অফিসেই টিকা পাবেন কর্মচারীর পরিবারের সদস্যরা, নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের

প্রথমে কেন্দ্র জানিয়েছিল, সরকারি ও বেসরকারি অফিসে করোনা টিকাকরণ কেন্দ্রের মাধ্যমে টিকা পাবেন ৪৫ ঊর্ধ্বরা।

অফিসেই টিকা পাবেন কর্মচারীর পরিবারের সদস্যরা, নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের
ফাইল চিত্র। PTI
Follow Us:
| Updated on: May 23, 2021 | 11:40 AM

নয়া দিল্লি: করোনা (COVID-19) সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভাসছে গোটা দেশ। রোজ প্রাণ হারাচ্ছেন হাজারো। করোনার এই ভয়াবহতা রুখতে চিকিৎসক বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন দ্রুত টিকাকরণের। সেই মতো সারা দেশে চলছে টিকাকরণ। কিন্তু ভ্যাকসিন সঙ্কটের জেরে সেই গতি কিছুটা শ্লথ। এই পরিস্থিতিতে নানবিধ উপায়ে টিকাকরণে গতি বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। কর্মক্ষেত্রেই যাতে চাকুরিজীবীরা টিকা পান, তার জন্য অফিসে করোনা টিকাকরণ কেন্দ্র খোলার পরামর্শ দিয়েছিল কেন্দ্র। এ বার নয়া নির্দেশিকা দিয়ে কেন্দ্র জানিয়েছে, অফিসের করোনা টিকাকরণ কেন্দ্রে টিকা নিতে পারবেন চাকুরিজীবীর পরিবারের সদস্যরাও।

প্রথমে কেন্দ্র জানিয়েছিল, সরকারি ও বেসরকারি অফিসে করোনা টিকাকরণ কেন্দ্রের মাধ্যমে টিকা পাবেন ৪৫ ঊর্ধ্বরা। তারপর ১৮-৪৪ বছর বয়সীদেরও টিকা দেওয়ায় সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে কেন্দ্র। এ বার নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, অফিসেই টিকা পাবেন চাকুরিজীবীর পরিবারের সদস্যরাও। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি ও রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে কেন্দ্র জানিয়েছে এ কথা।

সরকারি অফিসগুলিতে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে টিকা পাচ্ছেন ৪৫ ঊর্ধ্ব কর্মচারীরা। বিভিন্ন বেসরকারি অফিসও সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে একযোগে কর্মচারীদের টিকা দেওয়ার কাজ চালাচ্ছে। দেশে এ পর্যন্ত মোট করোনা টিকা পেয়েছেন ১৯ কোটি ৫০ লক্ষেরও বেশি মানুষ। উল্লেখ্য গত কয়েকদিন ধরে দেশে লাগাতার কমছে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৪০ হাজার ৮৪২ জন। সংক্রমণের জেরে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৭৪১ জনের। অন্যদিকে, একদিনেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ লক্ষ ৫৫ হাজার ১০২ জন। এই নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২ কোটি ৬৫ লক্ষ ৩০ হাজার ১৩২-এ। এখনও অবধি মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ কোটি ৩৪ লক্ষ ২৫ হাজার ৪৬৭ জন। সংক্রমণের জেরে মেট মৃত্যু হয়েছে ২ লক্ষ ৯৯ হাজার ২৬৬। বর্তমানে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২৮ লক্ষ ৫ হাজার ৩৯৯।

আরও পড়ুন: নিম্নমুখী সংক্রমণকে টেক্কা দিয়ে বাড়ছে সুস্থতা, একদিনেই আক্রান্ত ২ লক্ষ ৪০ হাজার, সক্রিয় রোগী কমে দাঁড়াল ২৮ লাখে