Chhatisgarh: রাতে পুরুষদের এক পেগ মদ খেয়ে ঘুমোতে দিন, মহিলাদের পরামর্শ নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রীর!
Anila Bhediya: গার্হস্থ হিংসার অন্যতম কারণ হিসাবে দায়ী করা হয় মদ-কে (Alcohol)। মদ্যপান নিয়ে মধ্য ও নিম্নবিত্ত পরিবারে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে কলহের কথা অহরহ উঠে আসে সংবাদ শিরোনামে। তবে রাতে পুরুষদের এক পেগ করে মদ খেতে দেওয়ার জন্য মহিলাদের পরামর্শ দিলেন নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী।
দেশ: গার্হস্থ হিংসার অন্যতম কারণ হিসাবে দায়ী করা হয় মদ-কে (Alcohol)। মদ্যপান নিয়ে মধ্য ও নিম্নবিত্ত পরিবারে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে কলহের কথা অহরহ উঠে আসে সংবাদ শিরোনামে। তবে রাতে পুরুষদের এক পেগ করে মদ খেতে দেওয়ার জন্য মহিলাদের পরামর্শ দিলেন নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী। যিনি নিজেও একজন মহিলা। মন্ত্রীর এ হেন মন্তব্যকে ঘিরে তীব্র শোরগোল শুরু হয়েছে ছত্তিসগঢ়ে (Chhatisgarh)।
ছত্তিসগঢ়ে নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী অনিলা ভেদিয়া (Anila Bhediya)। তিনি জানাচ্ছেন, রাতে পুরুষদের এক পেগ খেয়ে ঘুমোতে দেওয়া উচিত। গ্রামের মহিলাদের পরামর্শ দিতে গিয়ে অনিলা ভেদিয়া বলেন, ‘স্ট্রেস ফ্রি থাকার জন্য পুরুষদের রাতে এক পেগ মদ খেয়ে ঘুমোতে দিন’। তাঁর আরও দাবি, মহিলাদের সাংসারিক কাজকর্ম থাকে। তাই তাঁদের মদ না খাওয়াই ভাল।
নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, মহিলারা মদ খাওয়ার কারণে মানসিকভাবে চাপ অনুভব করতে পারেন। কারণ, তাঁদের বাড়ি এবং পরিবারের দেখাশোনা করতে হয়। তবে সে চাপ পুরুষদের নেই। তাই, “থোড়ি থোড়ি পি লিয়া করো অউর সো জায়া করো” (একটু একটু পান করুন আর ঘুমিয়ে পড়ুন), বলছেন মন্ত্রী।
ছত্তীসগঢ়ের কংগ্রেস সরকার যখন তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষায় জানপ্রাণ দিয়ে চেষ্টা চালাচ্ছে, তখন খোদ রাজ্যেরই মন্ত্রীর এমন ‘পরামর্শ’ ঘিরে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। গ্রামীণ মহিলাদের দেওয়ার তাঁর এই পরামর্শ কংগ্রেস সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। বিরোধীরা বলছেন, মন্ত্রী আসলে গার্হস্থ হিংসাতেই ইন্ধন জোগালেন। যদিও মন্ত্রী বলেছেন, ‘পুরুষরা যাতে চিন্তামুক্ত থাকতে পারেন, তাই মহিলাদের উচিত রাতে তাঁদের এক পেগ মদ খেয়ে ঘুমাতে যেতে দেওয়া।’
বিতর্কের মুখে অবশ্য পরে ফের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ছত্তিসগঢ়ের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী। আত্মপক্ষ সমর্থন করে তাঁর দাবি, বিরোধীরা অপব্যাখ্যা করেছে তাঁর মন্তব্যের। এই মন্তব্যের প্রেক্ষিত ছিল আলাদা। অনিলার কথায়,”আমি মদের প্রতি আসক্ত পুরুষদের সম্বোধন করছিলাম। এবং আমি বলেছিলাম, তাঁদের কম মদ্যপান করা উচিত। বাড়ি এবং শিশুদের দায়িত্বের কারণে মহিলাদের প্রচুর মানসিক চাপের মুখোমুখি হতে হয়। আমি বলতে চেয়েছিলাম, মদের আসক্তি খারাপ এবং এর থেকে মুক্তি পাওয়া উচিত।”
উল্লেখ্য, দু’দিন আগে রায়পুর থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে কামার উপজাতির মহিলাদের সঙ্গে কথা বলার সময়, মন্ত্রীকে বলা হয়েছিল যে, রাজ্য সরকার গ্রামবাসীদের ব্যবহারের জন্য তাদের নিজস্ব মদ তৈরি করার অনুমতি দেওয়ার পর থেকেই গ্রামে মদের ব্যবহার আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই প্রেক্ষিতেই তিনি ওই মন্তব্য করেন বলে খবর।
আরও পড়ুন: Kerala Rain: প্লাবনে প্রাণ কাড়া শুরু কেরলে! পাঁচজনের মৃত্যু, নিখোঁজের তালিকাও দীর্ঘ হচ্ছে