UPSC lateral entry: আমলাতন্ত্রে সমান্তরাল নিয়োগ, রাহুলের আপত্তি, পিছু হটল কেন্দ্র

UPSC lateral entry: আমলাতন্ত্রে সমান্তরাল নিয়োগের বিষয়ে বিজ্ঞাপন প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিল কেন্দ্র। ইউপিএসসি-র প্রধানকে এই বিষয়ে চিঠি দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। এই নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। আপত্তি জানান এনডিএ শরিক চিরাগ পাসোয়ানও।

UPSC lateral entry: আমলাতন্ত্রে সমান্তরাল নিয়োগ, রাহুলের আপত্তি, পিছু হটল কেন্দ্র
ইউপিএসসি প্রধানকে চিঠি দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: Aug 20, 2024 | 9:55 PM

নয়া দিল্লি: ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন বা ইউপিএসসি-কে আমলাতন্ত্রে সমান্তরাল নিয়োগের বিষয়ে বিজ্ঞাপন প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিল কেন্দ্র। বিরোধীদের পাশাপাশি এই বিষয়ে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন এনডিএ শরিক চিরাগ পাসওয়ানও। এরপরই ইউপিএসসি-র প্রধানকে এই বিষয়ে চিঠি দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মতে, সামাজিক ন্যায়বিচার মেনে এই পদক্ষেপ করা উচিত। গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন সিনিয়র পদে সমান্তরাল নিয়োগের জন্য ‘প্রতিভাবান এবং অনুপ্রাণিত ভারতীয় নাগরিকদের’ আবেদন চেয়ে এই বিজ্ঞাপন জারি করেছিল ইউপিএসসি।

২৪টি মন্ত্রকের জয়েন্ট সেক্রেটারি, ডিরেক্টর এবং ডেপুটি সেক্রেটারি মিলিয়ে মোট ৪৫টি পদের জন্য এই বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। বরাবর এই পদগুলিতে আইএএস-এর মতো সরকারি পরিষেবা ক্যাডার থেকে নিয়োগ করা হত। তবে, এবারের বিজ্ঞাপনে এর বাইরে থেকে নিয়োগের কথা বলা হয়েছিল। সরকারের এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে দ্রুত বিতর্কের সূত্রপাত হয়। লোকসভার বিরোধী দলনেতা নেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, সংরক্ষণের সুযোগ না দিয়ে, অসাংবিধানিকভাবে সরকারের ঘনিষ্ঠ লোকজনদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। ‘দলিতদের উপর আক্রমণ’ বলে এই প্রক্রিয়ার সমালোচনা করেছিলেন তিনি। এনডিএ শরিক তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসোয়ানও এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, যেকোনও সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রেই সংরক্ষণের বিধান থাকতে হবে। এর মধ্যে যদি-কিন্তুর জায়গা নেই।

বিজেপি তখন বলেছিল, কংগ্রেস সরকারে থাকাকালীনই এই ধারণার উদ্ভব হয়েছিল। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং চিঠিতে জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের আগে থেকেই বেশিরভাগ প্রধান পদগুলিতে এই ভাবেই নিয়োগ করা হয়েছিল। পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও উঠেছিল। মোদী সরকার এই পদ্ধতিকে প্রাতিষ্ঠানিক, স্বচ্ছ এবং উন্মুক্ত করতে চায়। তবে এর সঙ্গে সাংবিধানিক ন্যায্যতা এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের নীতির মতো বিষয়গুলি জড়িয়ে। প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন, বিশেষ করে সংরক্ষণের বিধানগুলির বিষয়ে এই পদক্ষেপকে সাংবিধানিকভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। সরকারের এদিনের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন চিরাগ পাসোয়ান। তিনি বলেছেন, এতেই বোঝা যায়, জনগণের উদ্বেগের বিষয়ে কতটা যত্নশীল মোদী সরকার। প্রধানমন্ত্রী মোদী এসসি-এসটি এবং অনগ্রসর মানুষদের উদ্বেগ বুঝতে পেরেছেন বলে, তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ধন্যবাদ জানান।