Rahul Gandhi: পঞ্জাবের ভুলই যেন না হয় ছত্তীসগঢ়ে! পরিস্থিতি সামলাতে তড়িঘড়ি রাজ্য সফরে রাহুল

Rahul Gandhi to Visit Chhattisgarh: পঞ্জাবের বিরোধ মেটাতেই যখন ব্যস্ত ছিল কংগ্রেস নেতৃত্ব, সেই সময়ই ছত্তীসগঢ়েও দলের অন্দরেই কোন্দল শুরু হয় মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে।

Rahul Gandhi: পঞ্জাবের ভুলই যেন না হয় ছত্তীসগঢ়ে! পরিস্থিতি সামলাতে তড়িঘড়ি রাজ্য সফরে রাহুল
কেন্দ্রের থেকে জবাব চাইলেন রাহুল গান্ধী। ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 23, 2021 | 8:54 AM

নয়া দিল্লি: পঞ্জাব (Punjab) থেকেই শিক্ষা নিয়েছে কংগ্রেস(Congress), ছত্তীসগঢ়(Chhattisgarh)-এও যাতে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, তা নিশ্চিত করতে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ও তাঁর পরামর্শদাতারা আগামী সপ্তাহেই ছত্তিসগঢ় যাচ্ছেন, এমনটাই দলীয় সূত্রের খবর।

পঞ্জাবে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং বনাম নভজ্যোত সিং সিধুর দ্বৈরথের পরিণতি যে ভয়ঙ্কর হবে, তা দলীয় কর্মীরা আশঙ্কা করলেও ওতটা গুরুত্ব দেয়নি কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। সমস্যা দেখা দিলেই তাঁরা বারংবার আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন। অমরিন্দরের বিরোধিতা সত্ত্বেও সিধুকে পঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব দেওয়ার পরই বিরোধ চরমে ওঠে। সিধু ঘনিষ্ঠ বিধায়করা ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন অমরিন্দরকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানোর দাবি জানিয়ে। শেষমেশ গত শনিবার ক্ষোভে-দুঃখে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন অমরিন্দর সিং। নতুন মুখ্যমন্ত্রী হন চরণজিৎ সিং চন্নি।

এ দিকে, পঞ্জাবের বিরোধ মেটাতেই যখন ব্যস্ত ছিল কংগ্রেস নেতৃত্ব, সেই সময়ই ছত্তীসগঢ়েও দলের অন্দরেই কোন্দল শুরু হয় মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে। সেই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী টিএস দেও (TS Deo) গত মাসেই দাবি জানান যে, ২০১৮ সালে কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় এসেছিল, তখন চুক্তি হয়েছিল যে আড়াই বছর ভূপেশ বাঘেল (Bhupesh Baghel) মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। বাকি আড়াই বছর তাঁর মুখ্যমন্ত্রী থাকার কথা থাকলেও পদ ছাড়ছেন না বাঘেল। এরই জবাবে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই ক্ষমতা হাতবদলের কথা বলা হচ্ছে।

বিরোধ মেটাতে রাহুল গান্ধী, ছত্তীগসগঢ়ের ইনচার্জ পিএল পুনিয়া ও কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপালের সঙ্গে আলাদাভাবে দেখা করেন ভূপেশ বাঘেল ও টিএস দেও। নিজেদের মধ্যে সমস্যার পাশাপাশি সরকারি কাজ নিয়ে কী কী ক্ষোভ রয়েছে, তাও জানান।  পরে ফের একবার দিল্লি সফরে যান মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। সেই সময়ই তিনি রাহুল গান্ধীকে আহ্বান জানিয়েছিলেন তাঁর নেতৃত্বে রাজ্যে কতটা উন্নয়ন হয়েছে, তা দেখে আসার জন্য।

কংগ্রেস সূত্রে খবর, পঞ্জাবের টালমাটাল পরিস্থিতি দেখেই ফের একবার ছত্তীসগঢ়ের নেতৃত্ব নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই কারণেই রাজ্যের উন্নয়ন খতিয়ে দেখার অছিলায় রাহুল গান্ধী সেখানে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করতে চান। সূত্রের দাবি, রাহুলের সফরের পরই ছত্তীসগঢ়ের নেতৃত্ব নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

ছত্তীসগঢ়ে ক্ষমতার রদবদলের জল্পনা আরও বাড়িয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী টিএস দেও। সোমবারই তাঁকে দিল্লিতে দেখা যায়, অন্যদিকে, ছত্তীসগঢ়ের অপর নেতা তমরাধ্বজ সাহুও মঙ্গলবার দিল্লিতে শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন।

এ দিকে, গত সপ্তাহেই দলের অন্দরে জল্পনা শোনা যায় যে, মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ট ৩৬ জন বিধায়ক জানিয়েছেন যে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে যদি ভূপেশ বাঘেলকে সরানো হয়, তবে তাঁরা সকলেই ইস্তফা দেবেন। সম্প্রতিই প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন বিধায়কও দিল্লি গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বাঘেলের প্রতি তাদের সমর্থনই জানিয়ে এসেছেন।