড়া প্রকাশ করেছিল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। সেই বিলে ভারতে একটি ডেটা প্রোটেকশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া গঠনের পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ওই বিলের তীব্র বিরোধিতা করে তৃণমূল ও কংগ্রেস। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, রীতিমতো আইন করে নাগরিকদের ব্যক্তিগত বিষয়ে নজরদারি চালাতে চাইছে সরকার। বিরোধীদের তীব্র বিরোধিতার জেরে সেই বিলটি বিবেচনার জন্য সংসদীয় কমিটির কাছে পাঠানো হয়। কমিটি একাধিক সংশোধনী প্রস্তাব দিলে বিলটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।