বিশ্বের দ্বিতীয় উচ্চতম ‘স্ট্যাচু অব ইকুয়্যালিটি’ উদ্বোধনের আমন্ত্রণ পেলেন রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ
Statue Of Equality: এই বিশেষ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে আমন্ত্রণ জানাতে মঙ্গলবার রাইসিনা হিলে হাজির হন রামানুচার্যের সংগঠনের বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান ত্রিডান্ডি চিন্না জিয়ার স্বামী
নয়া দিল্লি: ২০২২ সালে হায়দরাবাদ শহরের অদূরে শামসাবাদে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ‘শ্রী রামানুজ শহস্রাব্দী’ অনুষ্ঠান। একাদশ শতকে ভারতে জন্ম নেওয়া হিন্দু ধর্মতত্ত্ববিদ এবং দার্শনিক ছিলেন শ্রী রামানুচার্য স্বামী। তাঁরই ১০০০ তম জন্মবর্ষ উদযাপনের জন্য মঙ্গলবার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে। সব মানুষকে এক গণ্য করার লক্ষ্য়ে ভক্তি আন্দোলনের অন্যতম পথপ্রদর্শক ছিলেন এই রামানুজাচার্য।
তাঁর ১০০০ তম জন্মবর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে আগামী বছর এক সপ্তাহব্যাপী বিরাট মাপের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। হায়দরাবাদ শহরের সন্নিকটে শামসাবাদে তাঁর আশ্রমেই একটি বিশালাকার মূর্তি বানানো হয়েছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্ট্যাচু অব ইকুয়্যালিটি’। অর্থাৎ যা হল সমতার প্রতীক। ১০৮ ফুটের এই স্ট্যাচু একবার উদ্বোধন হলে তা পৃথিবীর দ্বিতীয় উচ্চতম মূর্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। জাত-ধর্ম নির্বিশেষে ভক্তদের ভগবান লাভের পথ প্রদর্শক হিসেবে অবিস্মরণীয় ভূমিকা নেওয়ার কারণেই তাঁর এই মূর্তির নামেও সাম্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
আগামী বছরের এই বিশেষ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে আমন্ত্রণ জানাতে মঙ্গলবার রাইসিনা হিলে হাজির হন রামানুচার্যের সংগঠনের বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান ত্রিডান্ডি চিন্না জিয়ার স্বামী। রাষ্ট্রপতিকে তিনি জানান, ১০০০ বছর উদযাপনের এই অনুষ্ঠান ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। শামসাবাদের মুচিঞ্চল এলাকায় রামানুচার্যের আশ্রমেই ২০০ একর জমির উপর এই বিশালাকার তামাটে রঙের মূর্তিটি নির্মাণের কাজও প্রায় শেষ। মূর্তিটি নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে প্রায় ১০০০ কোটি টাকা। প্রায় ১৮০০ টন পঞ্চ লোহা ব্যবহার করা হয়েছে এটি নির্মাণের জন্য।
সংশ্লিষ্ট সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, রামানুজাচার্যের ১০০০ তম জন্মের বছর উপলক্ষে সামাজিক কল্যাণের জন্য ১০৩৫ টি যজ্ঞেকুণ্ডে লক্ষ্মী-নারায়ণ যজ্ঞের আয়োজন করা হবে। সেই যজ্ঞে প্রায় ২ লক্ষ কেজি ঘি ব্যবহার করা হবে বলেও জানিয়েছেন উদ্যোগতারা। ত্রিডান্ডি চিন্না জিয়ার স্বামীর আকাঙ্খা, খুব শীঘ্রই এই আশ্রম গোটা বিশ্বের বিখ্যাত আধ্যাত্মিক স্থান হিসেবে খ্যাতি লাভ করবে।