Moradabad: হাসপাতালেই বন্দি করে নার্সকে চরম অত্যাচার ডাক্তারের! সাহায্য করল নার্স-ওয়ার্ডবয়
Moradabad: মহিলাদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় কোনও লাগাম লাগানো যাচ্ছে না। এবার প্রায় তিলোত্তমা কাণ্ডের মতোই এক ন্য়ক্কারজনক ঘটনার খবর এল উত্তর প্রদেশের মোরাদাবাদ জেলা থেকে। এক বেসরকারি হাসপাতালে এক ২০ বছর বয়সী নার্সকে পণবন্দি করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল হাসপাতালেরই এক ডাক্তারের বিরুদ্ধে। আরও ভয়ানক বিষয় হল, এই অপকর্মে তাকে সাহায্য করেছিল ওই হাসপাতালের আরও এক নার্স এবং ওয়ার্ডবয়।
লখনউ: কলকাতার আরজি কর কাণ্ড নিয়ে দেশ জুড়ে ক্ষুব্ধ চিকিৎসক মহল। শুধু চিকিৎসা মহল কেন, ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে সমাজের সর্বস্তরে। তবে, তারপরও মহিলাদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় কোনও লাগাম লাগানো যাচ্ছে না। এবার প্রায় তিলোত্তমা কাণ্ডের মতোই এক ন্য়ক্কারজনক ঘটনার খবর এল উত্তর প্রদেশের মোরাদাবাদ জেলা থেকে। এক বেসরকারি হাসপাতালে এক ২০ বছর বয়সী নার্সকে পণবন্দি করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল হাসপাতালেরই এক ডাক্তারের বিরুদ্ধে। আরও ভয়ানক বিষয় হল, এই অপকর্মে তাকে সাহায্য করেছিল ওই হাসপাতালের আরও এক নার্স এবং ওয়ার্ডবয়। নির্যাতিতা নার্সের বাবার অভিযোগ অনুসারে, ঘটনাটি ঘটেছে ১৭ অগস্ট এবং ১৮ অগস্টের মধ্যবর্তী রাতে। ওই রাতে হাসপাতালে নাইট ডিউটি করছিলেন হতভাগ্য নার্স।
জানা গিয়েছে, ১৭ অগস্ট সন্ধ্যা ৭টায় তিনি হাসপাতালে এসেছিলেন। রাত গভীর হলে, মেহনাজ নামে হাসপাতালের আরেক নার্স তাঁকে ডা. শাহনওয়াজ নামে এক ডাক্তারের ঘরে যেতে বলেছিলেন। তিনি জানান, ওই ডাক্তার তাঁকে ডাকছেন। আগে তাঁর সঙ্গে ওই ডাক্তার কোনও খারাপ ব্যবহার করেছিলেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়। কিন্তু, আক্রান্ত নার্স, ওই ডাক্তারের ঘরে যেতে অস্বীকার করেছিলেন। কিন্তু নার্স মেহনাজ এবং জুনায়েদ নামে এক ওয়ার্ড বয় তাঁকে জোর করে হাসপাতালের উপরের তলার একটি ঘরে নিয়ে গিয়েছিল। তাকে ওই ঘরে বন্দি করে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দিয়েছিল। এর কিছু পরে, ডাক্তার শাহনওয়াজ ওই ঘরে ঢুকে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এরপর ওই নার্সকে ধর্ষণ করেন ডাক্তারবাবু, বলে অভিযোগ।
নির্যাতিতা নার্সের বাবার অভিযোগ অনুযায়ী, ওই ঘটনার পর, অনেক কষ্টে নার্সটি নীচে নেমে এসেছিলেন। সকালের শিফটে আসা নার্সকে ঘটনাটি জানান। এরপর তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন। বাড়িতে ফিরে তিনি পরিবারের সদস্যদেরও পুরোটা জানান। এরপরই তাঁর বাবা মোরাদাবাদ থানায় এই বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, তাঁর মেয়েকে হত্যার হুমকিও দিয়েছেন অভিযুক্ত ডাক্তার। শুধু তাই নয়, নির্যাতিতার দলিত পরিচয় নিয়েও অপবাদ দেন তিনি। তাঁর অভিযোগ পাওয়ার পরই, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা এবং এসসি/এসটি আইনের প্রাসঙ্গিক ধারায় এই বিষয়ে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে মোরাদাবাদ পুলিশ। অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মোরাদাবাদের পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) সন্দীপ কুমার মীনা বলেছেন, “এই বিষয়ে ঠাকুরদ্বার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্তের জন্য একটি দল গঠন করা হয়েছে। নির্যাতিতা মহিলার মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে। তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” শুধু পুলিশে অভিযোগ জানানোই নয়, নির্যাতিতা নার্সের বাবা অভিযোগ জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছেও। অভিযুক্তর মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করছে। এর পাশাপাশি, দশ মাস আগে ওই হাসপাতালে নার্স হিসাবে কাজ করছিলেন তিনি। হাসপাতাল থেকে কোনও বেতনও দেওয়া হত না। শুধুমাত্র যাতায়াতের খরচ দিত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)