‘জোর করা হচ্ছে ব্যবহারকারীদের’ অভিযোগ কেন্দ্রের, হোয়াটসঅ্যাপের গোপনীয়তা নীতি নিয়ে তুমুল তরজা
কেন্দ্রের তরফে দিল্লি হাইকোর্টে জানানো হয়, হোয়াটসঅ্যাপ জোর করেই ব্যবহারকারীদের তাদের নতুন গোপনীয়তা নীতিতে সম্মতি বাধ্য করছে। হোয়াটসঅ্যাপের এই নীতিতে "গ্রাহক-বিরুদ্ধ নীতি" বলে আখ্যা দেয় কেন্দ্র।
নয়া দিল্লি: সম্প্রতি কেন্দ্রের নতুন তথ্য প্রযুক্তি আইন নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপ। এ বার কেন্দ্রের তরফে দিল্লি হাইকোর্টে জানানো হল কেন্দ্রের নতুন আইন আসার আগেই হোয়াটসঅ্যাপ জোর করে ব্যবহারকারীদের তাদের নতুন নীতিতে সম্মতি জানাতে বাধ্য করছিল।
গতবছরের ডিসেম্বরে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন গোপনীয়তা নীতি বা প্রাইভেসি পলিসি আসার পরই বিতর্ক শুরু হয়। ফেসবুকের মালিকানাধীন ওই মেসেজিং অ্যাপের তরফে জানানো হয়, তাদের নতুন নীতিতে গ্রাহকরা সম্মতি না জানান, তবে পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
গতকাল এই সংক্রান্ত একাধিক মামলার শুনানিতেই কেন্দ্রের তরফে দিল্লি হাইকোর্টে জানানো হয়, হোয়াটসঅ্যাপ জোর করেই ব্যবহারকারীদের তাদের নতুন গোপনীয়তা নীতিতে সম্মতি বাধ্য করছে। হোয়াটসঅ্যাপের এই নীতিতে “গ্রাহক-বিরুদ্ধ নীতি” বলে আখ্যা দেয় কেন্দ্র। একইসঙ্গে আদালতের কাছে আর্জি জানানো হয়, বর্তমান ব্যবহারকারীদের উপর যেন জোর করে প্রাইভেসি পলিসি চাপিয়ে না দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের তরফে হোয়াটসঅ্যাপের নীতি নিয়ে আদালতের একটি অতিরিক্ত হলফনামা জমা দেওয়া হয়। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়, “ব্যবহারকারীদের কী কী এবং কোন ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, তা জানাতে ব্যর্থ হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি নীতি। তারা ব্যবহারকারীদের সংগৃহীত তথ্য যাচাই বা বাদ দেওয়ার সুযোগও দেয় না।”
কেন্দ্রের তথ্য প্রযুক্তি আইনের বিরোধিতা করা নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপের সমালোচনা করে বলা হয়, “হোয়াটসঅ্যাপের গেম প্ল্যান সম্পূর্ণ স্পষ্ট। তারা চায়, ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল আইনে পরিণত হওয়ার আগেই বর্তমান ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে জোর করে ২০২১ সালের প্রাইভেসি পলিসিতে সম্মতি আদায় করে নেওয়া।” প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ এখনও অবধি প্রতিদিন কত নোটিফিকেশন পাঠিয়েছে এবং কত সংখ্যক মানুষ সেই নীতি মেনে নিয়েছে, তাও জানতে চাওয়া হয়।