Centre on Third Dose of COVID Vaccine: তৃতীয় ডোজ়ের কি আদৌই প্রয়োজন রয়েছে আমজনতার? কেন্দ্র জানাল এই কথা…
Third Dose of COVID Vaccine: প্রথমে যেখানে কেন্গ্রের তরফে বুস্টার ডোজ়ে না করা হয়েছিল, সেখানেই মত বদল হল কীভাবে, এই নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল। বাকি দেশের মতো ভারতেও করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ়ের আদৌই প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কিনা, তা নিয়েও একাধিক ব্যক্তির মনে প্রশ্ন রয়েছে।
নয়া দিল্লি: করোনা টিকা (COVID Vaccine)-র দুটি ডোজ় পেয়ে গিয়েছেন দেশের প্রাপ্তবয়স্কদের ৭৮ শতাংশই। নতুন বছরের জানুয়ারি মাস থেকেই দেওয়া শুরু হয়েছে স্বাস্থ্যকর্মী, করোনাযোদ্ধা ও কো-মর্ডিবিটিযুক্ত ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের প্রিকশন ডোজ় (Precaution Dose)। তবে প্রথমে যেখানে কেন্দ্রের তরফে বুস্টার ডোজ়ে না করা হয়েছিল, সেখানেই মত বদল হল কীভাবে, এই নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল। বাকি দেশের মতো ভারতেও সাধারণ মানুষদের করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ়ের (Third Dose of COVID Vaccine) আদৌই প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কিনা, তা নিয়েও একাধিক ব্যক্তির মনে প্রশ্ন রয়েছে। বৃহস্পতিবার করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ় নিয়ে যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের তরফে জানানো হল, প্রাপ্তবয়স্কদের করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ় দেওয়ার সিদ্ধান্ত বৈজ্ঞানিক চাহিদার উপর ভিত্তি করেই নেওয়া হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাপ্তাহিক বৈঠকে গতকাল নীতি আয়োগের সদস্য ডঃ ভিকে পাল বলেন, “প্রিকশন ডোজ় সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্তই প্রয়োজনীয়তার উপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়েছে। বৈজ্ঞানিক চাহিদাই হল প্রথম বিষয়, যা বিষয়টিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। এরপরে বাকি বিষয়গুলিও বিবেচনা করা হয়। অন্যরা করছে বলেই আমরা করব না। তাদের নিজস্ব কারণ রয়েছে, আমরাও নিজস্ব কারণের উপর ভিত্তি করে এবং নিয়মিত বৈজ্ঞানিক পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
করোনা টিকার অতিরিক্ত ডোজ় এবং সমস্ত জনগণকে সেই টিকা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কিনা, এই বিষয়টি ক্রমাগত পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলেই জানান ডঃ ভিকে পাল। তিনি বলেন, “করোনা টিকাকরণ নিয়ে গোটা বিশ্বে কী হচ্ছে, তার উপর আমরা নিয়মিত নজর রেখেই এবং টিকাকরণের সমস্ত দিকগুলি পর্যালোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
টিকাকরণের গতি সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল বলেন, “বর্তমানে দেশে বিভিন্ন ধরনের করোনা টিকাকরণ চলছে। তবে নাবালক, প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণ ও প্রিকশন ডোজ় মিলিয়ে বলা চলে যে ভাল গতিতেই চলছে টিকাকরণ কর্মসূচি। গত বছর অক্টোবর মাসে প্রতিদিন গড়ে ৭৭.৫৫ লক্ষ করোনা টিকা দেওয়া হচ্ছিল। নভেম্বরে সেই সংখ্যাটি কমে দাঁড়ায় ৫৯.৩২ শতাংশে। ডিসেম্বর এই সংখ্যাটি ছিল ৬১.৯১ লক্ষ এবং জানুয়ারিতে দৈনিক গড়ে ৬৯.৪৯ শতাংশ করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দৈনিক গড়ে ৫১ লক্ষ করোনা টিকা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে দেশের প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ৯৬ শতাংশই করোনা টিকার প্রথম ডোজ় এবং ৭৮ শতাংশ দুটি ডোজ়ই পেয়েছেন। আমরা অনুরোধ করছি যেসমস্ত নাবালক-নাবালিকারা এখনও করোনা টিকা নেননি, তারা যেন দ্রুত টিকা নেন।”
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে পুনরায় সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আইসিএমআরের ডিরেক্টর জেনারেল ডঃ বলরাম ভার্গব জানান, করোনার একটি ভ্য়ারিয়েন্টে সংক্রমিত হলে শরীরে যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে, তা অন্য কোনো ভ্যারিয়েন্ট থেকে সুরক্ষা দিতে পারে না। সেই কারণেই একবার করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরও সংক্রমণের নতুন ঢেউয়ে অনেকেই পুনরায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তবে টিকাকরণের ফলে সংক্রমণ থেকে অসুস্থতা গুরুতর আকার নেয়নি। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ও মৃত্যুর হারও তুলনামমূলকভাবে অনেকটাই কম। করোনাবিধি মেনে চললেই এই সুরক্ষা পাওয়া যাবে।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা