Morbi Bridge Tragedy: অ্যালুমিনিয়াম শিটের অতিরিক্ত ভার, অযোগ্য কর্মীদের দিয়ে সেতু সারাই! মরবি সেতু বিপর্যয়ে বিস্ফোরক তথ্য আদালতে
Morbi Bridge Tragedy: গত সাত মাস সেতুটি মেরামতির কাজের জন্য বন্ধ ছিল। দীর্ঘ মেরামতির পর মাত্র ৫ দিন আগেই ওই সেতু খুলে দেওয়া হয়েছিল। গত ২৬ অক্টোবর গুজরাটি নববর্ষ উপলক্ষে সাধারণ মানুষের জন্য তা খুলে দেওয়া হয়।
আহমেদাবাদ: গুজরাটের মরবি সেতু বিপর্যয় ঘিরে উঠে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। যে কনট্রাক্টর ওই সেতু সারাইয়ের দায়িত্ব পেয়েছিলেন, তারা আদতে সেই কাজ করার যোগ্যই নন, মঙ্গলবার এমনটাই জানানো হল আদালতে। মাত্র পাঁচ দিন আগেই খুলে দেওয়া ওই সেতু ভেঙে পড়ল কী করে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ইতিমধ্যে সেতু বিপর্যয়ের ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন, ওরেভা সংস্থার ম্যানেজার, সেতু মেরামতির কনট্রাক্টর ও তিনজন নিরাপত্তীরক্ষী।
রবিবার গুজরাটের মরবিতে মাচ্ছু নদীর উপরে অবস্থিত সেতু ছিড়ে পড়ে। শতাধিক মানুষ প্রাণ হারান ওই দুর্ঘটনায়। মঙ্গলবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। আগামী ১৪ নভেম্বর এই আবেদনের শুনানি হবে। ইতিমধ্যেই ফরেন্সিক রিপোর্টে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, সেতুর ফ্লোর পরিবর্তন করা হলেও, কেবলগুলি বদলানো হয়নি। সেতুর পরিবর্তিত ফ্লোরের ওজন বহন করার মতো অবস্থা ছিল না কেবলগুলির, এমনটাও জানা গিয়েছে। সেতুর নতুন ফ্লোরিং বা পাটাতনের কারণেই কেবলগুলি ছিড়ে যায় বলে মনে করা হচ্ছে।
ফরেন্সিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, সেতু সংস্কারের সময় চার স্তরের অ্যালুমিনিয়াম শিট বসানো হয়েছিল। কিন্তু এরফলে সেতুর ওজন বেড়ে যায়। সেই কারণেই আর নতুন করে কেবল পরিবর্তন করা হয়নি। রবিবারের দুর্ঘটনাটিও সেতুর অতিরিক্ত ভারের জন্যই ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ওরেভা সংস্থাকেই ১৫ বছরের জন্য এই সেতু রক্ষণাবেক্ষণের ও দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
আরও জানা গিয়েছে, গত সাত মাস সেতুটি মেরামতির কাজের জন্য বন্ধ ছিল। দীর্ঘ মেরামতির পর মাত্র ৫ দিন আগেই ওই সেতু খুলে দেওয়া হয়েছিল। গত ২৬ অক্টোবর গুজরাটি নববর্ষ উপলক্ষে সাধারণ মানুষের জন্য তা খুলে দেওয়া হয়। যদিও মোরবি পুরসভার প্রধানের অভিযোগ, কোনও ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়াই এই সেতু জনগণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল।
রবিবারের দুর্ঘটনার পরই সোমবার পুলিশের তরফে নয়জনের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করা হয়। মঙ্গলবার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের তরফে আগামী শনিবার অবধি ওরেভা সংস্থার দুই ম্যানেজার, সেতু মেরামতির দুইজন সাব-কনট্রাক্টরকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তারক্ষী, টিকিট বুকিং ক্লার্কসহ আরও পাঁচজন ধৃতকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।