Anand Sharma: ‘৫১ বছর আগে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলাম, আজ…’, এবার দলও ছাড়বেন আনন্দ শর্মা?
Anand Sharma: আনন্দ শর্মা বলেন, "আমি কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে ইস্তফার কথা জানিয়েছি। আমি তো কোনওদিন পর্ষবেক্ষক কমিটির চেয়ারম্যান হতে চাইনি। আমার কাছে কেউ জানতেও চাননি, আমার পরামর্শও নেওয়া হয়নি।"
নয়া দিল্লি: নির্বাচনের আগেই ফের বড় ধাক্কা হিমাচল প্রদেশে। কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক কমিটি থেকে ইস্তফা দিলেন প্রবীণ নেতা আনন্দ শর্মা। দলনেত্রী সনিয়া গান্ধীর কাছে তিনি চিঠি লিখে ইস্তফার কথা জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে উগরে দিয়েছেন জমে থাকা অনেক ক্ষোভ। দলে তাঁকে ক্রমাগত অসম্মান ও অপমানের মুখে পড়তে হয় বলে জানিয়েছেন আনন্দ শর্মা। দলীয় বৈঠক বা কার্যকলাপ থেকেও বাদ পড়েছেন বলে অভিযোগ তাঁর। তাই আত্মসম্মানের সঙ্গে আপোস না করে তিনি এই পদ ছাড়ছেন বলে জানিয়েছেন।
চিঠিতে কী লিখেছেন আনন্দ শর্মা?
হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা বলেন, “আমি কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে ইস্তফার কথা জানিয়েছি। আমি তো কোনওদিন পর্ষবেক্ষক কমিটির চেয়ারম্যান হতে চাইনি। আমার কাছে কেউ জানতেও চাননি, আমার পরামর্শও নেওয়া হয়নি। যখন আমায় এই পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়, তখনই আমি গোটা বিষয়ে স্বচ্ছতার দাবি করেছিলাম। কারণ আমি কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য, আবার এখন রাজনৈতিক কমিটিরও সদস্য করা হল। আমার ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে কোনও স্বচ্ছতাই ছিল না। নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই ও কংগ্রেসের প্রচার পরিকল্পনাতেও আমার ভূমিকা কী হবে, তা জানানো হয়নি। তিনমাস হয়ে গেল, এখনও আমি কোনও উত্তর পাইনি। এর উপরে আবার নাকি কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক হয়েছে দিল্লি ও সিমলায়। জানি না সেটা কোন গ্রুপ, কিন্তু তাতে আমি ছিলাম না। অত্যন্ত অপমানিত বোধ করেছি আমি।”
তিনি আরও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “রাজ্যে যখন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক পাঠানো হয়, তখনও আমি ভূপেশ বাঘেল ও অন্যান্যদের সঙ্গে কথা বলি। তাদের বলি যে আপনারা আমার শহরে আসছেন, অথচ আমাকে কেউ জানালেন না। দলীয় কর্মসূচির তালিকাও যদি দেখেন, তবে দেখবেন যে আমায় সেখান থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যদি আমি মিটিং থেকেই বাদ থাকি, তবে কীভাবে কাজ করব? আর কেইবা আমায় বাদ দিচ্ছেন? আমি ৫১ বছর আগে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলাম, আর আজ আপনারা আমাকেই অপমান করছেন। শুধুমাত্র আমি ও গুলাম নবি আজাদ কিছু বিষয় নিয়ে সরব হয়েছি বলে? আমি অত্যন্ত অপমানিত বোধ করছি। আমি তৃণমূল স্তরের নেতা। হিমাচলেই ফিরে যাচ্ছি আমি।”
কংগ্রেস ছাড়বেন আনন্দ শর্মা?
দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভে আগেও একের পর এক প্রবীণ ও শীর্ষ নেতা কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। এবার তিনিও সেই পথেই হাঁটবেন কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে আনন্দ শর্মা বলেন, “আমি কংগ্রেসের সদস্য ছিলাম এবং জীবনের শেষ নিশ্বাস অবধি আমি কংগ্রেসের সদস্যই থাকব। এটা সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। দুটিকে মিলিয়ে ফেলবেন না।”