Covid Vaccine: খোলা বাজারে মিলবে কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন, শর্তসাপেক্ষে ছাড় দিল DCGI

Corona vaccine: আপাতত হাসপাতালে বা ক্লিনিকে সেই ভ্যাকসিন মিলবে বলে সূত্রের খবর। তবে রয়েছে কিছু শর্ত।

Covid Vaccine: খোলা বাজারে মিলবে কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন, শর্তসাপেক্ষে ছাড় দিল DCGI
টিকাকরণ সহজ করতে আরও একধাপ এগোল ভারত
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 27, 2022 | 4:22 PM

নয়া দিল্লি : আরও বেশি সহজলভ্য হতে চলেছে করোনার ভ্যাকসিন। এবার আর শুধু টিকাকরণ কেন্দ্রেই নয়, খোলা বাজারেও ভ্যাকসিন মিলবে। কোভিশিল্ড (COVISHIELD) বা কোভ্যাক্সিনের (COVAXIN) মতো টিকা পাওয়া যাবে হাসপাতালে বা ক্লিনিকে। সূত্রের খবর, বাজারে টিকা বিক্রির অনুমোদন দিল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (DCGI)। তবে শর্তসাপেক্ষে সেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ খোলা বাজারে পাওয়া গেলেও সবাই সেই ভ্যাকসিন কিনতে পারবেন না। কী শর্ত রয়েছে, তা এখনও জানানো হয়নি।

তবে এখনই কোনও ওষুধের দোকানে পাওয়া যাবে না ওই সব ভ্যাকসিন। হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকেই আপাতত কিনতে হবে এই টিকা। ২০১৯-এর নিউ ড্রাগস অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল রুলের আওতায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতদিন পর্যন্ত কেবলমাত্র টিকাকরণ কেন্দ্রগুলিকেই টিকা দেওয়া হত। সাধারণ মানুষ চাইলেও টিকা কিনতে পারতেন না।

এতদিন পর্যন্ত ভারতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য এই দুই টিকায় অনুমোদন দিয়েছিল ভারতের ওষুধ নিয়ামক সংস্থা ডিসিজিআই। তবে এবার পূর্ণ অনুমোদন মিলল, যা ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির জন্যও স্বস্তির খবর। বাজারে টিকা বিক্রিতে অনুমোদন দেওয়ার জন্য কোভ্যাক্সিনের উৎপাদক ভারত বায়োটেক ও কোভিশিল্ডের উৎপাদক সংস্থা সেরাম ইন্সটিটিউটের তরফ থেকে তথ্য দেওয়া হয়েছিল ডিসিজিআই-কে। সেই তথ্য খতিয়ে দেখেই বাজারে বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হল।

গত বছরের ২৫ অক্টোবর ভ্যাকসিন খোলা বাজারে বিক্রির অনুমোদন চেয়ে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন সেরাম ইন্সটিটিউটের অন্যতম কর্তা প্রকাশ কুমার ঝা। এ ছাড়া, ভারত বায়োটেকের তরফ থেকে আবেদন জানিয়েছিলেন ডিরেক্টর ভি কৃষ্ণ মোহন। কোভ্যাক্সিনের রসায়ন, ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল থেকে পাওয়া তথ্য সবটাই জমা দেওয়া হয়েছিল। সে সব তথ্য বিশ্লেষণ করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডিসিজিআই-এর বিশেষজ্ঞরা।

চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এতদিন পর্যন্ত যেহেতু জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য শুধুমাত্র অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। তাই, নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ১৫ দিন অন্তর টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত তথ্য দিতে হত ডিসিজিআই-কে। তবে ভারতে এখনও পর্যন্ত কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন মিলিয়ে কয়েক কোটি টিকা দেওয়া হয়েছে। মোটামুটিভাবে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে এই টিকাগুলির কার্যকারিতা রয়েছে ও এগুলি নিরাপদ। তাই এবার সেই টিকাগুলি বাজারে বিক্রি নিরাপদ বলেই মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

অন্যদিকে সূত্রের খবর, কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিনের কমতে পারে বলে সূত্রের খবর। জানা যাচ্ছে, প্রতি ডোজ়ের দাম হতে পারে ২৭৫ টাকা। এর সঙ্গে অতিরিক্ত পরিষেবা চার্জ সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা হতে পারে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, করোনার এই দুই ভ্যাকসিনের জন্য এই দাম কমানোর বিষয়টি ভারতের ওষুধ নিয়ামক সংস্থার কাছে ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে। সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (NPPA)-কে ইতিমধ্যেই দাম নির্ধারণের জন্য কাজ শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: Rahul Gandhi-Twitter Row: ‘ফলোয়ার্সের সঠিক সংখ্যাই দেখানো হয়’, রাহুলের দাবি মানতে নারাজ টুইটার