Congress Files Petition in SC: ‘সরকারের ইচ্ছামতো নিয়ন্ত্রিত হবে তদন্ত’, সিবিআই-ইডি অধিকর্তাদের মেয়াদ বৃদ্ধির বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টে কংগ্রেস
Congress Oppose Extended Tenure of ED and CBI Chief: আবেদনকারীর তরফে বলা হয়েছে, সংসদের অধিবেশন শুরু হওয়ার মাত্র ১৫ দিন আগে অর্ডিন্যান্স জারি করা এবং তারপর নয়া নির্দেশিকা জারিকে সমর্থন করার মতো কোনও কারণ নেই।
নয়া দিল্লি: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অধিকর্তাদের কার্যকালের মেয়াদ বাড়ানোর বিরোধিতা করে এবার সুপ্রিম কোর্ট(Supreme Court)-র দ্বারস্থ হল কংগ্রেস (Congress)। বৃহস্পতিবার কংগ্রেস নেতা তথা মুখপাত্র রণদীপ সিং সূর্যেওয়ালা (Randeep Singh Surjewala) শীর্ষ আদালতে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে বাতিল করার আবেদন জানিয়ে রিট পিটিশন (Writ Petition) দায়ের করেন।
গত ১৪ নভেম্বর কেন্দ্রের তরফে একটি অর্ডিন্যান্স জারি করা হয়। সেই অর্ডিন্যান্সে জানানো হয়, সিবিআই এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের প্রধানদের কার্যকালের মেয়াদ ২ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫ বছর করা হচ্ছে। দুই তদন্তকারী সংস্থার অধিকর্তাদের কার্যকালের মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণার পরই বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস। তাদের দাবি, এতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে আরও হাতের মুঠোয় নিয়ে আসবে সরকার, তাদের ইচ্ছামতোই পরিচালিত হবে তদন্ত।
এ দিন রণদীপ সিং সূর্যেওয়ালার আইনজীবী অভিষেক জেবারাজের জমা দেওয়া আবেদনে বলা হয়, “অসৎ পথে এভাবে তদন্তকারী সংস্থাগুলির শীর্ষকর্তাদের মেয়াদ বাড়ানোয় এটাই প্রমাণিত হয় যে তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে এবং এদের নিরপেক্ষ তদন্তেরও সরাসরি বিরোধিতা করছে। এই ধরনের সিদ্ধান্ত বিচার প্রক্রিয়াকেও ব্যর্থ করার প্রচেষ্টা।”
বিনীত নারায়ণ বনাম কেন্দ্রীয় সরকার (১৯৯৮) মামলার উল্লেখ করে এই আবেদনটি দাখিল করা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। ওই মামলায় সিবিআইয়ের অধিকর্তার কার্যকালের মেয়াদ নির্দিষ্ট করার নিয়ে আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই সময় আদালতের তরফে জানানো হয়েছিল, ইডি কর্তার কার্যকালের মেয়াদবৃদ্ধি বিরল ও ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রেই হতে পারে এবং তা খুব স্বল্প সময়ের জন্যই করতে হবে।
গত ১৪ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ওই দুই অর্ডিন্যান্সে সই করেন। নতুন অর্ডিন্যান্সে বলা হয়েছে, সিবিআই এবং ইডির প্রধানদের কার্যকালের দুই বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও প্রতি বছর তাঁদের কার্যকালের মেয়াদ বাড়ানো যাবে। সর্বোচ্চ তিন বছর পর্যন্ত এই মেয়াদ বাড়ানো সম্ভব। ইডির অধিকর্তা সঞ্জয় কুমার মিশ্রের মেয়াদ ১৭ নভেম্বর শেষ হচ্ছিল। ঠিক তার আগেই কেন্দ্রের তরফে এই নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়। এর আগে গত বছরই কেন্দ্রের তরফে ২০১৮ সালে তার নিয়োগের নির্দেশিকা সংশোধন করা হয়, যার ফলে তার কার্যকালের মেয়াদ দুই বছর বাড়ানো হয়েছিল।
কংগ্রেস নেতার আর্জিতে বলা হয়েছে, “সিবিআই ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের প্রধানদের কার্যকলাপ যাতে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত বা পরিচালিত না হয়, তার জন্য আদিকারিকদের কার্যকালের মেয়াদে যে স্থিতিশীলতা আনা হয়েছিল, তা নষ্ট করছে এই অর্ডিন্যান্স। স্বাধাীনভাবে কার্যকালের জন্য মেয়াদ স্থির রাখা অপরিহার্য। নয়া অর্ডিন্য়ান্সে তদন্তকারী সংস্থার অধিকর্তাদের সরকারের খুশি মতো কাজ করতে হবে, এমন ধারণাই তৈরি করছে।”
আবেদনকারীর তরফে বলা হয়েছে, সংসদের অধিবেশন শুরু হওয়ার মাত্র ১৫ দিন আগে অর্ডিন্যান্স জারি করা এবং তারপর নয়া নির্দেশিকা জারিকে সমর্থন করার মতো কোনও কারণ নেই। ১৯৯৭ সালে গঠিত স্বাধীন পর্যালোচনা কমিটির পর্যবেক্ষণকেও তুসে ধরা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছিল , সিবিআই আধিকারিকদের কার্যকালের সর্বোচ্চ মেয়াদ দুই বছর হওয়া উচিত এবং কার্যকালের এই মেয়াদের নিয়মে পরিবর্তন আনাও সমর্থনযোগ্য নয়। সমস্ত দিকগুলি বিবেচনা করেই শীর্ষ আদালতকে এই অর্ডিন্যান্স বাতিল করার আবেদন করা হয়েছে।