Rahul Gandhi: ‘পরিকল্পিত হামলাই হয়েছে কৃষকদের উপর’, লখিমপুর যাওয়া নিয়ে নাছোড়বান্দা রাহুল
Rahul Gandhi on Lakhimpur Violence: প্রধানমন্ত্রীকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি রাহুল। তিনি বলেন, "গতকালই প্রধানমন্ত্রী লখনউতে ছিলেন, কিন্তু তিনি লখিমপুরে যেতে পারলেন না।"
নয়া দিল্লি: সফরের অনুমতি মেলেনি, তবুও লখিমপুরে যেতে চান কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। বুধবার সকালেই সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেস নেতা উত্তর প্রদেশের লখিমপুরে (Lakhimpur) কৃষকদের উপর গাড়ি চালানোর ঘটনাকে “পরিকল্পিত হামলা” বলে আখ্যা দিলেন। একইসঙ্গে অভিযোগ করলেন, কৃষকদের ময়নাতদন্তও (Post-mortem) সঠিকভাবে হয়নি।
রবিবার লখিমপুরে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে গাড়ি চাপা পরে যে কৃষকদের মৃত্যু হয়, তাঁর প্রতিবাদেই এ দিন সেখানে যাওয়ার কথা কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর। এই মর্মে মঙ্গলবারই উত্তর প্রদেশ সরকারকে চিঠি পাঠায় কংগ্রেস। কিন্তু যোগী সরকারের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, লখিমপুরে শান্তি বজায় রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া অবধি সেখানে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
তবে এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল গান্ধী জানান, ১৪৪ ধারায় এক জায়গায় ৫ জনের বেশি জমায়েত নিষিদ্ধ। আমরা তিনজন যাব। সরকার বাধা দিলেও আমরা চেষ্টা করব লখনউ যাওয়ার এবং লখিমপুরে নিহত কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার। আমার সঙ্গে দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যাবেন। ঘটনাস্থলে না গেলে পরিস্থিতি বোঝা সম্ভব নয়। তাই লখিমপুরে যেতে চান বলেই জানান রাহুল গান্ধী। তার সঙ্গে ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল ও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ চন্নি যাবেন।
লখিমপুরে কৃষক মৃত্যুর ঘটনাকে পরিকল্পিত হামলা বলে অ্যাখ্যা দিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, “কৃষকদের গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে, হত্যা করা হচ্ছে। এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও তাঁর ছেলের নাম সামনে এসেছে এই ঘটনায়। এভাবে কৃষকদের উপর পরিকল্পিত হামলা চালানো হচ্ছে।”
প্রধানমন্ত্রীকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি রাহুল। তিনি বলেন, “গতকালই প্রধানমন্ত্রী লখনউতে ছিলেন, কিন্তু তিনি লখিমপুরে যেতে পারলেন না। এভাবেই দেশে স্বৈরতন্ত্র চলছে। রাজনৈতিক নেতাদের উত্তর প্রদেশে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। কাল থেকে আমাদের বলা হচ্ছে যে আমরা যেতে পারব না। ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রীকেও দেখা করতে দেওয়া হয়নি। কেন? কারণ সেখানে ভয়ঙ্কর লুঠতরাজ চলছে। এভাবে বাধা দিয়ে দেশের কন্ঠই রোধ করা হচ্ছে।”
কেন বারবার লখিমপুরেই যাওয়ার উপর জোর দিচ্ছেন, এই প্রশ্নের জবাবে রাহুল গান্ধী বলেন, “আমি বাস্তব চিত্রটা বুঝতে চাইছি। লখিমপুরে গেলেই সেখানেই পরিস্থিতি বোঝা সম্ভব। আর সবাইকে তো বাধা দেওয়া হয়নি, তৃণমূল কংগ্রেস ও ভীমদলকে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে।” এই প্রসঙ্গেই জোটের কথা উঠলে তিনি সুকৌশলে সেই প্রশ্ন এড়িয়ে যান।
প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর গ্রেফতারি প্রসঙ্গেও রাহুল গান্ধী বলেন, “এটা সম্পূর্ণরূপে কৃষকদের ইস্যু। প্রিয়ঙ্কাকে আটক করা হোক বা আমাদের বাধা হোক, সেটা আলাদা প্রসঙ্গ। কিন্তু কৃষকদের উপর যে অত্যাচার চলছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা ক্রমাগত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বজায় রাখার চেষ্টা চালাচ্ছি। তবে আমরা এই বার্তাও দিতে চাই যে এই দেশে আপনাদের কোনও মন্ত্রীর ছেলে গাড়ি চাপা দিয়ে চলে যেতে পারে না। তাদের শাস্তি পেতেই হবে।”