Oxygen service in Train: ভোররাতে ট্রেনের মধ্যেই অক্সিজেন পরিষেবা, রেলের তৎপরতায় প্রাণে বাঁচলেন অসুস্থ যাত্রী
রেলের সহায়তায় ট্রেনেই কাদের যাদবকে অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থাপনা করা হয়। কোভিডের সময় স্টেশনে বা ট্রেনে যে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, তারই সুফল যে বর্তমানে মিলছে, তা এই ঘটনাতেই স্পষ্ট।
ভোপাল: কোভিড-পিরিয়ড অতিক্রান্ত। তবে ট্রেনে যাত্রীদের সবরকম সুবিধা দিতে বদ্ধপরিকর রেল। তাই ভোররাতে ট্রেনের মধ্যেই অসুস্থ যাত্রীর জন্য অক্সিজেন পরিষেবার ব্যবস্থা করল রেল। আর রেলের এই তৎপরতায় প্রাণে বাঁচলেন ৪০ বছর বয়সি কাদের যাদব।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪০ বছর বয়সি কাদের যাদব ছত্তীশগঢ়ের বাসিন্দা। ব্রেন হেমারেজের পর চিকিৎসার জন্যই ট্রেনে করে দিল্লি যাচ্ছিলেন তিনি। গত ১৫ ডিসেম্বর বিলাসপুর-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসে চড়ে রওনা দেন কাদের। তাঁর সফরসঙ্গী ছিলেন পুরুষ নার্স ধীরাজ কুমার। শুক্রবার ভোররাতে হঠাৎ করেই তাঁর দেহে অক্সিজেন মাত্রা অনেকটা কমে ৮০-৮৫ হয়ে যায়। ট্রেনটি তখন মধ্যপ্রদেশের ভোপাল স্টেশনে ঢুকছে। তারপর ধীরজ কুমারের তৎপরতায় এবং রেলের সহায়তায় ট্রেনেই কাদের যাদবকে অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থাপনা করা হয়। কোভিডের সময় স্টেশনে বা ট্রেনে যে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, তারই সুফল যে বর্তমানে মিলছে, তা এই ঘটনাতেই স্পষ্ট।
ট্রেনের মধ্যে কাদের যাদবকে অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য রেল আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন ধীরজ কুমার। তারপর কোভিড হেল্প ডেস্কের তরফেই ট্রেনে অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করা হয়। কোভিড রোগী হেল্পডেস্ক-এর ভাইস চেয়ারম্যান অভিষেক মাকওয়ানে বলেন, “১৬ ডিসেম্বর ভোররাত ১টা ২৬ মিনিট নাগাদ রেলের আধিকারিকেরা অক্সিজেন সিলিন্ডার দেওয়ার ব্যবস্থা করার কথা জানান। সঙ্গে সঙ্গে আমরা চাইরায়ু হাসপাতাল থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবস্থা করি এবং ভোপাল স্টেশনে পাঠাই। ভোর ৪টেয় রাজধানী এক্সপ্রেস ভোপাল স্টেশনে ঢোকার আগের মুহূর্তে অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে যায়। তারপর ওই রোগীকে অক্সিজেন সহ অন্যান্য মেডিক্যাল সহায়তা দেওয়া হয় এবং সাড়ে ৪টে নাগাদ ট্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।”
ট্রেনের মধ্যেই অক্সিজেন সিলিন্ডারের নল নাকে লাগিয়ে কাদের যাদবকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি এবং তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে ধীরজ কুমার জানিয়েছেন। অবিলম্বে অক্সিজেন দেওয়া না হলে কাদের যাদবের প্রাণ সংশয় হতে পারত বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন ধীরাজ কুমার। রেল যেভাবে তৎপরতার সঙ্গে ট্রেনের মধ্যে অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করল, তার জন্য রেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ধীরজ কুমার সহ কাদের যাদবের পরিবার।