Rahul Gandhi’s citizenship: আর কি ভারতের নাগরিক থাকতে পারবেন রাহুল? সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর মামলায় শোরগোল
Rahul Gandhi's citizenship: সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল রাহুল গান্ধীকে চিঠি লেখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ১৫ দিনের মধ্যে এই নিয়ে তাঁর বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়। স্বামী এদিন আদালতে জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি পাঠানোর পর ৫ বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু, তাঁর চিঠি নিয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, জানতে পারেননি।
নয়াদিল্লি: তিনি লোকসভার বিরোধী দলনেতা। দীর্ঘদিনের কংগ্রেস সাংসদ। এবার সেই রাহুল গান্ধীর নাগরিকত্ব নিয়ে উঠল প্রশ্ন। রাহুল গান্ধী ভারতের নাগরিক হওয়ার পাশাপাশি ব্রিটেনের নাগরিক। এই দাবি জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্টে তিনি জানান, রাহুলের ভারতের নাগরিকত্ব খারিজের দাবিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে ৫ বছর আগে চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু, তার জবাব পাননি। তাই, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে তাঁর আবেদনের জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়ার জন্য দিল্লি হাইকোর্টে আর্জি জানান সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।
এদিন আদালতে স্বামী জানান, ২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে জানিয়েছিলেন, ২০০৩ সালে ব্যাকওপস লিমিটেড নামে একটি সংস্থার রেজিস্ট্রেশন রয়েছে ব্রিটেনে। ওই কোম্পানির একজন ডিরেক্টর ও সচিব হলেন রাহুল গান্ধী। ওই কোম্পানি ২০০৫ সালের ১০ অক্টোবর এবং ২০০৬ সালের ৩১ অক্টোবর তাদের বার্ষিক রিটার্ন ফাইল করে। সেখানে রাহুল জানিয়েছেন, তিনি ব্রিটিশ নাগরিক।
সুব্রহ্মণ্যম স্বামী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে জানান, রাহুল স্বেচ্ছায় ব্রিটিশ নাগরিকত্ব নিয়েছেন। আবার তিনি ভারতের নাগরিক। যা সংবিধানের ৯ অনুচ্ছেদ এবং ভারতীয় নাগরিকত্ব আইন, ১৯৫৫-কে লঙ্ঘন করছে। সংবিধানের ৯ অনুচ্ছেদ বলছে, কেউ স্বেচ্ছায় বিদেশের নাগরিক হলে আর ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন না। ফলে রাহুলের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রত্যাহারের দাবি জানান প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম।
সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল রাহুল গান্ধীকে চিঠি লেখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ১৫ দিনের মধ্যে এই নিয়ে তাঁর বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়। স্বামী এদিন আদালতে জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি পাঠানোর পর ৫ বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু, তাঁর চিঠি নিয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, জানতে পারেননি। তাই, আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
সুব্রহ্মণ্যম স্বামী এদিন আদালতে নিজেই সওয়াল করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সত্য সভরওয়াল। কেন্দ্রের হয়ে আদালতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল চেতন শর্মা। তবে বিচারপতি সঞ্জীব নারুলা এই নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে কোনও নির্দেশ দিতে চাননি। তবে সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর আবেদন জনস্বার্থ মামলা হিসেবে গ্রহণ করেন। বিচারপতি জানান, জনস্বার্থ মামলা হিসেবে আবেদনটি শুনবে রোস্টার বেঞ্চ। ২৬ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)