Foreign Ministry Driver Arrested: ISI-এর ‘হানিট্র্যাপে’ ফেঁসে, চরবৃত্তির দায়ে গ্রেফতার বিদেশমন্ত্রকের গাড়িচালক
Foreign Ministry Driver Arrested: পাকিস্তানের হাতে গোপন তথ্য তুলে দেওয়ার অভিযোগে শুক্রবার, বিদেশ মন্ত্রকের এক গাড়িচালককে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ।
নয়া দিল্লি: পাকিস্তানের হাতে গোপন তথ্য তুলে দেওয়ার অভিযোগে শুক্রবার, বিদেশ মন্ত্রকের এক গাড়িচালককে গ্রেফতার (Foreign Ministry Driver Arrested) করল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। সূত্রের মতে, ওই গাড়িচালকের নাম শ্রীকৃষ্ণাণ। পাকিস্তানী গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর কাছে সংবেদনশীল তথ্য ফাঁস করার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই অভিযানে দিল্লি পুলিশকে সহায়তা করেছে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। সূত্রের খবর, পাক গুপ্তচর সংস্থা শ্রীকৃষ্ণাণকে ‘হানিট্র্যাপে’ ফেলেছিল আইএসআই। তার কাছ থেকে এক মহিলার ছবি ও ভিডিয়ো পাওয়া গিয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকে কর্মরত আরও কোনও কর্মচারী এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কি না, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। এই বিষয়ে মন্ত্রক থেকে অবশ্য এখনও সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি।
এদিন নয়া দিল্লির জওহরলাল নেহরু ভবন থেকে শ্রীকৃষ্ণাণকে গ্রেফতার করা হয়। সে এক পাকিস্তানি নাগরিককে অর্থের বিনিময়ে নিয়মিত তথ্য ও নথি পাঠাতো বলে অভিযোগ উঠেছে। দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই পাক নাগরিক নিজেকে পুনম শর্মা বা পূজা নামে পরিচয় দিয়েছিল। মহিলা পরিচয়েই তার সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করে, ওই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি সংগ্রহ করছিল আইএসআই-এর চর।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি বছরের অগস্ট মাসেই পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তি করার অভিযোগে, দিল্লি থেকে এক ৪৬ বছরের ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল রাজস্থান পুলিশ। জানা গিয়েছিল তার নাম বাঘচাঁদ। সে পাকিস্তানেই জন্মেছিল। পরে, ১৯৯৮ সালে সে সপরিবারে দিল্লিতে এসেছিল। দিল্লিতে সে ট্যাক্সি ড্রাইভার এবং শ্রমিক হিসেবে কাজ করা শুরু করেছিল। ২০১৬ সালে তাকে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছিল। রাজস্থান পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানে থাকা তার অন্যান্য আত্মীয়দের মাধ্যমে সে তার পাকিস্তানি হ্যান্ডলারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত।
তার আগে ২০২০ সালে নয়া দিল্লির পাক হাই কমিশনের দুই আধিকারিক এবং এক গাড়ি চালকও আইএসআই-এর হয়ে চরবৃত্তি করতে গিয়ে হাতে-নাতে ধরা পড়েছিল। সেনা বাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগ এবং দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের অভিযানে ধরা পড়েছিল তারা। তাদের অবিলম্বে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল ভারত সরকার।