Prisoners: জামিন-জরিমানার টাকা মেটাতে গরিব বন্দিদের সাহায্য করবে কেন্দ্র, নয়া প্রকল্প আনছে সরকার
MHA New Scheme: বিনামূল্য়ে আইনি সাহায্যের প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন স্তরে গরিব বন্দিদের আইনি পরামর্শদাতাদের মাধ্যমে সাহায্য করা হচ্ছে।
নয়া দিল্লি: অপরাধ করলে দোষীদের সাজা পেতেই হবে, এমনভাবেই তৈরি করা হয়েছে দেশের বিচার ব্য়বস্থা। কিন্তু বর্তমান সময়ে যে হারে অপরাধের সংখ্য়া বাড়ছে, তাতে অপরাধীদের জেলে ভরতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে সরকারকে। কারণ জেলের তুলনায় অপরাধীর (Criminal) সংখ্য়া বেড়েই চলেছে উত্তরোত্তর। জেল থেকে ভিড় কমাতে এবার নয়া উদ্যোগ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Union Home Ministry)। কেন্দ্রের তরফে এক বিশেষ প্রকল্প শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যেখানে গরিব বন্দিদের জরিমানা বা জামিনের অর্থ জোগাতে সাহায্য করবে সরকার।
দেশের প্রায় প্রতিটি জেলেই এমন বহু বন্দি রয়েছেন, যাঁদের সাজার মেয়াদ পূরণ হয়ে গেলেও তাঁরা জেলবন্দিই রয়ে গিয়েছেন। কারণ আদালতের তরফে জামিন বা জরিমানা বাবদ যে অঙ্ক জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা দেওয়ার মতো আর্থিক সাধ্য তাঁদের নেই। এই সমস্ত গরিব বন্দিদেরই এবার আর্থিক সাহায্য করবে কেন্দ্রীয় সরকার।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বলা হয়, “কেন্দ্রের এই নয়া সিদ্ধান্তে গরিব বন্দি, যাদের মধ্যে অধিকাংশই সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া, অল্প শিক্ষিত ও আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণির অন্তর্গত, তাদের জেল থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করা হবে।”
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সহযোগিতায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কারাগারে বিচারাধীন বন্দিদের নিয়ে সমস্যা দূর করার জন্য় একাধিক পদক্ষেপ করছে। এরমধ্য়ে অন্যতম হল কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিওর-এ ৪৩৬এ ধারার অন্তর্ভুক্ত করা এবং সিআরপিসি-তে নতুন একটি অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”
বিনামূল্য়ে আইনি সাহায্যের প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন স্তরে গরিব বন্দিদের আইনি পরামর্শদাতাদের মাধ্যমে সাহায্য করা হচ্ছে। বাজেটে ঘোষিত পরিষেবা ও সুবিধা যেন সমাজের সব স্তরে পৌঁছয়, তা নিশ্চিত করতেই কেন্দ্রের তরফে গরিব বন্দিদের সাহায্য করার উদ্য়োগ নেওয়া হয়েছে। এই উদ্য়োগে জেলে বন্দি থাকা অপরাধী যাদের সাজার মেয়াদ পূরণ হয়ে যাওয়ার পরও জামিন বা জরিমানার অর্থ মেটাতে না পারায় বন্দি থাকতে হচ্ছে, তাদের আর্থিক সাহায্য় করা হবে।