Omicron Preparedness: প্রয়োজনে স্থানীয় স্তরে কনটেইনমেন্ট জ়োন, কেন্দ্রের নজরে ২৭ জেলা
Omicron Scare: বাড়তি নজর দিতে বলা হয়েছে জেলাওয়াড়ি পরিস্থিতির উপর। কোনও এলাকায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করলে, সেই ছোট ছোট এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে কনটেইনমেন্ট জ়োন হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।
নয়া দিল্লি: দেশে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। বিমানবন্দরগুলিতে ইতিমধ্য়েই কড়াকড়ি করে দেওয়া হয়েছে। এবার সব রাজ্যগুলিকে করোনা নিয়ে সচেতন করে দিয়েছে কেন্দ্র। প্রতিটি রাজ্য প্রশাসনকে সেখানকার করোনা পরিস্থিতির উপর সজাগ নজর রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ রাজ্যগুলিকে পাঠানো চিঠিতে একগুচ্ছ বিষয়ের উপর জোর দিয়েছেন। বাড়তি নজর দিতে বলা হয়েছে জেলাওয়াড়ি পরিস্থিতির উপর। কোনও এলাকায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করলে, সেই ছোট ছোট এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে কনটেইনমেন্ট জ়োন হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।
রাজেশ ভূষণের পাঠানো চিঠি অনুসারে, কেন্দ্র তিনটি রাজ্যের আটটি জেলাকে চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে কেরল, মিজোরাম এবং সিকিম। বিগত দুই সপ্তাহে দেশের মোট আক্রান্তের ১০ শতাংশেরও বেশি করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে এই তিন রাজ্যের আট জেলা থেকে। এর পাশাপাশি অন্য সাতটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ১৯ টি জেলা থেকে গত দুই সপ্তাহে দেশের মোট আক্রান্তের ৫-১০ শতাংশের খোঁজ মিলেছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব আরও জানিয়েছেন, “কোনও জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বা পজিটিভিটি রেট বাড়তে শুরু করে, তাহলে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয় স্তরে ছোট ছোট এলাকাকে চিহ্নিত করে কনটেইনমেন্ট জ়োন হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।”
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৯৯২ জন। গতকাল সেই সংখ্যাটা ছিল ৮ হাজার ৫০৩ জন। যা গতকালের তুলনায় অনেকটাই কম। একদিনে করোনার বলি হয়েছেন ৩৯৩জন। একদিনে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৬৬৬ জন। মোট ৯৩ হাজার ২৭৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এদিকে, দেশে ৯ হাজার ২৬৫ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মোট সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা ৩ কোটি ৪১ লাখ ১৪ হাজার ৩৩১ জন করোনাকে হারিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
উল্লেখ্য, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তামিলনাড়ুর মাদুরাই জেলা প্রশাসন ইতিমধ্য়েই বেশ কিছু পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে। মাদুরাই জেলা কালেক্টরের তরফে জারি করা এক নির্দেশিকায় ওই কড়াকড়ির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, যাঁদের এখনও করোনা টিকাকরণ হয়নি, তাঁরা জেলার কোনও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, কোনও ব্যাঙ্ক বা অন্য কোনও সাধারণের ব্যবহারযোগ্য জায়গায় প্রবেশ করতে পারবেন না। কোন কোন ক্ষেত্রে কড়াকড়ি থাকবে, সেই সব স্পষ্টভাবে বলে দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, মাদুরাইতে যাঁদের টিকা দেওয়া হয়নি, তাঁরা ন্যায্যমূল্যের দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সুপার মার্কেট, থিয়েটার, বিয়েবাড়ি, শপিং মল, জামা-কাপড়ের দোকান, ব্যাঙ্ক এবং মদের দোকান সহ অন্যান্য সর্বজনীন স্থানে প্রবেশ করতে পারবেন না। সোমবার থেকেই চালু হয়ে যাচ্ছে এই নিয়ম।