ব্রিটেনের নতুন স্ট্রেইন রুখতে ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ তৈরি করছে কেন্দ্র
গত বছরের ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে চাইছে না কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। দেশের বিজ্ঞানী-গবেষক মহলের একাংশ জানান, গত বছর বিমানবন্দরে স্ক্রিনিংয়ের পরও কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তির প্রবেশ আটকানো যায়নি। সে কথা মাথায় রেখে এবার ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ তৈরি করা হচ্ছে বলে খবর।
কলকাতা: ব্রিটেন থেকে করোনাভাইরাসের (Coronavirus) নতুন প্রজাতি (স্ট্রেইন) যাতে ফাঁক গলে এদেশে আমদানি হতে না পারে, সে জন্য ‘সতর্ক’ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সোমবার এ নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রক-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় গবেষণা সংস্থার প্রতিনিধিরা।
গবেষকেরা জানাচ্ছেন, ব্রিটেনের পাশাপাশি বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডে কোভিডের নতুন প্রজাতির মিউটেশনের সন্ধান মিলেছে। সেই সকল দেশ থেকে এ ধরনের মিউটেশনের শিকার এমন কোনও কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তি যাতে কোনও ভাবে এ দেশে প্রবেশ করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে চাইছে কেন্দ্র। বস্তুত, বছর শেষে গত বছরের ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে চাইছে না কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। দেশের বিজ্ঞানী-গবেষক মহলের একাংশ জানান, গত বছর বিমানবন্দরে স্ক্রিনিংয়ের পরও কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তির প্রবেশ আটকানো যায়নি। সে কথা মাথায় রেখে এবার ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ তৈরি করা হচ্ছে বলে খবর। আজ, মঙ্গলবার সেই লক্ষ্যে আরও একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক রয়েছে।
অ্যাকশন প্ল্যানে কী ধরনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে? এদিনের বৈঠকে উপস্থিত কেন্দ্রীয় গবেষণা সংস্থার প্রতিনিধিদের একাংশ জানান, ভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন সংক্রমণ ছড়ানোর প্রশ্নে অনেক বেশি সক্ষম বলে জানা গিয়েছে। গত বছর বিমানবন্দরে স্ক্রিনিংয়ের পরেও এদেশে ভাইরাসের প্রবেশ আটকানো যায়নি। সে জন্য এবার ব্রিটেনের পাশাপাশি যে সকল দেশে নতুন প্রজাতির সন্ধান মিলেছে, তাদের খুঁজে বার করার লক্ষ্যে রূপরেখা তৈরি করা হবে।
কী ভাবে? কেন্দ্রীয় গবেষণা সংস্থার এক শীর্ষ প্রতিনিধি জানান, ব্রিটেন, নেদারল্যান্ড, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক থেকে সরাসরি হয়তো কেউ আসেননি। কিন্তু অল্প সময়ের ব্যবধানে তাঁরা সেই সকল দেশে গিয়েছিলেন, এমন হতেই পারে। তাই এ ধরনের ব্যক্তিদের উপসর্গ উপস্থিতি যাচাই করা যেমন জরুরি তেমন দেশে প্রবেশের পরে লক্ষ্মণ দেখা দিল কিনা, তা-ও দেখতে হবে।
আরও পড়ুন: নতুন রূপে করোনা হানা! বন্ধ ব্রিটেন-ভারত উড়ান পরিষেবা
কেন্দ্রীয় গবেষণা সংস্থার এক কর্তার কথায়, “সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহের পরে পরীক্ষা করে দেখতে হবে ওই মিউটেশন রয়েছে কি না। নইলে সংক্রমণের ছড়িয়ে পড়া আটকানো মুশকিল।” আরও এক কেন্দ্রীয় গবেষণা সংস্থার কর্তার কথায়, “সপ্তাহ খানেক আগে যাঁরা ব্রিটেন বা অন্য দেশগুলি থেকে এ দেশে এসেছেন তাঁদেরও অবস্থান মোবাইল নম্বরের সাহায্যে চিহ্নিত করে কোনও উপসর্গ রয়েছে কি না দেখতে হবে।” উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শেষে দ্রুত রাজ্যগুলির কী করণীয় তা স্থির করে নির্দেশিকা জারি করা হতে পারে বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: নতুন রূপে করোনার কামড়! হুড়মুড়িয়ে পড়ল সেনসেক্স-নিফটি