‘একাই একশো’ কোভিশিল্ডের ১ ডোজ়? কতটা সফল ভ্যাকসিনের সংমিশ্রণ, পরীক্ষা করে দেখবে কেন্দ্র

কেন্দ্রের এই দুটি টিকা মিশ্রণের কার্যকারিতা পরীক্ষার পিছনে সম্প্রতি ২০ জনকে ভুল করে দুটি সংস্থার টিকা দেওয়াই কারণ বলে মনে করছেন অনেকে।

'একাই একশো' কোভিশিল্ডের ১ ডোজ়? কতটা সফল ভ্যাকসিনের সংমিশ্রণ, পরীক্ষা করে দেখবে কেন্দ্র
পঞ্জাবে করোনা টিকা নিচ্ছেন এক ব্যক্তি। ছবি:PTI
Follow Us:
| Updated on: May 31, 2021 | 1:57 PM

নয়া দিল্লি: করোনা টিকায় ঘাটতি দেখা দেওয়ায় ধীরগতিতেই চলছে দেশের টিকাকরণ প্রক্রিয়া। এ দিকে, চলতি বছরের শেষভাগের মধ্যে সমস্ত দেশবাসীর টিকাকরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কেন্দ্র। তাই টিকাকরণে গতি আনতে কোভিশিল্ডের একটি ডোজ় ও দুটি ভ্যাকসিনের সংমিশ্রণের কার্যকারিতা পরীক্ষা শুরু করতে চলেছে কেন্দ্র।

সূত্র অনুযায়ী, আগামী এক মাসের মধ্যেই দুটি সংস্থার ভ্যাকসিনের সংমিশ্রণের কার্যকারিতা কতটা, তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করবে কেন্দ্র। দুই-আড়াই মাসের মধ্যেই সেই গবেষণার ফল জানা যাবে বলে ধারণা। কেন্দ্রের এই দুটি টিকা মিশ্রণের কার্যকারিতা পরীক্ষার পিছনে সম্প্রতি ২০ জনকে ভুল করে দুটি সংস্থার টিকা দেওয়াই কারণ বলে মনে করছেন অনেকে।

টিকাকরণের শুরুতে কেন্দ্রের তরফে সাফ বলা হয়েছিল, করোনা টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ় যেন একই সংস্থার হয়। এ দিকে, সম্প্রতি ২০ জন টিকাপ্রাপককে ভুলবশত দুই সংস্থার দুটি ডোজ় দিয়ে দেওয়ার বিষয়টি সামনে আসতেই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, এতে চিন্তার কেনও কারণ নেই। এই বিষয়ে নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পাল বলেন, “ভ্যাকসিনের সংমিশ্রণ কতটা কার্যকরী, তা জানার জন্য গবেষণার প্রয়োজন।”

কেন্দ্রের তরফে আগামী জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে প্রতিদিন দেশজুড়ে এক কোটি মানুষকে দেওয়ার যে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে, তা পূরণ করতেই ভ্যাকসিন মিশ্রণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে দাবি। অন্যদিকে, কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ়ের মধ্যে যে ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের ব্যবধান তৈরি করা হয়েছে, তা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কতটা কার্যকর, তাও পরীক্ষা করে দেখা হবে বলে জানা গিয়েছে।

একইসঙ্গে কোভিশিল্ডের একটি ডোজ় দিলে তা সংক্রমণ প্রতিরোধে কতটা সক্ষম, তাও যাচাই করে দেখা হবে। মূলত জনসন অ্যান্ড জনসন ও স্পুটনিক লাইটের টিকার উপাদান অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের অনুরূপ, অথচ এই দুটি ভ্যাকসিনই একটি ডোজ়ের। সেই কারণেই ভারতে কোভিশিল্ড নামে পরিচিত এই ভ্যাকসিনের একটি ডোজ় কতটা করোনা সংক্রমণ রুখতে সক্ষম, তা জানতেই গবেষণা করা হবে। যদি কার্যকারিতা প্রমাণ হয়, তবে দুটি ডোজ়ের বদলে একটি ডোজ় ভ্যাকসিনও দেওয়া হতে পারে, যা টিকা উৎপাদনেও কিছুটা চাপ কমাবে।

আরও পড়ুন: টিকা নিয়েও তৈরি হয়নি অ্যান্টিবডি, সেরাম কর্তা সহ কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের বিরুদ্ধে দায়ের অভিযোগ