Sonia Gandhi: সংসদে আচমকা অসুস্থ সনিয়া, মা-কে ১০ জনপথে নিয়ে গেলেন রাহুল
Sonia Gandhi feel uneasy in parliament: আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়লেন সনিয়া গান্ধী। মাকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে রাজি হননি রাহুল।
নয়া দিল্লি: আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়লেন সনিয়া গান্ধী। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সকালই সংসদে উপস্থিত হয়েছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী। কিন্তু, অধিবেশন চলাকালীন তিনি হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সূত্রের খবর, একটি গরম জ্যাকেট পরে এসেছিলেন সনিয়া। অধিবেশনের মাঝে তিনি শারীরিক অস্বস্তি বোধ করেন। খবর পেয়ে সংসদে এসে উপস্থিত হন তাঁর ছেলে তথা কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সনিয়াকে জল খাওয়ানো হয়। রাহুল তাঁকে বিশ্রাম নিতে বলেন। জানা গিয়েছে, এই পর্যায়ে সনিয়া জনিয়েছিলেন, তিনি সুস্থ বোধ করছেন, সংসদেই থাকতে চান। কিন্তু, তাতে রাজি হননি রাহুল। মায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি হননি তিনি। নিজের গাড়িতে করে তিনি সনিয়াকে ১০ জনপথ রোডের বাড়িতে পৌঁছে দেন।
In parliament #RahulGandhi & #SoniaGandhi pic.twitter.com/wH0tirtPHk
— I M Singh (@CChaahiye) February 7, 2023
আদানি ইস্যুতে টানা তিনদিন সংসদের অধিবেশন টানা মুলতুবি হয়ে যাওয়ার পর, এদিন অবশেষে অধিবেশনে অংশ নেন বিরোধীরা। এদিন লোকসভায় বক্তব্য রাখার কথা রাহুল গান্ধীর। সেই বক্তৃতা শুনতে চেয়েছিলেন সনিয়া। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত এদিন লোকসভা অধিবেশনে থাকা হল না তাঁর। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে রাহুলের গাড়িতে করে সংসদ ভবন ছাড়ছেন সনিয়া। তাঁকে অবশ্য পায়ে হেঁটেই গাড়িতে এসে বসতে দেখা যায়। সূত্রের খবর, তাড়াহুড়োয় সনিয়া নিজের মোবাইল ফোনটিও, তাঁর সংসদীয় কার্যালয়ে ফেলে চলে যান। সনিয়াকে বাড়িতে পৌঁছে, ফের সংসদে ফিরে আসেন রাহুল গান্ধী। সেই সময় তাঁকে সিপিআইএম-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে কথা করমর্দন করতে এবং কথা বলতে দেখা যায়।
সোমবারই (৬ ফেব্রুয়ারি), এক সর্বভারতীয় পত্রিকায় আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে মোদী সরকারের ‘যোগসাজশ’ থাকার অভিযোগ করেন। পাশাপাশি, সর্বশেষ কেন্দ্রীয় বাজেটে সামাজিক খাতের বরাদ্দ কমানোর জন্যও কেন্দ্রীয় সরকারের নিন্দা করেন। গৌতম আদানির নাম না করে তিনি লিখেছেন, “যখন প্রধানমন্ত্রীর প্রিয় এবং সুবিধাপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীকে নিয়ে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে, তখনও ভাবনার অভাবে ভুগে প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর মন্ত্রীরা উচ্চস্বরে ‘বিশ্বগুরু’ এবং ‘অমৃত কাল’-এর মতো শব্দবন্ধ উচ্চারণ করে চলেছেন। জীবিকা, সঞ্চয় এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত কোটি কোটি ভারতীয়দের এতে কোনও সাহায্য হবে না।”